মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?
Do people think that they will be left alone because they say: ”We believe,” and will not be tested.
أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ
Ahasiba alnnasu an yutrakoo an yaqooloo amanna wahum la yuftanoona
YUSUFALI: Do men think that they will be left alone on saying, “We believe”, and that they will not be tested?
PICKTHAL: Do men imagine that they will be left (at ease) because they say, We believe, and will not be tested with affliction?
SHAKIR: Do men think that they will be left alone on saying, We believe, and not be tried?
KHALIFA: Do the people think that they will be left to say, “We believe,” without being put to the test?
০২। মানুষ কি মনে করে যে, ” আমরা ঈমান এনেছি ” – এ কথা বললেই তাদের অব্যহতি দেয়া হবে ৩৪২৩। এবং তাদের কোন পরীক্ষা নেয়া হবে না ?
৩৪২৩। ‘Lip profession’ বা শুধু কথার কথা। যে কথার সাথে চিন্তা বা কার্য পদ্ধতির কোনও মিল নাই। যদি কেউ নিজেকে মৌখিক ভাবে ঈমানদার দাবী করে, তবে তাঁর ঈমানের মানদণ্ড আল্লাহ্র নিকট পরীক্ষিত হতে হবে। পৃথিবীর সকল কিছুই সেই সর্বশক্তিমানের নিয়ন্ত্রণে। আল্লাহ্র আইন ভঙ্গ করার ক্ষমতা এই পৃথিবীতে কারও নাই। শুধু মানুষকে আল্লাহ্ “সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” দান করেছেন। ইচ্ছা করলে সে ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করতে পারে অথবা মন্দকে গ্রহণ ও ভালোকে বর্জন করতে পারে। এই স্বাধীন ইচ্ছা শক্তিকে সে কিভাবে ব্যবহার করেছে পৃথিবীতে , সৎপথে না বিপথে , তারই হিসাব হবে পরলোকে। মানুষের বিশ্বাস বা ঈমানকেও সর্বশক্তিমান যাচাই করে নেবেন , বিপদ বিপর্যয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে। ব্যক্তিগত জীবনে সকল পরিবেশে , সকল অবস্থায় , দুঃখে , সুখে যে শুধুমাত্র আল্লাহ্র উপরে নির্ভর করতে পারে , সেই তো সফলকাম ভাবে উত্তীর্ণ হয়। দুঃখের অমানিশা ,বিপদ , বিপর্যয়ের কালো মেঘ যখন আমাদের সর্ব অস্তিত্বকে ঘিরে ধরে, তখনও যে আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে নিঃশর্ত ভাবে আত্মসমর্পন করে, আল্লাহ্র মঙ্গল ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে বিপদ উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করে, আল্লাহকে সবার উপরে স্থান দেয়, সেই তো পারে অবিচলিতভাবে , ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায়ের সাথে, বিপদের ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ সমুদ্র পাড়ি দিতে, বিপদকে মোকাবিলা করতে।
বিপর্যয়ের, বিপদের সাগর পাড়ি দিতে আমাদের দুঃখ, ব্যথা ও আত্মত্যাগের প্রয়োজন হয় ঠিকই, কিন্তু এ সবের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের আত্মিক ভাবে পরিশুদ্ধ করেন, চরিত্রের গুণাবলীকে উন্নত করেন। বিপদকে অবিচলভাবে মোকাবিলার মাধ্যমে চরিত্রে ধৈর্য্য, সাহস, অধ্যবসায়ের জন্ম নেয়। দুঃখের আগুনে পুড়ে চরিত্র খাঁটি সোনাতে রূপান্তরিত হয় – যেভাবে স্বর্ণকার আগুনে পুড়িয়ে সোনাকে খাঁটি করে।শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে ধর্ম পালনের মাধ্যমে মোমেন বান্দা হওয়া যায় না। এই আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন বিভিন্ন্ ঘটনার প্রেক্ষাপটে বান্দার স্ব-ইচ্ছায় আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতাকে পরীক্ষা করা হবে, কে স্ব-ইচ্ছায় আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পন করে। আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতা নির্ভর করে মানুষের ” সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” প্রয়োগের উপরে। দেখুন টিকা ৪৮১ ও আয়াত [ ৩ : ১৭৯ ]।