1 of 3

025.032

সত্য প্রত্যাখানকারীরা বলে, তাঁর প্রতি সমগ্র কোরআন একদফায় অবতীর্ণ হল না কেন? আমি এমনিভাবে অবতীর্ণ করেছি এবং ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি করেছি আপনার অন্তকরণকে মজবুত করার জন্যে।
And those who disbelieve say: ”Why is not the Qur’ân revealed to him all at once?” Thus (it is sent down in parts), that We may strengthen your heart thereby. And We have revealed it to you gradually, in stages. (It was revealed to the Prophet SAW in 23 years.).

وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ جُمْلَةً وَاحِدَةً كَذَلِكَ لِنُثَبِّتَ بِهِ فُؤَادَكَ وَرَتَّلْنَاهُ تَرْتِيلًا
Waqala allatheena kafaroo lawla nuzzila AAalayhi alqur-anu jumlatan wahidatan kathalika linuthabbita bihi fu-adaka warattalnahu tarteelan

YUSUFALI: Those who reject Faith say: “Why is not the Qur’an revealed to him all at once? Thus (is it revealed), that We may strengthen thy heart thereby, and We have rehearsed it to thee in slow, well-arranged stages, gradually.
PICKTHAL: And those who disbelieve say: Why is the Qur’an not revealed unto him all at once? (It is revealed) thus that We may strengthen thy heart therewith; and We have arranged it in right order.
SHAKIR: And those who disbelieve say: Why has not the Quran been revealed to him all at once? Thus, that We may strengthen your heart by it and We have arranged it well in arranging.
KHALIFA: Those who disbelieved said, “Why did not the Quran come through him all at once?” We have released it to you gradually, in order to fix it in your memory. We have recited it in a specific sequence.

৩২। যারা ঈমানকে প্রত্যাখান করে তারা বলে, ” তাঁর নিকট সমগ্র কুর-আন এক সাথে অবতীর্ণ হয় নাই কেন ?” এ ভাবেই [ আমি ইহাকে অবতীর্ণ ] করেছি যেন এর দ্বারা আমি তোমার হৃদয়কে শক্তিশালী করতে পারি ৩০৮৮। এবং আমি তোমার নিকট ইহা ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে সুসজ্জিত ভাবে ক্রমান্বয়ে আবৃত্তি করেছি।

৩০৮৮। কোরাণকে ধারাবাহিকভাবে অবতীর্ণ করার পক্ষে তিনটি যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে। ১) “তোমার হৃদয়কে উহা দ্বারা শক্তিশালী করতে পারি। ” আরব বাসীদের মত শক্ত হৃদয়ের মানব সম্প্রদায়ের হৃদয়ে আল্লাহ্‌র বাণীকে প্রতিষ্ঠিত করা ছিলো এক অমানুষিক দুঃসাধ্য কর্মপ্রচেষ্টা – যা নবীকে আল্লাহ্‌ দায়িত্ব দান করেছিলেন। ইসলাম আরববাসীর মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করবে। এই হচ্ছে রাব্বুল -আলামীনের ইচ্ছা। এই দুঃসাধ্য কাজকে সাফল্যে পরিণত করতে যে ধৈর্য্য, একাগ্রতা, অধ্যবসায়, এবং দৃঢ়তার প্রয়োজন নবীর চরিত্রে সে সব ধীরে ধীরে সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্‌ তাঁর বাণীকে বিভিন্ন সমস্যার পটভূমিতে ধীরে ধীরে অবতীর্ণ করেছেন – যেনো নবীর [ সা ] চরিত্র উপরোক্ত গুণাবলী ধারণ করে সমস্যাকে দৃঢ় ও কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে পারেন। ২) “ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে ” – সুদীর্ঘ তেইশ বছর ব্যপী ,সমাজ, রাষ্ট্র ও জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আত্মিক উন্নতির সোপান অতিক্রমের ধারাবাহিকতায় কোরাণ নাজেল হয়েছে ক্রমে ক্রমে ধাপে ধাপে। কোরাণ যদিও অবতীর্ণ হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে , কিন্তু সম্পূর্ণ কোরাণ অবতীর্ণ হওয়ার পরে তাকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করা হয়েছে আধ্যাত্মিক নির্দ্দেশনার সোপান রূপে। ৩) পরবর্তী আয়াতে আছে যে, কোরাণ ধীরে ধীরে অবতীর্ণ করা হয়েছে প্রতিটি সমস্যার ব্যাখ্যাদান করার জন্য এবং ধীরে ধীরে অবতীর্ণের ফলে মানব হৃদয়ে কোরাণের উপদেশাবলী অনুশীলনের মাধ্যমে ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এজন্য।

উপদেশ : বিশ্ব মানবের জন্য কোর-আনকে আত্মার মাঝে ধারণ করার উপায় এ ভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে। সে কারণেই কোরাণকে প্রতিদিন পাঠ করতে হবে।