নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
Verily, Allâh! With Him (Alone) is the knowledge of the Hour, He sends down the rain, and knows that which is in the wombs. No person knows what he will earn tomorrow, and no person knows in what land he will die. Verily, Allâh is AllKnower, AllAware (of things).
إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
Inna Allaha AAindahu AAilmu alssaAAati wayunazzilu alghaytha wayaAAlamu ma fee al-arhami wama tadree nafsun matha taksibu ghadan wama tadree nafsun bi-ayyi ardin tamootu inna Allaha AAaleemun khabeerun
YUSUFALI: Verily the knowledge of the Hour is with Allah (alone). It is He Who sends down rain, and He Who knows what is in the wombs. Nor does any one know what it is that he will earn on the morrow: Nor does any one know in what land he is to die. Verily with Allah is full knowledge and He is acquainted (with all things).
PICKTHAL: Lo! Allah! With Him is knowledge of the Hour. He sendeth down the rain, and knoweth that which is in the wombs. No soul knoweth what it will earn to-morrow, and no soul knoweth in what land it will die. Lo! Allah is Knower, Aware.
SHAKIR: Surely Allah is He with Whom is the knowledge of the hour, and He sends down the rain and He knows what is in the wombs; and no one knows what he shall earn on the morrow; and no one knows in what land he shall die; surely Allah is Knowing, Aware.
KHALIFA: With GOD is the knowledge about the Hour (end of the world). He is the One who sends down the rain, and He knows the contents of the womb. No soul knows what will happen to it tomorrow, and no one knows in which land he or she will die. GOD is Omniscient, Cognizant.
৩৪। [ শেষ বিচারের ] সময়ের জ্ঞান রয়েছে [ কেবলমাত্র ] আল্লাহ্র নিকট। তিনি বৃষ্টি প্রেরণ করেন, এবং তিনিই জানেন জরায়ুতে কি আছে ৩৬২৫। কেউ জানে না আগামী কাল সে কি অর্জন করবে, এবং কেউ জানে না কোন দেশে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র নিকট রয়েছে পূর্ণ জ্ঞান এবং তিনি [ এ সবের সাথে ] পরিচিত ৩৬২৭।
৩৬২৫। বৃষ্টি ও জরায়ূর উল্লেখের মাধ্যমে আল্লাহ্র জ্ঞানের রূপরেখার সামান্য পরিমাণকে তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিম্নোক্ত বিষয় গুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে :
১) কিয়ামতের জ্ঞান
২) বৃষ্টি
৩) নূতন জীবনের সৃষ্টি [জরায়ূতে আছে ]
৪) প্রতিদিনের জীবনযাত্রা
৫) আমাদের মৃত্যু [ দেখুন টিকা ৩৬২৭ ]।
বৃষ্টির ব্যাপারে একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে প্রাকৃতিক আইন বা বিজ্ঞানের সুত্রের সমন্বয় কি অপূর্ব ভাবেই না ঘটেছে এখানে। সাগরের বিশাল লবণাক্ত জলরাশি সূর্যের তাপে বাষ্পে পরিণত হয়ে মিষ্টি পানির আধাঁর মেঘে পরিণত হয়। সেই মেঘ বায়ু তাড়িত হয়ে শুষ্ক স্থলভাগে প্রবাহিত হয় এবং স্থলভাগকে সিক্ত করে উর্বর করে। ফলে মাটি শস্য শ্যামল হয়ে ওঠে। সন্দেহ নাই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াতে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সুত্র জড়িত যা আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত। কিন্তু চিন্তা করার বিষয় কি অপূর্ব ভাবে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সুত্র গুলিকে একত্রে সমন্বিত করা হয়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞান, গতিবিদ্যা, জলবায়ু সংক্রান্ত বিজ্ঞান, বাতাসের আর্দ্রতা নির্ণয় বিদ্যা,ইত্যাদি বিজ্ঞানের বহু শাখার জ্ঞানের প্রয়োজন শুধুমাত্র বৃষ্টি পাতের কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য। এতো শুধু একটি মাত্র প্রাকৃতিক ঘটনার বর্ণনা করা হলো, প্রকৃতিতে এরূপ হাজার হাজার ঘটনা বিদ্যমান যা আল্লাহ্র আইন ও জ্ঞানের স্বাক্ষর। সম্পূর্ণ বিশ্ব প্রকৃতির পরিচালনা আল্লাহ্র জ্ঞানেরই স্বাক্ষর। জরায়ূর উল্লেখের মাধ্যমে প্রাণী সৃষ্টির রহস্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এর মাঝেও নিহিত আছে বিজ্ঞানের ও সমাজবিজ্ঞানের হাজারো জ্ঞানের বার্তা যেমন : ভ্রূণের বিকাশের জ্ঞান, যৌন জীবন, ইত্যাদি ইত্যাদি বিজ্ঞানের হাজারো জ্ঞান। কেউ কি জানে কে কতদিন জরায়ূর অন্ধকারে বাস করবে ? শিশু কি সুস্থ অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করবে ? জন্মের পরে পূর্ণবয়স্করূপে তার কি বিশেষত্ব হবে, সে কি তার পিতামাতার বা সমাজের জন্য আর্শীবাদ না অভিশাপ হবে ? ইত্যাদি হাজারো প্রশ্নের জ্ঞান আছে একমাত্র আল্লাহ্র নিকট।
৩৬২৭। উপরের টিকাতে পাঁচটি রহস্যের জ্ঞানকে সারসংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এই আয়াতে সময় ও জ্ঞান সম্বন্ধে যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে। আমাদের সভ্যতার অগ্রগতিতে আমরা আমাদের জ্ঞানের জন্য গর্ব বোধ করি। কিন্তু আল্লাহ্র অগাধ জ্ঞানের নিকট এই জ্ঞান খুবই সামান্য। আর বিশ্বের অনন্ত প্রবাহে সময়ের প্রকৃত জ্ঞান সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান আরও অনিশ্চিত। আমরা জানি বৃষ্টিপাত উদ্ভিদের জন্ম দেয়, মাটিকে শস্য শ্যামল ভূমিতে পরিণত করে, জরায়ূর অন্ধকারে নূতন জীবনের সুত্রপাত ঘটে। কিন্তু আমরা কি সঠিকভাবে বলতে পারবো কখন, কোনসময়ে কোথায় তা ঘটবে ? ঠিক সেরূপই ঘটে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে। আমরা জানি না কবে কোথায় কিভাবে আমাদের জীবনাবসান ঘটবে। শেষ বিচারের দিন বা Ma’ad সম্বন্ধেও আমাদের জ্ঞান সীমাবদ্ধ। এই সেই দিন যেদিন প্রতিটি বিষয়ের প্রকৃত মূল্যায়ন হবে এবং সঠিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে। মানব জীবন চক্রের সত্যের এই প্রকৃত রূপকে সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা অনুধাবন করতে পারিনা। কিন্তু তা অবশ্যই ঘটবে কিন্তু কখন তা আমরা জানি না। একমাত্র তা জানেন আল্লাহ্। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।