নভোমন্ডলে ও ভুমন্ডলে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ।
To Him belongs whatever is in the heavens and the earth. All are obedient to Him.
وَلَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلٌّ لَّهُ قَانِتُونَ
Walahu man fee alssamawati waal-ardi kullun lahu qanitoona
YUSUFALI: To Him belongs every being that is in the heavens and on earth: all are devoutly obedient to Him.
PICKTHAL: Unto Him belongeth whosoever is in the heavens and the earth. All are obedient unto Him.
SHAKIR: And His is whosoever is in the heavens and the earth; all are obedient to Him.
KHALIFA: To Him belongs everyone in the heavens and the earth; all are subservient to Him.
২৬। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর অধীনে। সকলেই একান্তভাবে তারই অনুগত ৩৫৩২।
৩৫৩২। এই আকাশ, পৃথিবী ও সারা বিশ্ব ভূমন্ডল আল্লাহ্র হুকুম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জড় জগত ও জীব জগত সকলেই একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্র হুকুম পালন করে থাকে। কারণ তাদের আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করার সাধ্য নাই। সে ক্ষমতা তাদের দেয়া হয় নাই। আল্লাহ্ যে নির্দ্দিষ্ট ধর্ম তাদের জন্য স্থির করে দিয়েছেন, যে প্রাকৃতিক আইনের অর্ন্তভূক্ত করেছেন তার বাইরে তারা কখনও যায় না। অর্থাৎ যে জীবনকে স্রষ্টা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন , তাকে সেই উদ্দেশ্যের প্রতি পথ প্রদর্শনও করেছেন। যেমন : মৌমাছির মধ্যে ফুল চেনা মৌচাক তৈরী করা ইত্যাদি। সেই হিসেবে তারা সর্বদা আল্লাহ্র আইন মানার মাধ্যমে আল্লাহ্র মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে এবং আনুগত্য প্রকাশ করছে। একমাত্র মানুষকেই আল্লাহ্ “সীমিত” আকারে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দান করেছেন। যার ফলে সে ইচ্ছা করলে ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করতে পারে অথবা মন্দকে গ্রহণ ও ভালোকে বর্জন করতে পারে। আল্লাহ্ প্রদত্ত যোগ্যতাকে মানুষ নিজ ইচ্ছায় ব্যবহার করতে পারে। প্রকৃতিগতভাবে আল্লাহ্ প্রতিটি আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন পূত ও পবিত্র রূপে। প্রতিটি আত্মার স্বভাবগত ধর্ম হচ্ছে স্রষ্টার সান্নিধ্যলাভ করার আকাঙ্খা। একমাত্র পূত পবিত্র আত্মাই স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভে সক্ষম। পৃথিবীর সকল সৃষ্টিই “তাঁর আজ্ঞাবহ”।
সুতারাং আত্মা তার স্বভাবগত ধর্মে প্রতিষ্ঠিত থাকতে চাইবে , এবং সৃষ্টির অন্যান্য বস্তু ও প্রাণীর মত, আল্লাহ্র আনুগত্য প্রকাশের মাধ্যমে; আত্মা প্রকৃতিগত ভাবে বিকাশ ও সমৃদ্ধি লাভ করবে।