1 of 3

002.156

যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।
Who, when afflicted with calamity, say: ”Truly! To Allâh we belong and truly, to Him we shall return.”

الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
Allatheena itha asabat-hum museebatun qaloo inna lillahi wa-inna ilayhi rajiAAoona

YUSUFALI: Who say, when afflicted with calamity: “To Allah We belong, and to Him is our return”:-
PICKTHAL: Who say, when a misfortune striketh them: Lo! we are Allah’s and lo! unto Him we are returning.
SHAKIR: Who, when a misfortune befalls them, say: Surely we are Allah’s and to Him we shall surely return.
KHALIFA: When an affliction befalls them, they say, “We belong to GOD, and to Him we are returning.”

১৫৬। যারা বিপদ-বিপর্যয় দ্বারা আক্রান্ত হলে বলে, “আমরা তো আল্লাহ্‌রই অধিকারভূক্ত এবং তাঁর দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।”

১৫৭। এরাই তারা যাদের প্রতি তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে আশীর্বাদ ও অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। এবং এরাই তারা যারা সৎপথের নির্দেশ লাভ করে।

১৫৮। দেখো! সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্‌র [প্রতীক] নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত ১৬০। সুতরাং যে কেহ কাবা গৃহে ১৬১ হজ্ব ও ওমরা সম্পন্ন করে, তারা এ দুটিকে প্রদক্ষিণ করবে, এতে কোন পাপ নাই। যদি কেহ সৎ কাজের আবেগকে মেনে চলে, তবে নিশ্চিত হও, আল্লাহ্‌ [সৎ কাজকে] চিনতে পারেন ও সব জানেন ১৬২।

১৬০। আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাসের সাথে ধৈর্য্য ও অধ্যবসায় গুণ দু’টি আল্লাহ্‌ প্রতীকের মাধ্যমে এখানে বর্ণনা করেছেন সাফা ও মারওয়া দুটি ছোট ছোট পাহাড় যা মক্কা নগরীর অন্তর্ভূক্ত এবং যার খুব নিকটেই যম্‌যম্‌ কূপ অবস্থিত এই পাহাড় দুটি ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায়ের প্রতীক। এর সম্বন্ধে পূর্বেই বর্ণনা করা হয়েছে। টিকা ১২৩-এ।

প্যাগান আরবেরা এখান মূর্তি স্থাপন করেছিল। ফলে নওমুসলিমরা হজ্বের সময়ে এখানে দৌড়াদৌড়ি করতে ইতঃস্তত করছিল। অবশ্য তাদের একটা কথা অনুধাবন করা উচিত ছিল যে পবিত্র কাবা ঘর [আল্লাহ্‌র ঘর] মূর্তি দ্বারা ভর্তি ছিল এবং আল্লাহর রাসূল তা পরিষ্কার করে সেখানে আল্লাহ্‌র ইবাদতের প্রতিষ্ঠা করেন।

এখানে শিক্ষণীয় হচ্ছে, পবিত্র জিনিষের অপবিত্র ব্যবহার হয়ে যেতে পারে। তাই বলে, আমরা সেই পবিত্র জিনিষকে ত্যাগ করতে পারি না। যা পারি তা হচ্ছে তাকে শুদ্ধ করে তার স্বস্থানে স্থাপন করতে। অর্থাৎ সত্য মিথ্যা দ্বারা আবৃত হতে পারে। যেমন-সূর্য মেঘে ঢেকে গেলে সূর্য সূর্যই থাকে। সেরকম সত্য মিথ্যা দ্বারা আবৃত্ত হলেও সত্য প্রকাশ পাবেই। সে রকম যদি আমাদের কাজের উদ্দেশ্য এবং আমাদের জীবন যদি পবিত্র হয়, পৃথিবীর আর কেউই তার মূল্য দিক বা না দিক আল্লাহ্‌ তার মূল্য দেবেনই।

১৬১। ‘The House’ পবিত্র মসজিদ বলতে কাবা ঘরকেই বোঝানো হয়েছে। পবিত্র হজ্বব্রত পালনের সময়ে যিলহজ্ব মাসের ৯ম দিনে আরাফাতের ময়দানে যেতে হয় এবং তারপর কাবা ঘরকে প্রদক্ষিণ করতে হয়। হজ্বের সময় ব্যতীত অন্য সময়ে কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করাকে বলে ওমরা করা। ওমরা করার নিয়মাবলী ও হজ্বের নিয়মাবলী প্রায় একই শুধু ওমরার সময়ে আরাফাতের ময়দানে যেতে হয় না। তবে সাফা মারওয়া দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সাফা মারওয়া মুসলিম ধর্মে এক মাইলফলক। এর দ্বারা আল্লাহ্‌র প্রতি নির্ভরশীলার সাথে যে গুণ দুটির জন্য সাফা ও মারওয়া প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়। আল্লাহ্‌র প্রতি নির্ভরশীলতা, ধৈর্য্য ও অধ্যবসায় এই হচ্ছে প্রকৃত মোমেন বান্দাদের চরিত্রের প্রধান ও অন্যতম গুণাবলী।

১৬২। আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনও কাজ করা উচিত নয়। তীব্র আবেগে মানুষের ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিচারের ক্ষমতা লোপ পায়। সুতরাং তীব্র আবেগের বশবর্তী হয়ে কারও ক্ষতি করা বা কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয়। কিন্তু এখানে আল্লাহ্‌ বলেছেন যদি তীব্র আবেগ ভালর জন্য হয়, মানুষের মঙ্গলের জন্য হয়, তবে তা করা উচিত। সমাজ বা মানুষের ভয়ে তা ত্যাগ করা উচিত নয়। আমরা যদি নিশ্চিতভাবে জানি যে আবেগ ও অনুভূতি আমাদের সুপথে চালিত করছে-আল্লাহ্‌র হুকুম হচ্ছে মানুষের বা সমাজের ভয়ে তা ত্যাগ না করে আল্লাহ্‌র উপরে নির্ভর করে তার সন্তুষ্টির জন্য তা সম্পাদন করা। একেই বলা হচ্ছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।