হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।
O wives of the Prophet! You are not like any other women. If you keep your duty (to Allâh), then be not soft in speech, lest he in whose heart is a disease (of hypocrisy, or evil desire for adultery, etc.) should be moved with desire, but speak in an honourable manner.
يَا نِسَاء النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاء إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا
Ya nisaa alnnabiyyi lastunna kaahadin mina alnnisa-i ini ittaqaytunna fala takhdaAAna bialqawli fayatmaAAa allathee fee qalbihi maradun waqulna qawlan maAAroofan
YUSUFALI: O Consorts of the Prophet! Ye are not like any of the (other) women: if ye do fear (Allah), be not too complacent of speech, lest one in whose heart is a disease should be moved with desire: but speak ye a speech (that is) just.
PICKTHAL: O ye wives of the Prophet! Ye are not like any other women. If ye keep your duty (to Allah), then be not soft of speech, lest he in whose heart is a disease aspire (to you), but utter customary speech.
SHAKIR: O wives of the Prophet! you are not like any other of the women; If you will be on your guard, then be not soft in (your) speech, lest he in whose heart is a disease yearn; and speak a good word.
KHALIFA: O wives of the prophet, you are not the same as any other women, if you observe righteousness. (You have a greater responsibility.) Therefore, you shall not speak too softly, lest those with disease in their hearts may get the wrong ideas; you shall speak only righteousness.
৩২। হে নবী পত্নীগণ ! তোমরা [ সাধারণ ] নারীদের মত নও ৩৭১২। যদি তোমরা [আল্লাহকে ] ভয় পাও , তবে [ পর পুরুষের সাথে ] মধুর ভাবে আলাপ করো না , তা হলে যার অন্তরে রোগ আছে সে তোমাদের কামনা করবে। কিন্তু [যা ] ন্যায়সঙ্গত সে কথা বলবে ৩৭১৩।
৩৭১২। “হে নবী পত্নীগণ ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও ” – এই লাইনটি সব আয়াতগুলির সারমর্ম। নবী পত্নীরা অন্য সাধারণ রমণীদের মত নন। তাঁদের বিবাহও সাধারণ রমণীদের ন্যায় সাধারণ ছিলো না। সাধারণ রমণীদের বিবাহ হচ্ছে সামাজিক ও ব্যক্তিগত অঙ্গীকার মাত্র। কিন্তু নবী পত্নীদের বিবাহ সাধারণ বিবাহের যে ধারণা তার থেকে বহু উর্দ্ধে। কারণ তারা হচ্ছেন মুসলিম উম্মার মাতা। তাঁদের জন্য আছে সমাজে বিশেষ সম্মান এবং সমাজের প্রতি তাঁদের রয়েছে বিশেষ কর্তব্য ও দায়িত্ব। স্ত্রীর কর্তব্য ব্যতীতও তাঁরা সাধারণ রমণী, যারা ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে চায়, তাদের নির্দ্দেশনা দান ও ইসলামের পথে চলতে সাহায্য করার মত দায়িত্ব তাদের উপরে অর্পিত হয়। ইসলাম ধর্ম হচ্ছে এক সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থা এবং সকল মুসলমান এক পরিবারের সদস্য। নারী , পুরুষের মিলিত প্রচেষ্টায় এই পরিবার গঠিত হয়ে থাকে। ইসলামে নারীরও পুরুষের ন্যায় সামাজিক অবস্থানে, বিশেষ স্থান আছে, এবং সে কারণেই নারীর জীবন ব্যবস্থায় একান্ত গোপন ব্যাপারগুলির নির্দ্দেশনা নারীরা নবী পত্নীদের নিকট থেকে গ্রহণ করতেন। আল্লাহ্র হুকুম সমূহ নবী পত্নীদের মাধ্যমে সাধারণ রমণীরা অবগত হতো। কারণ এ সব গোপন ব্যাপার সমূহ পুরুষের প্রকাশ্য মজলিসে আলোচনার বিষয় বস্তু নয়।
৩৭১৩। নবী পত্নীদের উপরে আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে তাঁরা সকলের প্রতি দয়ালু এবং ভদ্র হবে। কিন্তু সকল অবস্থাতেই তারা তাদের সামাজিক সম্মান ও দায়িত্ব কর্তব্য সম্বন্ধে সর্তক থাকবে, যেনো লোকে তাদের ভুল না বোঝে এবং সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা না করে। অন্ধকারময় যুগের সংস্কৃতি অনুযায়ী নিজেকে প্রদর্শিত করা থেকে বিরত থাকার নির্দ্দেশ দান করা হয় নবী পত্নীগণকে।