ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার নয়নমণি, তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে পুত্র করে নিতে পারি। প্রকৃতপক্ষে পরিণাম সম্পর্কে তাদের কোন খবর ছিল না।
And the wife of Fir’aun (Pharaoh) said: ”A comfort of the eye for me and for you. Kill him not, perhaps he may be of benefit to us, or we may adopt him as a son.” And they perceive not (the result of that).
وَقَالَتِ امْرَأَتُ فِرْعَوْنَ قُرَّتُ عَيْنٍ لِّي وَلَكَ لَا تَقْتُلُوهُ عَسَى أَن يَنفَعَنَا أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
Waqalati imraatu firAAawna qurratu AAaynin lee walaka la taqtuloohu AAasa an yanfaAAana aw nattakhithahu waladan wahum la yashAAuroona
YUSUFALI: The wife of Pharaoh said: “(Here is) joy of the eye, for me and for thee: slay him not. It may be that he will be use to us, or we may adopt him as a son.” And they perceived not (what they were doing)!
PICKTHAL: And the wife of Pharaoh said: (He will be) a consolation for me and for thee. Kill him not. Peradventure he may be of use to us, or we may choose him for a son. And they perceived not.
SHAKIR: And Firon’s wife said: A refreshment of the eye to me and to you; do not slay him; maybe he will be useful to us, or we may take him for a son; and they did not perceive.
KHALIFA: Pharaoh’s wife said, “This can be a joyous find for me and you. Do not kill him, for he may be of some benefit for us, or we may adopt him to be our son.” They had no idea.
০৯। ফেরাউনের স্ত্রী বলেছিলো, ” [ এই শিশু ] আমার ও তোমার চক্ষু শীতলকারী ৩৩৩৫। ওকে হত্যা করো না। এমনও হতে পারে যে, সে আমাদের উপকারে আসবে অথবা আমরা তাঁকে পুত্ররূপে গ্রহণ করতে পারবো।” বস্তুতঃ তারা অনুধাবন করতে পারে নাই [কি তাদের কাজের পরিণাম ] ৩৩৩৬।
৩৩৩৫। হযরত মুসা দেখতে ছিলেন অত্যন্ত সুন্দর। ফেরাউনের কোনও পুত্র সন্তান ছিলো না, শুধু একটি কন্যা ছিলো পরবর্তীতে যে কন্যা ফেরাউনের সিংহাসনের অংশ গ্রহণ করে। অনেকে মনে করেন এই ফেরাউন হচ্ছেন তুত্মাস।
৩৩৩৬। আল্লাহ্র পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতা কি ভাবে কাজ করে তার অনুধাবন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ঐশ্বরিক বিচক্ষণতার পরিণামে দেখা যায় পাপী তার নিজস্ব কর্মের দ্বারাই শেষ পর্যন্ত ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। শুধু তাই-ই নয়, পাপীর ইচ্ছা না থাকলেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও তারই কর্মের পরিণামে মন্দ অবদমিত হয়ে ভালো প্রতিষ্ঠা লাভ করে থাকে। হযরত মুসার কাহিনীর মাধ্যমে এই চিরন্তন সত্যের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। যে বালক সম্পর্কে স্বপ্ন ও স্বপ্নের ব্যাখ্যার ভিত্তিতে ফেরাউন শঙ্কিত হয়েছিলো এবং যার কারণে বনী ইসরাঈলীদের অসংখ্য নবজাতক পুত্র সন্তানকে হত্যা করার আইন জারি করা হয়েছিলো , তাকে আল্লাহ্ এই ফেরাউনেরই গৃহে, তারই হাতে লালিত পালিত করলেন। এ ভাবেই বিস্ময়কর ভাবে আল্লাহ্র সূদূর প্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অনুধাবন করা অসাধ্য। সে কারণে কোন দুর্যোগ বা বিপদে ধৈর্য্যহারা না হয়ে আল্লাহ্র প্রতি ভরসা রেখে অগ্রসর হতে বলা হয়েছে। আজ যা বিপদের কালো মেঘ , আগামীতে তাই-ই হয়তো সফলতার স্বর্ণ উজ্জ্বল দিন হয়ে দেখা যাবে যার সংবাদ শুধু আল্লাহ্-ই জ্ঞাত।