মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে।
And that which you give in gift (to others), in order that it may increase (your wealth by expecting to get a better one in return) from other people’s property, has no increase with Allâh, but that which you give in Zakât seeking Allâh’s Countenance then those, they shall have manifold increase.
وَمَا آتَيْتُم مِّن رِّبًا لِّيَرْبُوَ فِي أَمْوَالِ النَّاسِ فَلَا يَرْبُو عِندَ اللَّهِ وَمَا آتَيْتُم مِّن زَكَاةٍ تُرِيدُونَ وَجْهَ اللَّهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُضْعِفُونَ
Wama ataytum min riban liyarbuwa fee amwali alnnasi fala yarboo AAinda Allahi wama ataytum min zakatin tureedoona wajha Allahi faola-ika humu almudAAifoona
YUSUFALI: That which ye lay out for increase through the property of (other) people, will have no increase with Allah: but that which ye lay out for charity, seeking the Countenance of Allah, (will increase): it is these who will get a recompense multiplied.
PICKTHAL: That which ye give in usury in order that it may increase on (other) people’s property hath no increase with Allah; but that which ye give in charity, seeking Allah’s Countenance, hath increase manifold.
SHAKIR: And whatever you lay out as usury, so that it may increase in the property of men, it shall not increase with Allah; and whatever you give in charity, desiring Allah’s pleasure– it is these (persons) that shall get manifold.
KHALIFA: The usury that is practiced to increase some people’s wealth, does not gain anything at GOD. But if you give to charity, seeking GOD’s pleasure, these are the ones who receive their reward manifold.
৩৯। [ অন্য ] লোকের সম্পত্তির মাধ্যমে বৃদ্ধি পাবে বলে তোমরা যা ব্যয় কর; আল্লাহ্র দৃষ্টিতে তা বৃদ্ধি বলে পরিগণিত নয় ৩৫৫২। কিন্তু আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যা তোমরা দান হিসেবে ব্যয় কর [ তা বৃদ্ধি পাবে ] ৩৫৫৩। এরাই তারা যাদের বহুগুণে পুরষ্কৃত করা হবে।
৩৫৫২। “Riba” হচ্ছে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন যেমন, সুদ, ঘুষ, প্রতারণাপূর্ণ ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি। দেখুন আয়াত [ ২ : ২৭৫ – ২৭৭ ] এবং টিকা ৩২৪ -৩২৭। অন্যায়ভাবে অপরের রক্ত শোষণ করে সম্পদ অর্জন করা হারাম। বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যা ব্যক্তি স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় হতে পারে তা ব্যক্তিগত , জাতীয় বা আর্ন্তজাতিক এ সকল কিছুই “Riba” শব্দটির আওতায় পড়ে। মূলনীতি হচ্ছে বিনা পরিশ্রমে অন্যের উপর দিয়ে, অপরের পরিশ্রমে, অপরকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ধন সম্পদ অর্জন করাকে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সম্পদ অর্জনের প্রতিযোগীতায়, অপরকে শোষণ করার উপায়গুলি, ভাষার মারপ্যাচে, রচনা শৈলীকে দুর্বোধ্য করে তাকে আইনগত অধিকার দান করলেও তা ইসলামে তা নিষিদ্ধ। এই আয়াতে এরূপ কর্মকান্ডকে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এই আয়াতে অন্যকে শোষণ করে অর্থ উপার্জন শুধু যে নিন্দা করা হয়েছে তাই-ই নয় এই অন্যায় কাজের বিপরীত প্রতিশোধকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য , সহায়, সম্পদ, দিয়ে অভাবগ্রস্থদের সাহায্য করতে। যদি আমরা তা করতে পারি আল্লাহ্ আমাদের আশ্বাস দান করেছেন যে, আমাদের প্রাপ্য অপেক্ষা বহুগুণ বেশী পুরষ্কৃত করা হবে। তফসীরকারদের মতে এই আয়াতটিতে তাদেরকেই সম্বোধন করা হয়েছে যারা ভালো কাজের প্রতিদান গ্রহীতার নিকট থেকে আশা করে থাকে। যেহেতু তাদের প্রত্যাশা পৃথিবীর মানুষের কাছে, তাদের কাজ আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য নিবেদিত নয়, সুতারাং তাদের ভালো কাজের পুরষ্কার ঐশ্বরিক হবে না, এ সব ‘ভালো কাজ’ আল্লাহ্র নিকট মূল্যহীন। কারণ আল্লাহ্ প্রত্যেকের কাজের নিয়ত বা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে জ্ঞাত, তিনি তাদের লোক দেখানো ভালো কাজের কোনও মূল্য দেন না।
৩৫৫৩। ” আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভ ” – অর্থাৎ কাজের নিয়ত হবে সর্বশক্তিমানের সন্তুষ্টি লাভের জন্য। দেখুন টিকা ৩৫৫০।