তারা আপনাকে পাহাড় সম্পর্কে প্রশ্ন করা। অতএব, আপনি বলুনঃ আমার পালনকর্তা পহাড়সমূহকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন।
And they ask you concerning the mountains, say; ”My Lord will blast them and scatter them as particles of dust.
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْجِبَالِ فَقُلْ يَنسِفُهَا رَبِّي نَسْفًا
Wayas-aloonaka AAani aljibali faqul yansifuha rabbee nasfan
YUSUFALI: They ask thee concerning the Mountains: say, “My Lord will uproot them and scatter them as dust;
PICKTHAL: They will ask thee of the mountains (on that day). Say: My Lord will break them into scattered dust.
SHAKIR: And they ask you about the mountains. Say: My Lord will carry them away from the roots.
KHALIFA: They ask you about the mountains. Say, “My Lord will wipe them out.
রুকু – ৬
১০৫। যখন তারা তোমাকে পর্বত সমূহ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে ২৬৩০, বলো, ” আমার প্রভু ওগুলি সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দেবেন।” ২৬৩১
২৬৩০। পূর্বের আয়াতে সময়ের প্রতারণামূলক ধারণা সম্পর্কে এবং সময় যে আপেক্ষিক সে সম্বন্ধে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সময় সম্বন্ধে আমাদের যে ধারণা, তা হচ্ছে দিন ও রাত্রির ধারণা থেকে সৃষ্টি। কিন্তু যদি সুদীর্ঘ দিন ও সুদীর্ঘ রাত্রি হতো, বা শুধু দিন বা শুধু রাত্রি চলতো তবে সময়ের হিসেবের ধারণা অন্যরকম হতে বাধ্য। সে কারণে মহাশূন্যে গমনকারী নভোচারীরা সময়ের হিসেব পৃথিবীর সাথে তুলনা করে হিসেব করেন, কারণ সেখানে সুনির্দ্দিষ্ট দিন বা রাত্রি নাই। এই সত্যকেই পূর্বের আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এই আয়াতে চতুর্দ্দিকের বিস্তৃতি বা প্রসার দৃঢ়তা, আকার, আয়তন এর উপরে আলোকপাত করা হয়েছে। উপমা হিসেবে পর্বতের কথা বলা হয়েছে। রসুলকে [ সা ] প্রশ্ন করা হয়েছিলো, ” পর্বতসমূহের কি হবে ? ” পর্বত অনন্তকাল থেকে পৃথিবীতে দাড়িয়ে আছে। পর্বত অনন্তকালের সাক্ষ্য। এই পৃথিবীর সব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। সে ভাবে বিবেচনা করলে পর্বতকে মনে করা যায় অনন্ত কালের সাক্ষী। অবিশ্বাসীরা নূতন পৃথিবী সৃষ্টি সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে [ দেখুন আয়াত ১৩ : ৫ ]। কিন্তু হাশরের দিনে যখন পৃথিবীকে নূতনভাবে সৃষ্টি করা হবে, তখন স্থায়ী , দৃঢ়, উন্নত পর্বতের চিহ্ন মাত্র থাকবে না। তা হবে এক নূতন পৃথিবী। আমরা শেষ বিচারের সভার দৃশ্যটি কল্পনা করতে পারি এ ভাবে। বিরাট , বিশাল, আদিগন্ত বিস্তৃত সমভূমি যার কোথাও উচুঁ বা নীচু নাই। দিগন্ত বিস্তৃত এই সমভূমিতে কোথাও লুকানোর কোনও স্থান থাকবে না। যত দূরে চোখ যায়, দৃষ্টি চলে যাবে বাধা বন্ধন হীন ভাবে। হাশরের মাঠে কারও কোনও রহস্য লুকানো থাকবে না।
২৬৩১। “Nasafa” শব্দটির ভাবার্থ হচ্ছে ১) শিকড়সহ উপরানো। ২) ধূলিতে চুর্ণবিচূর্ণ করা এবং ৩) তুষের ন্যায় উড়ানো।