তারা বলল, তোমরা পরস্পরে আল্লাহর নামে শপথ গ্রহণ কর যে, আমরা রাত্রিকালে তাকে ও তার পরিবারবর্গকে হত্যা করব। অতঃপর তার দাবীদারকে বলে দেব যে, তার পরিবারবর্গের হত্যাকান্ড আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। আমরা নিশ্চয়ই সত্যবাদী।
They said: ”Swear one to another by Allâh that we shall make a secret night attack on him and his household, and afterwards we will surely say to his near relatives: ’We witnessed not the destruction of his household, and verily! We are telling the truth.’”
قَالُوا تَقَاسَمُوا بِاللَّهِ لَنُبَيِّتَنَّهُ وَأَهْلَهُ ثُمَّ لَنَقُولَنَّ لِوَلِيِّهِ مَا شَهِدْنَا مَهْلِكَ أَهْلِهِ وَإِنَّا لَصَادِقُونَ
Qaloo taqasamoo biAllahi lanubayyitannahu waahlahu thumma lanaqoolanna liwaliyyihi ma shahidna mahlika ahlihi wa-inna lasadiqoona
YUSUFALI: They said: “Swear a mutual oath by Allah that we shall make a secret night attack on him and his people, and that we shall then say to his heir (when he seeks vengeance): ‘We were not present at the slaughter of his people, and we are positively telling the truth.'”
PICKTHAL: They said: Swear one to another by Allah that we verily will attack him and his household by night, and afterward we will surely say unto his friend: We witnessed not the destruction of his household. And lo! we are truthtellers.
SHAKIR: They said: Swear to each other by Allah that we will certainly make a sudden attack on him and his family by night, then we will say to his heir: We did not witness the destruction of his family, and we are most surely truthful.
KHALIFA: They said, “Let us swear by GOD that we kill him and his people, then tell his tribe, `We know nothing about their death. We are truthful.’ ”
৪৯। তারা বলেছিলো, ” তোমরা পরস্পর আল্লাহ্র নামে শপথ কর, যে আমরা অবশ্যই রাত্রিকালে তাঁকে ও তাঁর [ পরিবারের ] লোকজনকে গোপনে আক্রমণ করবো ৩২৮৭ অতঃপর তার উত্তরাধিকারকে বলবো [ যখন সে প্রতিশোধ নিতে চাইবে ] ‘ তাঁর লোকজনের হত্যার সময়ে আমরা উপস্থিত ছিলাম না এবং আমরা অবশ্যই সত্য কথা বলছি’।”
৩২৮৭। তাদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা ছিলো অত্যন্ত কাপুরুষোচিত কারণ :
১) পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে অত্যন্ত গোপনে;
২) রাতের অন্ধাকারে তা সংঘটিত করা হবে;
৩) তাদের প্রতারণার শিকারকে সম্পূর্ণ অজ্ঞ অবস্থায় আক্রমণ করা হবে;
৪) তারা সকলে সর্তকতা অবলম্বন করেছিলো এই বলে যে তারা যদিও সালেহ্ নবীকে হত্যা করবে, কিন্তু তারা একযোগে ঘটনাকে অস্বীকার করবে এবং বলবে যে তারা সত্যবাদী। তারা ঘটনা সম্পর্কে কিছুই অবগত নয়। কারণ সালেহ্ নবীর উত্তরাধীকারী [ যদিও কেহ জীবিত থাকে ] বা তাঁর গোত্রের লোকেরা যেনো তাদের উপরে প্রতিশোধ নিতে না পারে। এই ঘটনার উল্লেখের কারণ ঠিক একই প্রকার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো আমাদের নবী হযরত মুহম্মদের [ সা ] সময়েও। যুগে যুগে সত্যের প্রচারকরা একই ভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকেন। এ কথা সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য।