আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
And We chose them (the Children of Israel) above the ’Alamîn (mankind, and jinns) [during the time of Mûsa (Moses)] with knowledge,
وَلَقَدِ اخْتَرْنَاهُمْ عَلَى عِلْمٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
Walaqadi ikhtarnahum AAala AAilmin AAala alAAalameena
YUSUFALI: And We chose them aforetime above the nations, knowingly,
PICKTHAL: And We chose them, purposely, above (all) creatures.
SHAKIR: And certainly We chose them, having knowledge, above the nations.
KHALIFA: We have chosen them from among all the people, knowingly.
৩১। [ যা ] আরোপ করেছিলো ফেরাউন ,সে ছিলো উদ্ধত [ এমনকি ] অতিরিক্ত সীমালংঘনকারীদের অর্ন্তভূক্ত।
৩২। এবং আমি জেনে শুনেই তাদের সকল জাতির উপরে মনোনীত করেছিলাম ৪৭১২।
৪৭১২। ইসরাঈলীদের আল্লাহ্ অপমানজনক ক্রীতদাসত্বের বন্ধন থেকে মুক্তি দেন। তাদের নানা ধরণের বিদ্রোহ ও অবিশ্বাস এবং সৎপথ ত্যাগ করে অসৎপথ অবলম্বন করা সত্বেও আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করে দেন এবং তাদের শেষ পর্যন্ত “দুধ ও মধুর দেশে ” স্থায়ীভাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করেন। তারা সেখানে পরবর্তীতে নবী সুলাইমানের অধীনে বিশাল গৌরবময় রাজত্বের পত্তন করে। ইসরাঈলীদের এই উত্থান কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। আল্লাহ্র বৃহত্তর পরিকল্পনার এটা একটা অংশ মাত্র। তাদের আল্লাহ্ মনোনীত করেছিলেন তাঁর বৃহত্তর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে। এই মনোনয়নের অর্থ এই নয় যে, তারা যা খুশী তাই করতে পারবে। যা খুশী তাই করার অধিকার আল্লাহ্ পৃথিবীর কোন জাতিকে দান করেন নাই। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে বিশ্বস্রষ্টা প্রত্যেক ব্যক্তিকে বা জাতিকে সফলতা লাভের সুযোগ দান করেন। যে আল্লাহ্র রাস্তায় থেকে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সেই ব্যক্তি বা জাতি হয় সফলকাম। আর যে ব্যক্তি বা জাতি তা করতে হয় অপারগ তার পতন অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ্ তাদের স্থানে অন্য কাউকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। এখানে বিশ্বে অর্থাৎ তৎকালীন বিশ্বে।