তিনি মৃত থেকে জীবিতকে বহির্গত করেন জীবিত থেকে মৃতকে বহির্গত করেন, এবং ভূমির মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। এভাবে তোমরা উত্থিত হবে।
He brings out the living from the dead, and brings out the dead from the living. And He revives the earth after its death. And thus shall you be brought out (resurrected).
يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَكَذَلِكَ تُخْرَجُونَ
Yukhriju alhayya mina almayyiti wayukhriju almayyita mina alhayyi wayuhyee al-arda baAAda mawtiha wakathalika tukhrajoona
YUSUFALI: It is He Who brings out the living from the dead, and brings out the dead from the living, and Who gives life to the earth after it is dead: and thus shall ye be brought out (from the dead).
PICKTHAL: He bringeth forth the living from the dead, and He bringeth forth the dead from the living, and He reviveth the earth after her death. And even so will ye be brought forth.
SHAKIR: He brings forth the living from the dead and brings forth the dead from the living, and gives life to the earth after its death, and thus shall you be brought forth.
KHALIFA: He produces the live from the dead, and produces the dead from the live, and He revives the land after it had died; you are similarly resurrected.
১৯। তিনিই মৃত থেকে জীবন্তকে বের করে আনেন ও জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন ৩৫২২ এবং যিনি মৃত্যুর পরে ভূমিকে জীবন দান করেন। এবং এভাবেই তোমাদের বের করে আনা হবে [ মৃত্যুর পরে ] ৩৫২৩।
৩৫২২। দেখুন আয়াত[ ১০ : ৩১ ]। আল্লাহ্র কৌশলে মৃত বস্তু জীবন্ত রূপ ধারণ করে। যথাঃ মরুভূমির ন্যায় মৃত ভূমি বৃষ্টির পানির স্পর্শে সজীবতা লাভ করে জীবন্ত হয়ে ওঠে। গাছের বীজ নির্জিব ঘুমন্ত অবস্থায় মনে হয় মৃত। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশে জীবন্তরূপ ধারণ করে পরিপূর্ণ বৃক্ষে রূপান্তর হয়। মৃত্যু ও জীবন এক সুক্ষ রেখা দ্বারা বিভক্ত। জীবনের এই রহস্য বিজ্ঞানও সমাধান করতে পারে না – মৃত্যু এবং জীবনের সংঙ্গা আজও মানুষের কাছে অজ্ঞাত। জীবন শুরু হয়, পরিপূর্ণতা লাভ করে, আবার এক সময়ে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যায় – এই তো জীবনের খেলা। এই পার্থিব জীবনের কোন কিছুই স্থায়ী নয়। কিন্তু আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যে এক অদৃশ্য কৌশল বিদ্যমান যার ফলে মৃত্যুর মাঝেও কোনও সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যায় না। তাঁর সৃষ্টিধর্মী কাজ অবিচ্ছিন্ন অবিরল ধারাতে চলতে থাকে, জীবন ও মৃত্যু চক্রাকারে আবর্তিত হয়। জীবন মৃত্যুর মাঝে শেষ হয়ে যায়। আবার মৃত্যুর মধ্যেই নূতন জীবনের আভির্ভাব ঘটে।
৩৫২৩। দেখুন [ ২ : ১৬৪] আয়াত। শুষ্ক , ঊষর মরুভূমিকে মৃত ও জীবন শূন্য মনে হয়, কিন্তু ভারী এক পশলা বৃষ্টি সেই মৃত মাটিকে সজীবতা ফিরিয়ে দেয়, এবং পৃথিবী ফুল ও ফসলে ভরে ওঠে , প্রাণীকূলের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে সাধারণতঃ শীতকালে ও খরার সময়ে , যখন বৃষ্টিপাত খুব সামান্য হয়, বৃক্ষ তরুলতা সবই মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে , – আবার বসন্তের আগমনের সাথে সাথে সকল তরু-লতা সজীবতা ফিরে পায়; পৃথিবী আবার জীবন্ত রূপ ধারণ করে। “মৃত থেকে জীবন্তের ও জীবন্ত থেকে মৃতের আভির্ভাব” – বাক্যটি রূপলঙ্কার স্বরূপ। প্রতিদিনের জীবনের বহু ঘটনা , আন্দোলন, বহু প্রতিষ্ঠান, সংগঠিত দল, আইন সময়ের আবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যায় ; আবার নূতন রূপে তা জন্মগ্রহণ করে। সব কিছুই ঘটে আল্লাহ্র বিচক্ষণ বিধান অনুযায়ী। সুতারাং পার্থিব জীবনের সকল কিছুরই মৃত্যু ঘটে বা ধবংস হয়ে যায়। আবার পুণরাভির্ভাব ঘটে। ” এই ভাবে তোমাদের বের করে আনা হবে ” – অর্থাৎ মৃত্যুর মধ্যে দিয়েই আমাদের বিনাশ ঘটবে না। মৃত্যুর মাঝে নশ্বর দেহের ধবংস হবে। কিন্তু আমাদের আত্মা বা আমিত্ব বা ব্যক্তিসত্ত্বার মৃত্যু ঘটবে না। তা আবার পূণর্জীবিত করা হবে এবং পার্থিব জীবনের কর্মফল ভোগ করতে হবে।