তিনিই আল্লাহ তা’আলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নাম সমূহ তাঁরই। নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।
He is Allâh, the Creator, the Inventor of all things, the Bestower of forms. To Him belong the Best Names . All that is in the heavens and the earth glorify Him. And He is the All-Mighty, the All-Wise.
هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
Huwa Allahu alkhaliqu albari-o almusawwiru lahu al-asmao alhusna yusabbihu lahu ma fee alssamawati waal-ardi wahuwa alAAazeezu alhakeemu
YUSUFALI: He is Allah, the Creator, the Evolver, the Bestower of Forms (or Colours). To Him belong the Most Beautiful Names: whatever is in the heavens and on earth, doth declare His Praises and Glory: and He is the Exalted in Might, the Wise.
PICKTHAL: He is Allah, the Creator, the Shaper out of naught, the Fashioner. His are the most beautiful names. All that is in the heavens and the earth glorifieth Him, and He is the Mighty, the Wise.
SHAKIR: He is Allah the Creator, the Maker, the Fashioner; His are the most excellent names; whatever is in the heavens and the earth declares His glory; and He is the Mighty, the Wise.
KHALIFA: He is the One GOD; the Creator, the Initiator, the Designer. To Him belong the most beautiful names. Glorifying Him is everything in the heavens and the earth. He is the Almighty, Most Wise.
২৪। তিনিই আল্লাহ্ [ যিনি ] সৃষ্টিকর্তা ৫৪০৫, উদ্ভাবক, আকৃতি [ ও রং এর ] রূপকার ৫৪০৬, সকল উত্তম নাম তারই ৫৪০৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
৫৪০৫। আল্লাহ্ সকল কল্যাণ ও মঙ্গলের এবং ক্ষমতার অধিকারী। আল্লাহ্র এই বিশেষ গুণাবলী সমূহ বিবৃত করার পরে এই আয়াতে আল্লাহ্র সৃজন ক্ষমতার বর্ণনা করা হয়েছে। এই সৃজন ক্ষমতাকে তিনটি ধাপে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পরবর্তী টিকাতে এ সম্বন্ধে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ্ শুধুমাত্র সৃষ্টিই করেন না, তিনি সে সবের রক্ষাকর্তা ও পালন কর্তাও। তাঁর সৃষ্ট পদার্থ প্রতি নিয়ত বিবর্তনের মাধ্যমে নূতন নূতন আঙ্গিকে পরিবর্তিত হচ্ছে ; নূতন রং এ রঞ্জিত হচ্ছে কারণ তিনি “উদ্ভাবন কর্তা ও রূপদাতা। ” সৃষ্টি করেই তিনি থেমে যান নাই, অনাদি অনন্তকাল থেকে বিবর্তনের ধারা অব্যাহত গতিতে চলছে এবং নূতন সৃষ্টিকে তিনি তাঁর নিয়মের অধীনে সন্নিবেশিত করে তাদের পৃথিবীতে টিকে থাকার পথকে সুগম করে দেন।
৫৪০৬। সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় বহু ধাপ বর্তমান। এই সুবিশাল ধাপগুলিকে সংক্ষেপে বিভিন্ন আয়াতে বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যেমন [ ২ : ১১৭] আয়াতের টিকা ১২০ তে বর্ণনা আছে যার আরও সম্পূর্ণতা আনা হয়েছে [ ৬ : ৯৪ ] আয়াতের টিকা ৯১৬ এবং [ ৬ : ৯৮] আয়াতের টিকা ৯২৩ এ। Khalaqa শব্দটি দ্বারা সাধারণ ভাবে সৃজন ক্ষমতাকে বুঝানো হয়, এবং সকল সৃজন ক্ষমতার কর্তৃত্বকে বুঝানো হয় ‘Khaliq’ ‘Baraa’ শব্দটি দ্বারা বিবর্তনের ধারাকে বোঝায় – যা পূর্ববর্তী সৃষ্ট পদার্থ থেকে উদ্ভুদ। এই ধারার কর্তৃত্বকে বুঝানো হয় ‘Bari-u’ শব্দটি দ্বারা যার অর্থ ‘উদ্ভাবন কর্তা।” ‘Sawwara’ শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় নির্দ্দিষ্ট রূপদাতা বা রংদাতা। অর্থাৎ কোনও বস্তুকে আকার, আকৃতি ও রংয়ের সাহায্যে নির্দ্দিষ্ট রূপে পরিণত করা যেনো তা সমগ্র পরিবেশে টিকে থাকার উপযোগী রূপ লাভ করে। সে কারণে আল্লাহ্র নাম ‘Musawwir’ বা রূপদাতা বা রংদাতা। যে কোনও সৃষ্ট পদার্থের এটাই হচ্ছে সর্বশেষ ধাপ।
৫৪০৭। দেখুন সূরা [ ৭ : ১৮০ ] ও টিকা ১১৫৪ এবং সূরা [ ১৭ : ১১০ ] ও টিকা ২৩২২।
৫৪০৮। সৃষ্টির প্রথম থেকে আবাহমান কাল এই বিশ্ব ভূবন, স্রষ্টার নির্দ্দিষ্ট নিয়মের অধীন। তিনি পৃথিবীর বিবর্তনের মাধ্যমে নূতন আঙ্গিকে নূতন রংএর রূপদান করেন, প্রতিপালন করেন, রক্ষা করেন। তাঁর ক্ষমতা, শক্তি, সৃজনশীলতার বর্ণনা করা হয়েছে তাঁর গুণবাচক নামের মাধ্যমে। এই সূরাটিকে শেষ করা হয়েছে সঙ্গীতের ধূয়ার ন্যায় প্রথম চরণটির দ্বারা [ ৫৯ : ১ ]। প্রথম আয়াতটি ও শেষ আয়াতটি এই সূরাতে একই শুধুমাত্র ক্রিয়া পদ ‘Sabbaha’ ব্যতীত। সূরাটির প্রথম আয়াতে ‘Sabbaha’ ক্রিয়াপদটি কামনা সূচক ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ভাবটি হচেছ, ” সকলেই আল্লাহ্র গুণগান করুক।” সূরাটিতে আল্লাহ্র পরাক্রম, ক্ষমতা, সৃজনশীলতা একত্ব ইত্যাদি বিভিন্ন গুণবাচক উপাধির বর্ণনা শেষে ‘yusabbihu’ ক্রিয়াপদ যুক্ত হওয়ার ফলে আয়াতটি হয়েছে ঘোষণা স্বরূপ যার অর্থ হবে, “সকলেই আল্লাহ্র গুণগান করে।”