যে ব্যাক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় যালেম আর কে? এদের পক্ষে মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে।
And who is more unjust than those who forbid that Allâh’s Name be glorified and mentioned much (i.e. prayers and invocations, etc.) in Allâh’s Mosques and strive for their ruin? It was not fitting that such should themselves enter them (Allâh’s Mosques) except in fear. For them there is disgrace in this world, and they will have a great torment in the Hereafter.
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَاجِدَ اللّهِ أَن يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا أُوْلَـئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَن يَدْخُلُوهَا إِلاَّ خَآئِفِينَ لهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ
Waman athlamu mimman manaAAa masajida Allahi an yuthkara feeha ismuhu wasaAAa fee kharabiha ola-ika ma kana lahum an yadkhulooha illa kha-ifeena lahum fee alddunya khizyun walahum fee al-akhirati AAathabun AAatheemun
YUSUFALI: And who is more unjust than he who forbids that in places for the worship of Allah, Allah’s name should be celebrated?-whose zeal is (in fact) to ruin them? It was not fitting that such should themselves enter them except in fear. For them there is nothing but disgrace in this world, and in the world to come, an exceeding torment.
PICKTHAL: And who doth greater wrong than he who forbiddeth the approach to the sanctuaries of Allah lest His name should be mentioned therein, and striveth for their ruin. As for such, it was never meant that they should enter them except in fear. Theirs in the world is ignominy and theirs in the Hereafter is an awful doom.
SHAKIR: And who is more unjust than he who prevents (men) from the masjids of Allah, that His name should be remembered in them, and strives to ruin them? (As for) these, it was not proper for them that they should have entered them except in fear; they shall meet with disgrace in this world, and they shall have great chastisement in the hereafter.
KHALIFA: Who are more evil than those who boycott GOD’s masjids, where His name is commemorated, and contribute to their desertion? These ought not to enter therein except fearfully. They will suffer in this life humiliation, and will suffer in the Hereafter a terrible retribution.
১১৪। তার থেকে বড় জালিম আর কে আছে যে আল্লাহ্র মসজিদসমূহে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাঁধা প্রদান করে ১১৭। [প্রকৃতপক্ষে] তার প্রচন্ড ইচ্ছা সেগুলির ধ্বংস সাধন। [আল্লাহ্র ভয়ে] ভীত না হয়ে তাদের সেখানে প্রবেশ করা সঙ্গত ছিল না। তাদের জন্য এই পৃথিবীতে লাঞ্ছনা ছাড়া কিছু নাই, এবং অনাগত পৃথিবীতে তাদের জন্য আছে মহাশাস্তি।
১১৭। মক্কা বিজয়ের পূর্বে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যখন মক্কায় প্রবেশ করে কাবা গৃহে তাওয়াফ ও নামাজ আদায় করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, তখন মক্কার মুশরিকরা তাঁকে বাধা দান করে। ফলে শেষ পর্যন্ত তিনি নামাজ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। আল্লাহ্ তায়ালা এখানে ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করে এ কাজের দোষ প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম আর কে আছে যে আল্লাহ্র মসজিদসমূহে [মক্কার মসজিদুল হারাম, মদীনার মসজিদে নববী, মসজিদে বায়তুল মোকাদ্দাস প্রভৃতি সব মসজিদই অন্তর্ভূক্ত] তার নাম উচ্চারণ [ও এবাদত] করতে বাধা দেয় এবং পরিত্যক্ত করতে চেষ্টা করে।
হুদায়বিয়ার ঘটনার পর মক্কার মুশরিকরা যখন রাসূলুল্লাহ্কে (সাঃ) কাবা প্রাঙ্গণে প্রবেশ এবং তাঁর তাওয়াফে বাঁধা প্রদান করে, তখন এই আয়াত নাজেল হয়।
এই আয়াতের বর্ণনায় সাধারণ শব্দের মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র আইনের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যাতে নির্দেশটি শুধুমাত্র খৃষ্টান ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্কযুক্ত মনে করা না হয়। বরং এ নির্দেশটি সার্বজনীন, সর্বকালের জন্য এবং সকল সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য করা হয়। এ কারণেই আয়াতে বিশেষভাবে বায়তুল মোকাদ্দাসের নামোল্লেখের পরিবর্তে ‘আল্লাহ্র মসজিদ সমূহে’ সব মসজিদের ক্ষেত্রেই নির্দেশটি ব্যাপক করে দেওয়া হয়েছে।
[সাধারণ জ্ঞাতব্য হচ্ছে-ইসলাম এবাদতের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সমস্ত মসজিদই আল্লাহ্র এবাদতের জন্য উন্মুক্ত। ধর্ম সম্বন্ধে বিভিন্ন মতবাদ থাকতে পারে। ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত বা জাতিগত। ইসলাম বলে সে যেই হোক না কেন এক সম্প্রদায় আর এক সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করতে পারেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সকলের শান্তিপূর্ণ এবাদতের জন্য বাধা স্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়। যতক্ষণ পর্যন্ত যে কেউ এক আল্লাহ্-য় বিশ্বাসী হয় এবং ভক্তিভরে স্রষ্টার কাছে নিজেকে নিবেদনের জন্য মসজিদে উপস্থি হয়, তার জন্য আল্লাহ্র মসজিদের দ্বার উন্মুক্ত। আত্মবিশ্লেষনের মাধ্যমে আমাদের খুঁজে দেখতে হবে আমরা কি কুরআনের এই নির্দেশ অনুসরণ করি না গোষ্ঠীগত বিভক্তিতে আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরের চেষ্টা করি।-অনুবাদক।]