যদি মুমিনদের দুই দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর চড়াও হয়, তবে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি ফিরে আসে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দিবে এবং ইনছাফ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ইনছাফকারীদেরকে পছন্দ করেন।
And if two parties or groups among the believers fall to fighting, then make peace between them both, but if one of them rebels against the other, then fight you (all) against the one that which rebels till it complies with the Command of Allâh; then if it complies, then make reconciliation between them justly, and be equitable. Verily! Allâh loves those who are equitable.
وَإِن طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا فَإِن بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ فَإِن فَاءتْ فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا بِالْعَدْلِ وَأَقْسِطُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ
Wa-in ta-ifatani mina almu/mineena iqtataloo faaslihoo baynahuma fa-in baghat ihdahuma AAala al-okhra faqatiloo allatee tabghee hatta tafee-a ila amri Allahi fa-in faat faaslihoo baynahuma bialAAadli waaqsitoo inna Allaha yuhibbu almuqsiteena
YUSUFALI: If two parties among the Believers fall into a quarrel, make ye peace between them: but if one of them transgresses beyond bounds against the other, then fight ye (all) against the one that transgresses until it complies with the command of Allah; but if it complies, then make peace between them with justice, and be fair: for Allah loves those who are fair (and just).
PICKTHAL: And if two parties of believers fall to fighting, then make peace between them. And if one party of them doeth wrong to the other, fight ye that which doeth wrong till it return unto the ordinance of Allah; then, if it return, make peace between them justly, and act equitably. Lo! Allah loveth the equitable.
SHAKIR: And if two parties of the believers quarrel, make peace between them; but if one of them acts wrongfully towards the other, fight that which acts wrongfully until it returns to Allah’s command; then if it returns, make peace between them with justice and act equitably; surely Allah loves those who act equitably.
KHALIFA: If two groups of believers fought with each other, you shall reconcile them. If one group aggresses against the other, you shall fight the aggressing group until they submit to GOD’s command. Once they submit, you shall reconcile the two groups equitably. You shall maintain justice; GOD loves those who are just.
০৯। মুমিনদের দুই দল বিবাদে লিপ্ত হলে; তোমরা তাদের মাঝে শান্তি স্থাপন কর ৪৯২৭। কিন্তু যদি তাদের একদল অপরদলের বিরুদ্ধে সীমা লংঘন করে, তবে যে অন্যায় করছে তার বিরুদ্ধে [ সকলে ] যুদ্ধ কর, যতক্ষণ না সে আল্লাহ্র হুকুমের দিকে ফিরে আসে। অতঃপর যদি সেই দল আল্লাহ্র [ নির্দ্দেশের ] দিকে ফিরে আসে, তবে উহাদের মাঝে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করে দাও, এবং [ এ ব্যাপারে ] নিরপেক্ষ হবে। কারণ যারা নিরপেক্ষ [ ও ন্যায় বিচারক ] আল্লাহ্র তাদের ভালোবাসেন।
৪৯২৭। ব্যক্তিগত ঝগড়া -বিবাদ মেটানো সহজ। কিন্তু বিবাদ যখন ব্যপকতা লাভ করে দলে দলে লিপ্ত হয় বা বর্তমান বিশ্বে যেরূপ জাতিতে জাতিতে লিপ্ত হয়, সেরূপ ক্ষেত্রে বিবাদ মেটানো খুব সহজ কাজ নয়। এরূপ ক্ষেত্রে মুসলিমদের করণীয় কর্তব্য সম্বন্ধে এই আয়াতে নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। মুসলিমদের মাঝে যখন বিভিন্ন দল বা গোষ্ঠির মধ্যে এরূপ দ্বন্দ বিবাদের সুত্রপাত ঘটে – মনে রাখতে হবে ইসলামের ঝান্ডা হচ্ছে সর্বোচ্চ পরিচয়। কোনও অবস্থাতেই মুসলিম ভাতৃত্বের বিভাজন কাম্য নয়। মীমাংসা হতে হবে ন্যায়ের ভিত্তিতে – মনে রাখতে হবে যুদ্ধ অপেক্ষা শান্তি অধিক কাম্য। কিন্তু কোনও পক্ষের যদি ন্যায় বিচার পছন্দ না হয় এবং তারা যুদ্ধ করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়, এরূপ ক্ষেত্রে মুসলিম ভাতৃত্বের সকল শক্তি সংঘবদ্ধভাবে, তাদের আক্রমণ করবে – শর্ত হবে যতক্ষণ না তারা আল্লাহ্র নির্দ্দেশের দিকে ফিরে আসে। সর্বক্ষেত্রেই শর্ত হবে ন্যায় ও কল্যাণ এবং সর্বোচ্চ নীতিবোধের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। কারণ ইসলাম ধর্ম সর্বদা সকলের ন্যায্য এবং আইনগত অধিকারকে স্বীকার করে থাকে। আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে সকলের প্রতি ন্যায় ও সুবিচার। পার্থিব জগতের ন্যায় ও সুবিচার হচ্ছে আধ্যাত্মিক জগতের সমৃদ্ধির ভিত্তি। “কারণ যারা নিরপেক্ষ (ন্যায় বিচারক) আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।” আয়াতের এই বাক্যটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আল্লাহ্র অনুগ্রহের পূর্বশর্ত হচ্ছে ন্যায় ও সুবিচার। যেখানেই অন্যায় হয় অবদমিত, এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা লাভ ঘটে তাই-ই আল্লাহ্র অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়। এ সত্য পার্থিব ও আধ্যাত্মিক জগত উভয় জগতের জন্য সত্য। এর প্রচুর উদাহরণ ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে লক্ষ্য করা যায়। এই ন্যায় নীতির অভাবে অতীতে “লীগ অব নেশন ” ভেঙ্গে যায়। বর্তমানেও জাতিসংঘ সঠিকভাবে কার্যকর হতে পারছে না – তার কারণ ন্যায়নীতির অভাব। ন্যায়নীতি ও সুবিচার হচ্ছে ধর্মীয় আর্দশের মূল ভিত্তি।