বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।
Say: ”The angel of death, who is set over you, will take your souls, then you shall be brought to your Lord.”
قُلْ يَتَوَفَّاكُم مَّلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ
Qul yatawaffakum malaku almawti allathee wukkila bikum thumma ila rabbikum turjaAAoona
YUSUFALI: Say: “The Angel of Death, put in charge of you, will (duly) take your souls: then shall ye be brought back to your Lord.”
PICKTHAL: Say: The angel of death, who hath charge concerning you, will gather you, and afterward unto your Lord ye will be returned.
SHAKIR: Say: The angel of death who is given charge of you shall cause you to die, then to your Lord you shall be brought back.
KHALIFA: Say, “You will be put to death by the angel in whose charge you are placed, then to your Lord you will be returned.”
১১। বল : ” তোমাদের জন্য নিযুক্ত মৃত্যুর ফেরেশতা [ ঠিক সময়ে ] তোমাদের আত্মাকে হরণ করবে ৩৬৪২। অতঃপর তোমাদের সকলকে তোমাদের প্রভুর নিকট ফিরিয়ে আনা হবে।”
৩৬৪২। কবি বলেছেন যে, ‘জন্মিলে মরিতে হয়’। পৃথিবীতে এর থেকে বড় সত্য আর কিছু নাই। যদি পরলোকের অনন্ত জীবন এবং সেই জীবনের সুখ শান্তির জন্য পৃথিবীর জীবনকে নির্ধারিত করা না হতো , তবে মানুষের জন্য পৃথিবীর জীবন অর্থহীন হয়ে যেতো। মৃত্যুর সাথে সাথে যে জীবন শেষ হয়ে যায় সে জীবন তো পশু তুল্য। পশুর ন্যায় সে জীবনের কোনও মহত্বর বা উচ্চতর পরিপূর্ণতার দিক নাই। কারণ পশুদের কোনও আত্মা নাই। এ বিশাল বিশ্বভূবনে একমাত্র মানুষেরই জীবনের সাথে আত্মার অস্তিত্ব বিদ্যমান। মৃত্যুর মাঝে মৃত্যুদূত সেই আত্মাকে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং আমাদের আত্মাকে অন্য এক নূতন পৃথিবীতে নীত করে। যদি আমরা আত্মার অস্তিত্বকে স্বীকার করি, তাহলে আমাদের ধর্মকে স্বীকার করতে হয়। কারণ আত্মার অস্তিত্বই হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল ভিত্তি স্বরূপ। আর ধর্মীয় বিশ্বাস হচ্ছে মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবনের অস্তিত্বে বিশ্বাস। সুতারাং অবিনশ্বর আত্মার অস্তিত্বে অবিশ্বাস হচ্ছে নাস্তিকতার ভিত্তি।