তারা বলে, এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কেন কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না যে, তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত?
And they say: ”Why does this Messenger (Muhammad SAW) eat food, and walk about in the markets (like ourselves). Why is not an angel sent down to him to be a warner with him?
وَقَالُوا مَالِ هَذَا الرَّسُولِ يَأْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِي فِي الْأَسْوَاقِ لَوْلَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُونَ مَعَهُ نَذِيرًا
Waqaloo mali hatha alrrasooli ya/kulu alttaAAama wayamshee fee al-aswaqi lawla onzila ilayhi malakun fayakoona maAAahu natheeran
YUSUFALI: And they say: “What sort of a messenger is this, who eats food, and walks through the streets? Why has not an angel been sent down to him to give admonition with him?
PICKTHAL: And they say: What aileth this messenger (of Allah) that he eateth food and walketh in the markets? Why is not an angel sent down unto him, to be a warner with him.
SHAKIR: And they say: What is the matter with this Messenger that he eats food and goes about in the markets; why has not an angel been sent down to him, so that he should have been a warner with him?
KHALIFA: And they said, “How come this messenger eats the food and walks in the markets? If only an angel could come down with him, to serve with him as a preacher!”
০৭। এবং তারা বলে, ” এ কি রকম রসুল, যে [সাধারণ মানুষের মত ] আহার করে এবং রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে ? তার নিকট কোন ফেরেশতা কেন অবতীর্ণ করা হলো না , যে তাঁর সাথে থাকতো সতর্ককারীরূপে ? ৩০৬০
৩০৬০। অবিশ্বাসী হৃদয় প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনে সব সময়েই ব্যর্থ হবে। এই ব্যর্থতা সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য। হযরত মুহাম্মদ [ সা ] এর বেলাতেও তার ব্যতিক্রম ঘটে নাই। কাফেররা রসুলের [সা ] মাঝে নবী সুলভ কোন গুণের সন্ধান পায় নাই। সাধারণ মানুষ সর্বদা অলৌকিক ক্রিয়াকর্মের সাথে নবী রসুল এবং আল্লাহ্র বান্দাদের সম্পৃক্ত করতে ভালোবাসে। হযরত মুহম্মদ [ সা ] কোন অলৌকিক ক্ষমতার দাবীদার ছিলেন না সত্য , তবে যিনি বাল্য বয়সে অন্ধকারচ্ছন্ন আরব সমাজে ‘ আল-আমীন’ উপাধিতে ভূষিত তিনিই তো মনুষ্যদেহধারী মহামানব এই সাধারণ সত্যকে কাফেররা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়। তারা আল্লাহ্র রসুলকে [ সা ] দৈনন্দিন জীবন যাপন করাকে ঠাট্টা বিদ্রূপ করে। তারা ঠাট্টা করে বলে ” তিনি যদি আল্লাহ্র নবী হবেন তবে কেন তার সাথে ফেরেশতারা নাই।” এর উত্তর হচ্ছে মানুষের মানসিক অবস্থা অনুধাবনের ক্ষমতা ফেরেশতাদের নাই। কারণ মানুষ হচ্ছে রীপুর দাস। কাম-ক্রোধ,লোভ-লালসা, হিংসা-দ্বেষ প্রভৃতি রীপু সমূহের আক্রমনে মানুষ সর্বদা পর্যুদস্ত থাকে। ফেরেশতারা এ সব থেকে মুক্ত। সুতারাং তাদের পক্ষে মানুষের মানসিক অবস্থা বা এ সব থেকে মুক্তির পথ অনুধাবন করা বা উপদেশ দেয়া অসম্ভব। ফেরেশতাদের কার্যালয় আলাদা, যিনি বিশ্ব মানবের শিক্ষক হবেন তাকে অবশ্যই মানুষের দুঃখ-ব্যাথা , হাসি-কান্না , ভালোবাসা-ঘৃণা,লোভ-লালসা , ইত্যাদি সকল মানসিক অভিব্যক্তি অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হবে। তবেই না তিনি মানুষের সকল দোষত্রুটি দূর করার উদ্দেশ্যে নিজেকে এসব থেকে মুক্ত করে এ সবের উর্দ্ধে থেকে নির্দ্দিষ্ট মহৎ কর্তব্য সম্পাদনে সক্ষম হবেন। যিনি সাধারণ মানুষ হয়েও মানুষের উর্দ্ধলোকে ফেরেশতাদের সমতূল্য চরিত্রের অধিকারী হতে পারেন তিনিই তো আল্লাহ্র প্রেরিত দেবদূত চরিত্রের অধিকারী। সত্যের এই প্রকৃত রহস্য অবিশ্বাসী হৃদয়ে ধরা পড়ে না। দেখুন [ ২১ : ৭ -৮ ]।