1 of 3

002.221

আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
And do not marry Al-Mushrikât (idolatresses, etc.) till they believe (worship Allâh Alone). And indeed a slave woman who believes is better than a (free) Mushrikah (idolatress, etc.), even though she pleases you. And give not (your daughters) in marriage to Al-Mushrikûn till they believe (in Allâh Alone) and verily, a believing slave is better than a (free) Mushrik (idolater, etc.), even though he pleases you. Those (Al-Mushrikûn) invite you to the Fire, but Allâh invites (you) to Paradise and Forgiveness by His Leave, and makes His Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) clear to mankind that they may remember.

وَلاَ تَنكِحُواْ الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلاَ تُنكِحُواْ الْمُشِرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُواْ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُوْلَـئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللّهُ يَدْعُوَ إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
Wala tankihoo almushrikati hatta yu/minna walaamatun mu/minatun khayrun min mushrikatin walaw aAAjabatkum wala tunkihoo almushrikeena hatta yu/minoo walaAAabdun mu/minun khayrun min mushrikin walaw aAAjabakum ola-ika yadAAoona ila alnnari waAllahu yadAAoo ila aljannati waalmaghfirati bi-ithnihi wayubayyinu ayatihi lilnnasi laAAallahum yatathakkaroona

YUSUFALI: Do not marry unbelieving women (idolaters), until they believe: A slave woman who believes is better than an unbelieving woman, even though she allures you. Nor marry (your girls) to unbelievers until they believe: A man slave who believes is better than an unbeliever, even though he allures you. Unbelievers do (but) beckon you to the Fire. But Allah beckons by His Grace to the Garden (of bliss) and forgiveness, and makes His Signs clear to mankind: That they may celebrate His praise.
PICKTHAL: Wed not idolatresses till they believe; for lo! a believing bondwoman is better than an idolatress though she please you; and give not your daughters in marriage to idolaters till they believe, for lo! a believing slave is better than an idolater though he please you. These invite unto the Fire, and Allah inviteth unto the Garden, and unto forgiveness by His grace, and expoundeth His revelations to mankind that haply they may remember.
SHAKIR: And do not marry the idolatresses until they believe, and certainly a believing maid is better than an idolatress woman, even though she should please you; and do not give (believing women) in marriage to idolaters until they believe, and certainly a believing servant is better than an idolater, even though he should please you; these invite to the fire, and Allah invites to the garden and to forgiveness by His will, and makes clear His communications to men, that they may be mindful.
KHALIFA: Do not marry idolatresses unless they believe; a believing woman is better than an idolatress, even if you like her. Nor shall you give your daughters in marriage to idolatrous men, unless they believe. A believing man is better than an idolater, even if you like him. These invite to Hell, while GOD invites to Paradise and forgiveness, as He wills. He clarifies His revelations for the people, that they may take heed.

২২১। [পৌত্তলিক] মুশরিক নারীকে ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা বিয়ে করো না। মুশরিক নারী তোমাকে মুগ্ধ করলেও, ঈমানদার ক্রীতদাসী তাদের থেকে উত্তম। ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক পুরুষের সাথে [তোমার কন্যার] বিয়ে দিও না। মুশরিক পুরুষ তোমাদের মুগ্ধ করলেও একজন ঈমানদার ক্রীতদাস তাদের থেকে উত্তম ২৪৬। অবিশ্বাসীরা তো তোমাদের অগ্নির দিকে আহবান করে, কিন্তু আল্লাহ্‌ তাঁর নিজ অনুগ্রহে জান্নাতে ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন। তিনি তার নিদর্শনাবলী [আয়াতসমূহ] মানুষের জন্য সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেন যেনো তোমরা তাঁর প্রশংসা কীর্তন করতে পারো।

২৪৬। ‘বিবাহ’ হচ্ছে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের চাবিকাঠি। দু’জন ব্যক্তি একই বন্ধনে আবদ্ধ হয় চিন্তায়, কর্মে, প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। বিবাহ সম্পর্ক হচ্ছে একে অপরের সম্পূরক বা ভূষণ স্বরূপ। পৃথিবীর জীবন ক্ষণস্থায়ী, পরকালের জন্য পাথেয় সংগ্রহের জন্যই এখানে আমাদের আগমণ। পৃথিবীর জীবনকে বলা হয় ‘শিক্ষানবীশকাল’ (Probationary Period) পরকালের জন্য। এই জীবনের সাফল্যই পরকালের সাফল্য। আর এ সাফল্য হচ্ছে আত্মিক, চারিত্রিক ও নৈতিক উন্নতি। পৃথিবীর এই দুস্তর, দুর্গম পথে আছে নানা প্রলোভন, একে সাফল্যের সাথে অতিক্রম করতে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সহযোগিতার ভূমিকা পালন করে। বৈবাহিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এত নিবিড় ও একান্ত যে একে অন্যের ভাবধারায় বা চিন্তাধারায় সহজেই প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ধর্মীয় বা নৈতিক জীবনে যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যবধান থাকে তবে তার প্রভাব তাদের জীবনে পড়তে বাধ্য। সুতরাং যারা পরস্পরের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে তাদের ধর্মীয় চেতনা একই প্রকার হওয়া উচিত। যেহেতু বৈবাহিক জীবন পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, বিশ্বাস, নির্ভরশীলতা ও একাত্মতার উপর প্রতিষ্ঠিত সেই কারণে ধর্মীয় ও নৈতিক জীবন যদি দু’জনের দু’রকম হয় তবে তাদের মধ্যে মত পার্থক্য থেকে জন্ম নেবে অবিশ্বাস ফলে বৈবাহিক জীবনের অন্যান্য গুণাবলী যথা নির্ভরশীলতা ও একাত্মতা কমে যাবে। ফলশ্রুতিতে বৈবাহিক জীবনের মূল ভিত্তি, ভালবাসার ভিত্তি হয়ে যাবে দুর্বল। যদি দু’জন দু’জনকে ভালবাসে তবে তাদের ধর্মের ভিত্তি এক হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এখানে ধর্মের অর্থ যেনো কেউ ধর্মের লেবেল মনে না করেন। আজকে বাংলাদেশে জন্মসূত্রে মুসলমান লেবেল সর্বস্ব বহু নারী-পুরুষের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব নারী পুরুষের মধ্যে ধর্মের ন্যূনতম মূল্যবোধও অনুপস্থিত। ইসলামের স্বরূপ ও অর্থ হচ্ছে ইসলামের আনুগত্য। এ আনুগত্যের সারমর্ম হলো রিপুর কামনা-বাসনার বিপরীতে আল্লাহ্‌র নির্দেশের আনুগত্য ও স্বেচ্ছাচারিতা ত্যাগ করে হেদায়েতের অনুসরণ। আজকে বাংলাদেশীদের মধ্যে অনেকের ধারণা মসজিদে গমন এবং নামায রোজার মধ্যেই ধর্ম নিহিত। এ কথা বলার কারণ হচ্ছে আজকে আমাদের সমাজের বহু লোক দেখা যায়, যারা নামায রোজার ব্যাপারে অত্যন্ত মনোযোগী ও সতর্ক। কিন্তু এদের মধ্য ইসলামী মূল্যবোধ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। মূল্যবোধ এই অর্থে তারা আল্লাহ্‌ যে সব কাজ করতে নিষেধ করেছেন তা অহরহই করছেন। যেমন-ঘুষ খাচ্ছেন, জনগণের মাল (সরকারী সম্পত্তি) বে-আইনীভাবে ব্যবহার করছেন, জনগণের আমানতের খেয়ানত করছেন, জীবনের প্রতিটি পদে (কথায় ও কাজে) মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করছেন, অন্যকে ঠকাচ্ছেন ইত্যাদি। সুতরাং এদেরকে ইসলামের লেবেল ভূষিত ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। দু’জন লোক ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হতে পারে কিন্তু তাদের মূল্যবোধ যদি একই হয় তবে তারা ধর্মের যে মূল সত্য তা অনুধাবন করতে বাধ্য। কারণ জগতে পয়গম্বরগণ যত ধর্ম এনেছেন, নিজ নিজ সময়ে সে সবই আল্লাহ্‌র কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল। সুতরাং সেসব ধর্মও ছিল ইসলাম যদিও সেগুলি বিভিন্ন নামে অভিহিত হত। যেমন-মুসা (আঃ) এর ধর্ম তথা ইহুদী ধর্ম, ঈসা (আঃ) এর ধর্ম তথা খৃষ্ট ধর্ম ইত্যাদি। এসব ধর্মের স্বরূপ ছিল ইসলাম, যার মর্ম হচ্ছে আল্লাহ্‌র হুকুমের প্রতি আনুগত্য। যেহেতু স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের উপর প্রভাব বিস্তার করে সেই কারণে তাদের একই ধর্মে একই মূল্যবোধে বিশ্বাসী হওয়া একান্ত প্রয়োজন। না হলে তাদের মধ্যে বক্তিগত ও সামাজিক কোন্দল হতে বাধ্য। এখানে ধর্ম অর্থ যারা আল্লাহ্‌র আনুগত্যে বিশ্বাসী এবং অনুসরণকারী।