1 of 3

040.080

তাতে তোমাদের জন্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে আর এজন্যে সৃষ্টি করেছেন; যাতে সেগুলোতে আরোহণ করে তোমরা তোমাদের অভীষ্ট প্রয়োজন পূর্ণ করতে পার। এগুলোর উপর এবং নৌকার উপর তোমরা বাহিত হও।
And there are (other) advantages in them for you (besides); that ye may through them attain to any need (there may be) in your hearts; and on them and on ships ye are carried.

وَلَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَلِتَبْلُغُوا عَلَيْهَا حَاجَةً فِي صُدُورِكُمْ وَعَلَيْهَا وَعَلَى الْفُلْكِ تُحْمَلُونَ
Walakum feeha manafiAAu walitablughoo AAalayha hajatan fee sudoorikum waAAalayha waAAala alfulki tuhmaloona

YUSUFALI: And there are (other) advantages in them for you (besides); that ye may through them attain to any need (there may be) in your hearts; and on them and on ships ye are carried.
PICKTHAL: (Many) benefits ye have from them – and that ye may satisfy by their means a need that is in your breasts, and may be borne upon them as upon the ship.
SHAKIR: And there are advantages for you in them, and that you may attain thereon a want which is in your breasts, and upon them and upon the ships you are borne.
KHALIFA: They also provide you with additional benefits that satisfy many of your needs. On them, as well as on the ships, you are carried.

রুকু – ৯

৭৯। আল্লাহ্‌-ই তোমাদের জন্য গৃহপালিত পশু সৃষ্টি করেছেন , যেনো উহাদের কতককে আরোহণের জন্য এবং কতককে আহার করার জন্য ব্যবহার করতে পার। ৪৪৫৬

৮০। [ এ ছাড়াও ] এদের মধ্যে তোমাদের জন্য [ বিবিধ ] উপকার রয়েছে। তাদের মাধ্যমে তোমাদের হৃদয়ের ইচ্ছার প্রয়োজন মেটাতে পার [ যদি কিছু থাকে ] , এবং ইহাদের উপর ও নৌযানের উপর তোমাদের বহন করা হয়।

৪৪৫৬। দেখুন আয়াত [ ১৬ : ৫ – ৮ ]। আন্‌ -আম বা গৃহপালিত পশু। গৃহপালিত পশু যখন বন্য অবস্থায় থাকে তখন তারা সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর জন্তুরূপে পরিগণিত হয়। কিন্তু যখন তা পোষ মানানো হয় , সেই জন্তুই মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধন করে। অবিশ্বাসীরা আল্লাহ্‌র নিদর্শনের জন্য অলৌকিক ক্রিয়াকর্মের অনুসন্ধান করে। কিন্তু প্রকৃতির এসব দান যেমন, বন্য পশুর মানুষের বশ্যতা স্বীকার করা এও কি আল্লাহ্‌র বিশেষ করুণার নিদর্শন নয় মানুষের জন্য? গৃহপালিত পশুর উপকারিতা অনুধাবনযোগ্য। তাদের ব্যবহার করা হয় আরোহণের জন্য, আহারের জন্য, খাদ্য হিসেবে , ভূমি কর্ষণের জন্য, দুধের জন্য অথবা পশম থেকে উল তৈরীর জন্য , তাদের হাড় ও শিং থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরীর জন্য, চামড়াকে জুতা , ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হয়। এক কথায় মানুষ প্রকৃতির দান পশু সম্পদের উপরে নানা ভাবে নির্ভরশীল। পশুর ব্যবহারের আরও উচ্চতর দিক হচ্ছে : প্রাচীনকালে তা ব্যবহার করা হতো ভারবাহী পশুরূপে যাতায়াত ব্যবস্থার প্রধান উপকরণই ছিলো পশু। এ ভাবেই পশু কে বলা যায় সভ্যতার মূল ভিত্তি – যার মাধ্যমে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে ফলে মানুষের সভ্যতার উন্নতি ঘটেছে। পশুকে সে হিসেবে স্থলভাগের জাহাজ হিসেবে পরিগণিত করা যেতো , সমুদ্রে যেমন সমুদ্রগামী জাহাজের ভূমিকা দেখুন আয়াত [ ৩০: ৪৬ ] ও টিকা ৩৫৬৫। স্থলপথে ও জলপথে যাতায়াতের ফলেই এক জাতি আর এক জাতির সংস্পর্শে আসে, মানুষে মানুষে পরস্পরে মেলামেশার সুযোগ লাভ করে, ফলে সংস্কৃতির প্রসার ও বিকাশ ঘটে। মানুষের সভ্যতার বিকাশের এই সুযোগ করে স্রষ্টা প্রকারান্তে তার করুণার নিদর্শন উপস্থাপন করেছেন মানুষের সম্মুখে। যে হৃদয় দিয়ে তা অনুভব করে সেই তো বিশ্বস্রষ্টার নিদর্শনকে প্রত্যক্ষ করে।