1 of 3

029.045

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।
Recite (O Muhammad SAW) what has been revealed to you of the Book (the Qur’ân), and perform As-Salât (Iqamât­as­Salât). Verily, As-Salât (the prayer) prevents from Al-Fahshâ’ (i.e. great sins of every kind, unlawful sexual intercourse, etc.) and Al-Munkar (i.e. disbelief, polytheism, and every kind of evil wicked deed, etc.) and the remembering (praising, etc.) of (you by) Allâh (in front of the angels) is greater indeed [than your remembering (praising, etc.) Allâh in prayers, etc.]. And Allâh knows what you do.

اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
Otlu ma oohiya ilayka mina alkitabi waaqimi alssalata inna alssalata tanha AAani alfahsha-i waalmunkari walathikru Allahi akbaru waAllahu yaAAlamu ma tasnaAAoona

YUSUFALI: Recite what is sent of the Book by inspiration to thee, and establish regular Prayer: for Prayer restrains from shameful and unjust deeds; and remembrance of Allah is the greatest (thing in life) without doubt. And Allah knows the (deeds) that ye do.
PICKTHAL: Recite that which hath been inspired in thee of the Scripture, and establish worship. Lo! worship preserveth from lewdness and iniquity, but verily remembrance of Allah is more important. And Allah knoweth what ye do.
SHAKIR: Recite that which has been revealed to you of the Book and keep up prayer; surely prayer keeps (one) away from indecency and evil, and certainly the remembrance of Allah is the greatest, and Allah knows what you do.
KHALIFA: You shall recite what is revealed to you of the scripture, and observe the Contact Prayers (Salat), for the Contact Prayers prohibit evil and vice. But the remembrance of GOD (through Salat) is the most important objective. GOD knows everything you do.

একবিংশতিতম পারা

রুকু – ৫

৪৫। তুমি আবৃত্তি কর কিতাব থেকে যা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়েছে ৩৪৭১। এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা কর, নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। এবং নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র স্মরণ [ জীবনের জন্য ] সর্বোৎকৃষ্ট কাজ। তোমরা [ যে কাজ ] কর , আল্লাহ্‌ তা জানেন।

৩৪৭১। ‘Tilawat’ কোরাণ শরীফ আবৃত্তি করার পরিবর্তে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ অত্যন্ত ব্যপক। এর দ্বারা যা বুঝানো হয় তা হচ্ছে :

১) উচ্চ কণ্ঠে পুণরাবৃত্তি করা বা আবৃত্তি করা এবং তা পৃথিবীর সম্মুখে প্রকাশ করা,

২) আমাদের নিজেদের আত্মিক উপকারের জন্য পড়া,

৩) এর অর্থকে হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অন্তরে অনুভব ও উপলব্ধি করার জন্য অর্থ বুঝে পড়া ও উপলব্ধি করা প্রয়োজন [ ২ : ১২১ ] ,

৪) কোরাণের বক্তব্য আল্লাহ্‌র বক্তব্য; বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ

সুতারাং শুধু পড়ার এবং বোঝার মাধ্যমেই এর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। কোরাণের বক্তব্যের উপরে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা, যদি কোরাণ শরীফ বুঝে পড়ে তার উপরে চিন্তা ভাবনা ও ধ্যান করি , তাহলেই শুধু আমাদের আধ্যাত্মিক জ্ঞানের দিগন্ত প্রসারিত হতে পারে, আমাদের জীবন ধারণ ও আশা-আকাঙ্খা আল্লাহ্‌র ইচ্ছার সাথে সমন্বিত হতে পারে। যখন আমরা তা করতে পারি ,তখনই আমাদের প্রার্থনা বা সালাত আমাদের জীবনের সাথে মিশে যায়, আমাদের সকল চাওয়া পাওয়া আল্লাহ্‌র ইচ্ছার সাথে সমন্বিত হয়ে তার স্বতঃস্ফুর্ত বাহ্যিক প্রকাশ ঘটে। তার ফলে আমাদের আত্মা পরিশুদ্ধ হয়, কারণ আমাদের সকল কাজ, পরিকল্পনা, চিন্তা-ভাবনা, কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত ,বক্তব্য অর্থ এক কথায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে , ফলে সকল অন্যায় অসত্য থেকে আত্মা রক্ষা পায় ও পরিশুদ্ধতা লাভ করে। এভাবে আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশের বা কোরাণের বক্তব্যের চিন্তায় সমগ্র সত্তাকে আপ্লুত করার ফলে বান্দার প্রার্থনা বা সালাত তাঁকে আল্লাহ্‌র উপস্থিতি তাঁর হৃদয়ের মাঝে উপলব্ধিতে সাহায্য করে ফলে তার তৃতীয় নয়ন বা অন্তর্দৃষ্টি জন্মলাভ ঘটে। হৃদয়ের মাঝে আল্লাহ্‌র উপস্থিতির অনুভবের মাধ্যমে , অন্তরে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতায় মন ভরে ওঠে। আর তাই -ই হচ্ছে প্রকৃত জিক্‌র [Zikr] বা আল্লাহকে স্মরণ করা। মুখে আল্লাহ কে স্মরণ করে , হৃদয় যদি অন্য কথা বলে বা চিন্তা করে, তা কখনও জিক্‌র পর্যায়ে পড়ে না। জিকর অর্থ স্মরণ করা। স্মরণ করার অর্থ হচ্ছে যা আমাদের সম্মুখে নাই তার উপস্থিতি হৃদয়ের মাঝে ধারণ করা , মনঃচক্ষে দেখতে পাওয়া। সুতারাং প্রকৃত সালাত ও জিকর আমাদের আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য উপলব্ধিতে সাহায্য করে। আর এর শুরু হচ্ছে কোরাণ পাঠে, আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশের সাথে নিজস্ব চিন্তা চেতনাকে আপ্লুত করার ফলে। পরবর্তীতে চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে কর্মে। নিজেকে উপলব্ধি করা ও নিজের সত্তার মাঝে আল্লাহ্‌র উপস্থিতি অনুভব করার এক অনন্য পদ্ধতি হচ্ছে কোরাণ তেলাওয়াত। জীবনে এ এক পরম ও চরম পাওয়া। যদিও আল্লাহ্‌র উপস্থিতি সর্বত্র বিদ্যমান , কিন্তু আমাদের কর্মফলে আমরা হৃদয়ের মাঝে তাঁকে অনুভব করতে পারি না। শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র বাণী বা কোরাণের বক্তব্য উপলব্ধির মাধ্যমে হৃদয়ের এই বন্ধ্যাত্ব দূর হয়।