1 of 3

002.274

যারা স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, রাত্রে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। তাদের জন্যে তাদের সওয়াব রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে। তাদের কোন আশংঙ্কা নেই এবং তারা চিন্তিত ও হবে না।
Those who spend their wealth (in Allâh’s Cause) by night and day, in secret and in public, they shall have their reward with their Lord. On them shall be no fear, nor shall they grieve.

الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُم بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سِرًّا وَعَلاَنِيَةً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
Allatheena yunfiqoona amwalahum biallayli waalnnahari sirran waAAalaniyatan falahum ajruhum AAinda rabbihim wala khawfun AAalayhim wala hum yahzanoona

YUSUFALI: Those who (in charity) spend of their goods by night and by day, in secret and in public, have their reward with their Lord: on them shall be no fear, nor shall they grieve.
PICKTHAL: Those who spend their wealth by night and day, by stealth and openly, verily their reward is with their Lord, and their shall no fear come upon them neither shall they grieve.
SHAKIR: (As for) those who spend their property by night and by day, secretly and openly, they shall have their reward from their Lord and they shall have no fear, nor shall they grieve.
KHALIFA: Those who give to charity night and day, secretly and publicly, receive their recompense from their Lord; they will have nothing to fear, nor will they grieve.

রুকু – ৩৮
 
২৭৪। যারা রাত্রে দিনে, গোপনে-প্রকাশ্যে, তাদের সম্পদ [দান কাজে] ব্যয় করে, তাদের পুরস্কার তাদের প্রভুর কাছে রয়েছে। তাদের কোন ভয় নাই তারা দুঃখিতও হবে না ৩২৩।

৩২৩। দানের বৈশিষ্ট্যের প্রধান প্রধান অংশগুলি এখানে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে [নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে নিয়োজিত করা, নিজের অর্থ সম্পদ দান করা]। কারণ এর পরের আয়াতেই দানের বিপরীত ধর্মের সমালোচনা করা হয়েছে। নিঃস্বার্থ দানের বিপরীত হচ্ছে, লোভ, স্বার্থপরতা, সুদ খাওয়া ইত্যাদি যারা দুঃস্থদের শোষণ করতে দ্বিধা বোধ করে না। এই আয়াতে বলা হয়েছে যারা নিঃস্বার্থভাবে দান করতে পারে, তাদের আত্মা সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধি আর্থিক নয়। এই সমৃদ্ধি আত্মিক। এদের জীবন (আত্মা), সুখ ও শান্তিতে ভরে যায়। জীবন থেকে অস্থিরতা, জীবন যাপনের ক্লেশ, প্রাত্যাহিক দিন যাপনের মানসিক চাপ, ভীতি সব দূর হয়ে যায়। আত্মায় নেমে আসে এক অনাবিল শান্তি। একেই বলা হচ্ছে, যে দান করে সে নিজের কল্যাণের জন্যই করে। অপরপক্ষে যে আর্ত মানবতাকে সাহায্যের পরিবর্তে শোষণ করে তার আত্মার অবনতি হয়।