1 of 3

046.015

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন শক্তি-সামর্থেøর বয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌছেছে, তখন বলতে লাগল, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম।
And We have enjoined on man to be dutiful and kind to his parents. His mother bears him with hardship and she brings him forth with hardship, and the bearing of him, and the weaning of him is thirty (30) months, till when he attains full strength and reaches forty years, he says: ”My Lord! Grant me the power and ability that I may be grateful for Your Favour which You have bestowed upon me and upon my parents, and that I may do righteous good deeds, such as please You, and make my off-spring good. Truly, I have turned to You in repentance, and truly, I am one of the Muslims (submitting to Your Will).”

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا حَتَّى إِذَا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَبَلَغَ أَرْبَعِينَ سَنَةً قَالَ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
Wawassayna al-insana biwalidayhi ihsanan hamalat-hu ommuhu kurhan wawadaAAat-hu kurhan wahamluhu wafisaluhu thalathoona shahran hatta itha balagha ashuddahu wabalagha arbaAAeena sanatan qala rabbi awziAAnee an ashkura niAAmataka allatee anAAamta AAalayya waAAala walidayya waan aAAmala salihan tardahu waaslih lee fee thurriyyatee innee tubtu ilayka wa-innee mina almuslimeena

YUSUFALI: We have enjoined on man kindness to his parents: In pain did his mother bear him, and in pain did she give him birth. The carrying of the (child) to his weaning is (a period of) thirty months. At length, when he reaches the age of full strength and attains forty years, he says, “O my Lord! Grant me that I may be grateful for Thy favour which Thou has bestowed upon me, and upon both my parents, and that I may work righteousness such as Thou mayest approve; and be gracious to me in my issue. Truly have I turned to Thee and truly do I bow (to Thee) in Islam.”
PICKTHAL: And We have commended unto man kindness toward parents. His mother beareth him with reluctance, and bringeth him forth with reluctance, and the bearing of him and the weaning of him is thirty months, till, when he attaineth full strength and reacheth forty years, he saith: My Lord! Arouse me that I may give thanks for the favour wherewith Thou hast favoured me and my parents, and that I may do right acceptable unto Thee. And be gracious unto me in the matter of my seed. Lo! I have turned unto Thee repentant, and lo! I am of those who surrender (unto Thee).
SHAKIR: And We have enjoined on man doing of good to his parents; with trouble did his mother bear him and with trouble did she bring him forth; and the bearing of him and the weaning of him was thirty months; until when he attains his maturity and reaches forty years, he says: My Lord! grant me that I may give thanks for Thy favor which Thou hast bestowed on me and on my parents, and that I may do good which pleases Thee and do good to me in respect of my offspring; surely I turn to Thee, and surely I am of those who submit.
KHALIFA: We enjoined the human being to honor his parents. His mother bore him arduously, gave birth to him arduously, and took intimate care of him for thirty months. When he reaches maturity, and reaches the age of forty, he should say, “My Lord, direct me to appreciate the blessings You have bestowed upon me and upon my parents, and to do the righteous works that please You. Let my children be righteous as well. I have repented to You; I am a submitter.”

১৪। এরাই হবে বেহেশতের অধিবাসী ; সেখানে তারা স্থায়ী হবে ; তাদের [ ভালো ] কাজের পুরষ্কার স্বরূপ।

১৫। আমি মানুষকে তার পিতা -মাতার সাথে সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি ৪৭৮৯। তার মা দৈহিক যন্ত্রণার মাধ্যমে তাকে গর্ভে ধারণ করে, দৈহিক যন্ত্রণার সাথে তাকে প্রসব করে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং তার দুধ ছাড়ানোতে ত্রিশ মাস [ সময় ] লাগে ৪৭৯০। অবশেষে, সে যখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছে, ৪৭৯১, এবং চল্লিশ বৎসরে উপণীত হয়, তখন সে বলে, ” হে আমার প্রভু ! তুমি আমাকে এই ক্ষমতা দান কর যেনো আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করেছ, তার জন্য, এবং যেনো আমি সৎকাজ করতে পারি যা তুমি অনুমোদন কর। সন্তান সন্তানাদিদের ব্যাপারে আমার প্রতি অনুগ্রহশীল হও। নিশ্চয়ই আমি তোমার অভিমুখী হলাম এবং নিশ্চয়ই আমি আত্মসমর্পনকারীদের অন্তর্গত। ”

৪৭৮৯। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২৯ : ৮ ] এবং [ ৩১ : ১৪ ]।

৪৭৯০। সূরা [ ৩১ : ১৪ ] আয়াতে স্তন্যদানের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে দুবৎসর অর্থাৎ ২৪ মাস। সূরা [ ২ : ২৩ ] আয়াতেও দু বৎসর সময়ের উল্লেখ আছে। এই আয়াতে গর্ভধারণ ও স্তন্যদান উভয়ের সময়কাল বর্ণিত হয়েছে ত্রিশ মাস। অতএব স্তন্যদানের দুবছর অর্থাৎ চব্বিশ মাস বাদ দিলে গর্ভধারণের জন্য ছয় মাস অবশিষ্ট থাকে। সুতারাং এটাই হবে গর্ভধারণের সর্বনিম্ন সময়কাল, যে সময় অতিক্রম করলে ভূমিষ্ট শিশু জীবিত থাকতে পারে। বর্তমানে বিজ্ঞান এ কথা স্বীকার করে যে গর্ভধারণের সর্বনিম্ন সময়কাল ছয় মাস হওয়া সম্ভবপর। এর কম সময়ে সন্তান সুস্থ ও পূর্ণাঙ্গ জন্মগ্রহণ করতে পারে না। গর্ভধারণের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৮০ দিন। অবশ্য সে ক্ষেত্রে স্তন্যদানের সময়সীমা দুবছরের কম হয়ে যাবে। দুবছর নির্ধারিত হয়েছে শিশুর ‘দুধ দাঁত’ ওঠা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে নীচের দুটো দাঁত ওঠে তারপরে ধীরে ধীরে অন্যান্য দাঁত উঠতে শুরু করে যতদিন না সমস্ত ওঠা শেষ হয়। মাড়ির দাঁত ওঠতে শুরু করে দুবছর বয়েসে। এভাবেই দুধ দাঁতের সারি পরিপূর্ণ হয় এবং শিশু মাতৃদুগ্ধ ব্যতীত অন্যন্য খাদ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, কারণ এখন সে চিবুতে সক্ষম। ছয় বৎসর বয়েসে দুধ দাঁত পড়ে যেয়ে স্থায়ী দাঁত ওঠে এবং ১৮- ২০ বৎসর বয়েসে আক্কেল দাঁত ওঠে।

৪৭৯১। “পূর্ণ শক্তি প্রাপ্ত হয় [ ashudd ] ” – এই বয়েস হচ্ছে কৈশর শেষে যৌবনে প্রাপ্ত হওয়ার বয়েস। অর্থাৎ ১৮ থেকে ৩০/৩২ বৎসরের মধ্যে। ৩০ থেকে ৪০ বৎসরের মধ্যে মানুষ পূর্ণ যৌবন প্রাপ্ত হয় – জীবনের সকল ক্ষেত্রে সে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। এর পরে তার ক্ষয় শুরু হয়। ইতিমধ্যে পরবর্তী বংশধরগণ দায়িত্ব নেবার যোগ্যতা অর্জন করে। অপরপক্ষে ৪০ বৎসর পরেই মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের দিগন্ত উম্মোচিত হতে শুরু করে।