1 of 3

002.216

তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।
Jihâd (holy fighting in Allâh’s Cause) is ordained for you (Muslims) though you dislike it, and it may be that you dislike a thing which is good for you and that you like a thing which is bad for you. Allâh knows but you do not know.

كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
Kutiba AAalaykumu alqitalu wahuwa kurhun lakum waAAasa an takrahoo shay-an wahuwa khayrun lakum waAAasa an tuhibboo shay-an wahuwa sharrun lakum waAllahu yaAAlamu waantum la taAAlamoona

YUSUFALI: Fighting is prescribed for you, and ye dislike it. But it is possible that ye dislike a thing which is good for you, and that ye love a thing which is bad for you. But Allah knoweth, and ye know not.
PICKTHAL: Warfare is ordained for you, though it is hateful unto you; but it may happen that ye hate a thing which is good for you, and it may happen that ye love a thing which is bad for you. Allah knoweth, ye know not.
SHAKIR: Fighting is enjoined on you, and h is an object of dislike to you; and it may be that you dislike a thing while it is good for you, and it may be that you love a thing while it is evil for you, and Allah knows, while you do not know.
KHALIFA: Fighting may be imposed on you, even though you dislike it. But you may dislike something which is good for you, and you may like something which is bad for you. GOD knows while you do not know.

২১৬। তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হলো এবং তোমরা তা অপছন্দ করলে ২৩৬। তোমরা যা অপছন্দ কর, সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যা ভালবাস, সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। কিন্তু আল্লাহ্‌ জানেন এবং তোমরা তা জান না।

২৩৬। সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ হচ্ছে জিহাদ। কারন আল্লাহ্‌র আইন রয়েছে সত্য ও ন্যায়ের মধ্যে। তাই সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা মানেই হচ্ছে আল্লাহ্‌র আইনের প্রতিষ্ঠা। আর সত্য ও ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ দান। পৃথিবীতে নিজের জীবনের চেয়ে বড় আর কি আছে? সেই জীবনকে যে দান করতে পারে তার থেকে বড় দাতা আর কে আছে? জেহাদ বা আল্লাহ্‌র জন্য সেই জীবনকে নিবেদন করা হয়। একথা স্মরণযোগ্য যে জেহাদ শুধুমাত্র অস্ত্রের সাহায্যেই হয় না লেখনীর সাহায্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, জনমত গঠন করা জেহাদ। সেই রকম বক্তৃতার মাধ্যমে, নেতৃত্বের মাধ্যমে যদি সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য ও অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা হয় তাও আল্লাহ্‌র চোখে জেহাদ। যদি কেউ নিজের দম্ভ প্রকাশের জন্য অন্যায় জুলুম বা অত্যাচার করে, নিজের নাম প্রকাশের জন্য কূট-তর্কে অবতীর্ণ হয়, নিজের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য জনমত তৈরির চেষ্টা করে তবে তারা আল্লাহ্‌র চোখে নিন্দনীয়। আল্লাহ্‌ সবকিছুই জানেন।