যখন আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও দীন-দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, মানুষকে সৎ কথাবার্তা বলবে, নামায প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দেবে, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে, তোমরাই অগ্রাহ্যকারী।
And (remember) when We took a covenant from the Children of Israel, (saying): Worship none but Allâh (Alone) and be dutiful and good to parents, and to kindred, and to orphans and Al-Masâkîn (the poor), [Tafsir At-Tabarî, Vol. 10, Page 158 (Verse 9:60)] and speak good to people [i.e. enjoin righteousness and forbid evil, and say the truth about Muhammad Peace be upon him ], and perform As-Salât (Iqâmat-as-Salât), and give Zakât. Then you slid back, except a few of you, while you are backsliders. (Tafsir Al-Qurtubî, Vol. 2, Page 392).
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ لاَ تَعْبُدُونَ إِلاَّ اللّهَ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً وَذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَقُولُواْ لِلنَّاسِ حُسْناً وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ إِلاَّ قَلِيلاً مِّنكُمْ وَأَنتُم مِّعْرِضُونَ
Wa-ith akhathna meethaqa banee isra-eela la taAAbudoona illa Allaha wabialwalidayni ihsanan wathee alqurba waalyatama waalmasakeeni waqooloo lilnnasi husnan waaqeemoo alssalata waatoo alzzakata thumma tawallaytum illa qaleelan minkum waantum muAAridoona
YUSUFALI: And remember We took a covenant from the Children of Israel (to this effect): Worship none but Allah; treat with kindness your parents and kindred, and orphans and those in need; speak fair to the people; be steadfast in prayer; and practise regular charity. Then did ye turn back, except a few among you, and ye backslide (even now).
PICKTHAL: And (remember) when We made a covenant with the Children of Israel, (saying): Worship none save Allah (only), and be good to parents and to kindred and to orphans and the needy, and speak kindly to mankind; and establish worship and pay the poor-due. Then, after that, ye slid back, save a few of you, being averse.
SHAKIR: And when We made a covenant with the children of Israel: You shall not serve any but Allah and (you shall do) good to (your) parents, and to the near of kin and to the orphans and the needy, and you shall speak to men good words and keep up prayer and pay the poor-rate. Then you turned back except a few of you and (now too) you turn aside.
KHALIFA: We made a covenant with the Children of Israel: “You shall not worship except GOD. You shall honor your parents and regard the relatives, the orphans, and the poor. You shall treat the people amicably. You shall observe the Contact Prayers (Salat) and give the obligatory charity (Zakat).” But you turned away, except a few of you, and you became averse.
৮২। কিন্তু যাদের আছে ঈমান এবং যারা সৎকাজ করে, তারা হবে [বেহেশতের] বাগানের অধিবাসী। সেখানে তারা [চিরদিন] থাকবে।
রুকু – ১০
৮৩। এবং স্মরণ কর, আমি বনী ইসরাঈলীদের নিকট থেকে [এই মর্মে] অঙ্গীকার নিয়েছিলাম ৮৭ যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করবে না; পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন এবং এতিম ও অভাবগ্রস্থের সাথে সদয় ব্যবহার করবে। মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলবে। সালাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যাকাত দেয়ার অভ্যাস গঠন করবে। অতঃপর তোমাদের মাঝে স্বল্প সংখ্যক ব্যতীত তোমরা [তা থেকে] মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এবং [এখন পর্যন্ত] তোমরা পতিত হয়ে আছ।
৮৭। উপরের আয়াতে বলা হচ্ছে যে সেই সব নির্দেশের কথা যা তাওরাতে আল্লাহ্ হযরত মুসাকে দিয়েছিলেন। আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, একত্ববাদে ঈমান, পিতা-মাতা, এতিম বালক-বালিকা ও দীন-দরিদ্রের সেবা যত্ন করা, সব মানুষের ভালর জন্য কথা বলা এবং যাকাত দেওয়া ইসলামী শরীয়তসহ পূর্ববর্তী শরিয়তসমূহেও বিদ্যমান ছিল। অর্থাৎ এইসব নৈতিক অনুশাসন সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বজাতির জন্য প্রযোজ্য [Universal]। যদি কেউ আল্লাহ্র এই আইন অমান্য বা লঙ্ঘন করে, তবে আল্লাহ্র শাস্তি সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। কারও জন্য তা লাঘব করা হবে না। [২ : ৮৬]।
‘মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলবে’ বা ‘Speak fair to the people’ কথাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। এর আবেদন অনেক গভীর। শুধুমাত্র বাহ্যিক ভালো ব্যবহার চরিত্রের নম্রতা প্রকাশ করে না। এর অর্থ অনেক গভীর, অনেক ব্যাপক। নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত এদের সাথে শুধু ভাল ব্যবহারই যথেষ্ট নয়, এদের অধিকারের জন্য কথা বলা, দুঃখীর সান্তনার জন্য কথা বলা, দুঃখ মোচনের জন্য কাজ করা, সত্য গোপন না করে সত্যর জন্য কথা বলা, এ সবই এই আয়াতটির দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ যেখানেই মানুষের প্রতি অন্যায় অবিচার হতে দেখা যাবে সেখানেই আল্লাহ্ নির্দেশ অনুযায়ী তার পাশে দাঁড়াতে হবে, তার হয়ে কথা বলতে হবে।