1 of 3

002.118

যারা কিছু জানে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কেন কথা বলেন না? অথবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন কেন আসে না? এমনি ভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরূপ কথা বলেছে। তাদের অন্তর একই রকম। নিশ্চয় আমি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেছি তাদের জন্যে যারা প্রত্যয়শীল।
And those who have no knowledge say: ”Why does not Allâh speak to us (face to face) or why does not a sign come to us?” So said the people before them words of similar import. Their hearts are alike, We have indeed made plain the signs for people who believe with certainty.

وَقَالَ الَّذِينَ لاَ يَعْلَمُونَ لَوْلاَ يُكَلِّمُنَا اللّهُ أَوْ تَأْتِينَا آيَةٌ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّثْلَ قَوْلِهِمْ تَشَابَهَتْ قُلُوبُهُمْ قَدْ بَيَّنَّا الآيَاتِ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ
Waqala allatheena la yaAAlamoona lawla yukallimuna Allahu aw ta/teena ayatun kathalika qala allatheena min qablihim mithla qawlihim tashabahat quloobuhum qad bayyanna al-ayati liqawmin yooqinoona

YUSUFALI: Say those without knowledge: “Why speaketh not Allah unto us? or why cometh not unto us a Sign?” So said the people before them words of similar import. Their hearts are alike. We have indeed made clear the Signs unto any people who hold firmly to Faith (in their hearts).
PICKTHAL: And those who have no knowledge say: Why doth not Allah speak unto us, or some sign come unto us? Even thus, as they now speak, spake those (who were) before them. Their hearts are all alike. We have made clear the revelations for people who are sure.
SHAKIR: And those who have no knowledge say: Why does not Allah speak to us or a sign come to us? Even thus said those before them, the like of what they say; their hearts are all alike. Indeed We have made the communications clear for a people who are sure.
KHALIFA: Those who possess no knowledge say, “If only GOD could speak to us, or some miracle could come to us!” Others before them have uttered similar utterances; their minds are similar. We do manifest the miracles for those who have attained certainty.

১১৭। তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আদি স্রষ্টা। এবং যখন তিনি কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন, তিনি শুধু বলেন, ‘হও’ আর তা হয়ে যায়।

১১৮। যাদের কোন জ্ঞান নাই, তারা বলে, ‘আল্লাহ্‌ আমাদের সাথে কথা বলেন না কেন? অথবা আমাদের নিকট কোন নিদর্শন আসে না কেন?’ এভাবেই তাদের পূর্ববর্তীরাও অনুরূপ কথা বলতো। তাদের অন্তর একই রকম। যে কেউ দৃঢ়ভাবে [তাদের অন্তরে] ঈমানকে ধরে রাখে, আমি অবশ্যই তাদের জন্য নিদর্শনাবলীকে সুস্পষ্ট করেছি।

১১৯। আমি তোমাকে সত্যসহ শুভ সংবাদ দাতা এবং সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করেছি। জাহান্নামের অধিবাসীদের সম্বন্ধে তোমাকে কোন প্রশ্ন করা হবে না।

১২০। ইহুদী ও খ্রীষ্টানগণ কখনও সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্ম মত অনুসরণ কর। বল, ‘আল্লাহ্‌র পথ নির্দেশই [একমাত্র] পথ নির্দেশ।’ তোমার নিকট যে জ্ঞান এসেছে তা প্রাপ্তির পর যদি তুমি তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ কর, তবে আল্লাহ্‌র বিপক্ষে তোমার কোন রক্ষাকারী থাকবে না এবং কোন সাহায্যকারীও থাকবে না।

১২১। যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি যেভাবে তা পাঠ করা উচিত সেভাবে পাঠ কর। এরাই তারা যারা তাতে বিশ্বাস করে। যারা তাতে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে তারা ক্ষতিগ্রস্থ।

রুকু – ১৫

১২২। হে বনী ইসরাঈলীগণ! আমার সেই বিশেষ অনুগ্রহ স্মরণ কর যা দ্বারা আমি তোমাদের অনুগৃহীত করেছি এবং সকল [জাতির] মধ্যে তোমাদের [নবুয়তের জন্য] পছন্দ করেছি।

১২৩। সেই দিন থেকে নিজেকে রক্ষা কর, যেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না। কারও কাছ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করা হবে না। কোন সুপারিশ লাভজনক হবে না। এবং [বাইরে থেকে] কেউ কোন সাহায্য পাবে না ১২২।

১২২। [২: ১২২-১২৩] আয়াত দুটি, [২: ৪৭-৪৮] আয়াত দুটির পুনরাবৃত্তি। ১২৩ এর ভাষাতে সামান্য পরিবর্তন হলেও তা আয়াতের অর্থে কোনও পরিবর্তন ঘটে নাই। এই আয়াতগুলিতে ইহুদীদের প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহের বর্ণনা সুন্দরভাবে শেষ করা হয়েছে। এরপরে শুরু হতে যাচ্ছে, আধ্যাত্মিক জগতে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশধর হিসেবে [হযরত ইসমাইলের (আঃ) মাধ্যমে] আরবদের উপরে আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ বা করুণার বর্ণনা।