আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন পরিচ্ছন্ন রিযিক। তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা। বিশ্বজগতের পালনকর্তা, আল্লাহ বরকতময়।
It is Allah Who has made for you the earth as a resting place, and the sky as a canopy, and has given you shape- and made your shapes beautiful,- and has provided for you Sustenance, of things pure and good;- such is Allah your Lord. So Glory to Allah, the Lord of the Worlds!
اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ قَرَارًا وَالسَّمَاء بِنَاء وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَتَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
Allahu allathee jaAAala lakumu al-arda qararan waalssamaa binaan wasawwarakum faahsana suwarakum warazaqakum mina alttayyibati thalikumu Allahu rabbukum fatabaraka Allahu rabbu alAAalameena
YUSUFALI: It is Allah Who has made for you the earth as a resting place, and the sky as a canopy, and has given you shape- and made your shapes beautiful,- and has provided for you Sustenance, of things pure and good;- such is Allah your Lord. So Glory to Allah, the Lord of the Worlds!
PICKTHAL: Allah it is Who appointed for you the earth for a dwelling-place and the sky for a canopy, and fashioned you and perfected your shapes, and hath provided you with good things. Such is Allah, your Lord. Then blessed be Allah, the Lord of the Worlds!
SHAKIR: Allah is He Who made the earth a resting-place for you and the heaven a canopy, and He formed you, then made goodly your forms, and He provided you with goodly things; that is Allah, your Lord; blessed then is Allah, the Lord of the worlds.
KHALIFA: GOD is the One who rendered the earth habitable for you, and the sky a formidable structure, and He designed you, and designed you well. He is the One who provides you with good provisions. Such is GOD your Lord; Most Exalted is GOD, Lord of the universe.
৬৪। আল্লাহ্-ই ৪৪৩৮ তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিশ্রামস্থল করেছেন ৪৪৩৯ ,এবং আকাশকে করেছেন চাঁদোয়া এবং তোমাদের আকৃতিতে সৌন্দর্য দান করেছেন ৪৪৪০ – এবং তোমাদের পবিত্র ও উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণে সমৃদ্ধ করেছেন ৪৪৪১ ; – তিনিই আল্লাহ্ ,তোমাদের প্রভু। সুতারাং পৃথিবীর অধিপতি আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা কর।
৪৪৩৮। পূর্বের আয়াত সমূহে যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে , মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ; যে অভিজ্ঞতা সে লাভ করে পৃথিবীর প্রতিদিনের জীবনযাত্রা থেকে। এই আয়াত ও পরবর্তী আয়াতে মানুষকে আহ্বান করা হয়েছে উচ্চতর যুক্তির মাধ্যমে। বলা হয়েছে , ” হে মানুষ সামগ্রিকভাবে তাকিয়ে দেখ, নিখিল বিশ্বকে তোমাদের বাসপোযোগী করা হয়েছে। যা সৌরমন্ডলের অন্য কোনও গ্রহকে করা হয় নাই।” যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন ; কি অপূর্ব যত্নে পৃথিবীর আবহাওয়া মন্ডল দ্বারা পৃথিবীকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। কি অপূর্ব কৌশলে পৃথিবীর সকল সৃষ্ট পর্দাথ সমন্বিত শৃঙ্খলার মাধ্যমে পরস্পরের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে। এই নিখিল বিশ্বভূবনের মাঝে সকল সৃষ্ট প্রাণী ও জীবকূলের মাঝে মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। মানুষের অবয়বের গঠন, আকৃতি সবই করা হয়েছে সকল প্রাণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। মানুষের সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা। মানুষকে আল্লাহ্ দান করেছেন জীবনোপকরণে রুচীশীলতা, জীবন যাপনে সংস্কৃতি , আধ্যাত্মিক জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব এবং সমৃদ্ধির উপায়। এর পরেও মানুষ কেন অনুভব করে না আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও করুণা এবং আল্লাহ্র প্রশংসা দ্বারা আত্মাকে সঞ্জীবিত করে না ?
৪৪৩৯। “বিশ্রামস্থল ” – এই শব্দটি দ্বারা এ কথাই বুঝানো হয়েছে যে, পৃথিবী একটি পান্থশালা বিশেষ। পান্থশালাতে মানুষের অবস্থান যেরূপ অল্পকিছুকালের জন্য, পৃথিবী নামক এই পান্থশালাকেও বাসের উপযোগী করা হয়েছে মানুষের জন্য; মানুষের “শিক্ষানবীশকাল” অতিক্রম করার জন্য ; যেনো পরকালের স্থায়ী ঠিকানাতে সে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
৪৪৪০। দেখুন আয়াত [ ৭ : ১১ ] এবং টিকা ৯৯৬। আকৃতি ও গঠন বলতে শুধুমাত্র দেহসৌষ্ঠবই নয়,মানুষের জন্মগত মানসিক দক্ষতা ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকেও বুঝানো হয়েছে। আদম ও ইভের দেহসৌষ্ঠব বর্ণনার জন্য কবি মিলটনের ভাষার ব্যবহার করা যায় , “Two of far noble shape, erect and tall” [ Paradise lost iv 288 ] । মানসিক ও নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দক্ষতা সম্বন্ধে বলা চলে, তা হচ্ছে সর্বোচ্চ। কারণ আল্লাহ্ মানুষের মাঝে তাঁর রূহুর কিছু অংশ ফুৎকারে প্রবেশ করিয়েছেন [ ১৫ : ২৯ ]।
৪৪৪১। ‘রিযি্ক ‘ শব্দটি ব্যপক অর্থ বহন করে। সাধারণ মানুষ সঙ্কীর্ণার্থে শব্দটির প্রয়োগ করে থাকে দেহের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে খাদ্যসামগ্রী তাকেই। তবে ব্যপক অর্থে রিযিক হচ্ছে দেহ, মন , আত্মার খোরাক। মানুষের দেহ, মন ও আত্মার বিকাশ ও সমৃদ্ধির জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই রিযিক। দেখুন আয়াত [ ১৬ : ৭৩ ] ও টিকা ২১০৫।