আর যারা জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছিল, তার বলল, ধিক তোমাদেরকে, যারা ঈমানদার এবং সৎকর্মী, তাদের জন্যে আল্লাহর দেয়া সওয়াবই উৎকৃষ্ট। এটা তারাই পায়, যারা সবরকারী।
But those who had been given (religious) knowledge said: ”Woe to you! The Reward of Allâh (in the Hereafter) is better for those who believe and do righteous good deeds, and this none shall attain except those who are patient (in following the truth).”
وَقَالَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَيْلَكُمْ ثَوَابُ اللَّهِ خَيْرٌ لِّمَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا وَلَا يُلَقَّاهَا إِلَّا الصَّابِرُونَ
Waqala allatheena ootoo alAAilma waylakum thawabu Allahi khayrun liman amana waAAamila salihan wala yulaqqaha illa alssabiroona
YUSUFALI: But those who had been granted (true) knowledge said: “Alas for you! The reward of Allah (in the Hereafter) is best for those who believe and work righteousness: but this none shall attain, save those who steadfastly persevere (in good).”
PICKTHAL: But those who had been given knowledge said: Woe unto you! The reward of Allah for him who believeth and doeth right is better, and only the steadfast will obtain it.
SHAKIR: And those who were given the knowledge said: Woe to you! Allah’s reward is better for him who believes and does good, and none is made to receive this except the patient.
KHALIFA: As for those who were blessed with knowledge, they said, “Woe to you, GOD’s recompense is far better for those who believe and lead a righteous life.” None attains this except the steadfast.
৮০। কিন্তু যাদের [সত্য ] জ্ঞান দান করা হয়েছিলো , তারা বলেছিলো , ” তোমাদের জন্য আফসোস্ ! যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে [ পরলোকে ] আল্লাহ্র দেয় পুরষ্কার তাদের জন্য হবে সর্বোৎকৃষ্ট। যারা [ সত্যের প্রতি ] দৃঢ়তার সাথে অধ্যাবসায়ী হয় তারা ব্যতীত অন্য কেউ তা অর্জনে সক্ষম হবে না।”
৮১। অতঃপর আমি তাকে এবং তার প্রাসাদকে ভূগর্ভে প্রোথিত করলাম। তার পক্ষে এমন কোন [ছোট ] দলও ছিলো না যারা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য করতে পারতো, সে নিজেও আত্মরক্ষায় সক্ষম ছিলো না ৩৪১১।
৩৪১১। দেখুন টিকা ৩৪০৪ আরও দেখুন [ ১৬ : ৪৫ ] আয়াত ও টিকা ২০৭১। এই কাহিনীর নৈতিক উপদেশ হচ্ছে, আর্থিক ধন-সম্পদ খুবই ক্ষণস্থায়ী বস্তু , কিন্তু তবুও তা অনেকের জন্য একান্ত কাম্য বস্তু এবং পরিণামে ধ্বংসের কারণ। তবে মওলানা ইউসুফ আলীর মতে সম্পূর্ণ কাহিনীতে আরও কিছু রূপক শোভিত অর্থ বিদ্যমান সেগুলি নিম্নরূপ :
১) সোনা বা রূপা বা সম্পদ এর নিজস্ব কোনও মূল্যমান নাই। যা কিছু মূল্যমান তা সমাজ সংসার থেকে আরোপিত।
২) কারূণ গোত্র হিসেবে ইহুদীদের গোত্রভূক্ত ছিলো। সে হিসেবে শারীরিক দিক থেকে ইহুদীদের সাথেই মরুভূমিতে ভ্রমণ করছিলো , কিন্তু তার হৃদয়, আত্মা , মন সবই মিশরে পড়ে ছিলো কারণ সেখানের সম্পদের দাসত্বে সে ছিলো বন্দী। কারূণের মত অবস্থা বহু মোনাফেকের হয়। এ সব মোনাফেকের নিজেদের পূণ্যাত্মাদের সমপর্যায়ে দেখতে ভালোবাসে , কিন্তু তাদের চিন্তা কার্য , আকাঙ্খা পূণ্যাত্মাদের সঙ্গের অনুপযোগী।
৩) সকলের মঙ্গলের উৎস আল্লাহ্। যদি আমরা তা না বুঝতে পারি , তবেই আমরা আল্লাহ্র সাথে শরীক কল্পনা করি। আমাদের জ্ঞান, বুদ্ধি এতটাই সীমিত যে, তা যেনো উদ্ধত অন্ধ অহংকারে আল্লাহ্র সাথে প্রতিদ্বন্দিতা না করে।
৪) কারূণ যদি তার ঐশ্বর্যের গর্বে অন্ধ হয়ে না যেতো, তা হলে সে বুঝতে পারতো জাগতিক বুদ্ধি জ্ঞান, আধ্যাত্মিক জ্ঞানের নিকট কত অকিঞ্চিতকর। আধ্যাত্মিক নেতার তুলনায় রাজনৈতিক নেতা অত্যন্ত ক্ষুদ্র ও নগন্য।