অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি (করুণাভরে) লক্ষ্য করলেন। নিশ্চয়ই তিনি মহা-ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু।
Then Adam received from his Lord Words . And his Lord pardoned him (accepted his repentance). Verily, He is the One Who forgives (accepts repentance), the Most Merciful.
فَتَلَقَّى آدَمُ مِن رَّبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
Fatalaqqa adamu min rabbihi kalimatin fataba AAalayhi innahu huwa alttawwabu alrraheemu
YUSUFALI: Then learnt Adam from his Lord words of inspiration, and his Lord Turned towards him; for He is Oft-Returning, Most Merciful.
PICKTHAL: Then Adam received from his Lord words (of revelation), and He relented toward him. Lo! He is the relenting, the Merciful.
SHAKIR: Then Adam received (some) words from his Lord, so He turned to him mercifully; surely He is Oft-returning (to mercy), the Merciful.
KHALIFA: Then, Adam received from his Lord words, whereby He redeemed him. He is the Redeemer, Most Merciful.
৫৫। ৩১ নং আয়াতে ‘আল্লাহ্ সকল জিনিসের প্রকৃতি শিক্ষা দিলেন’ বলা হয়েছে। এই ‘সকল জিনিষের প্রকৃতি হচ্ছে বস্তুর ধর্ম। ঠিক সেইভাবে এখানে আল্লাহ্র কাছ থেকে ‘প্রত্যাদেশের বাণী পেল অর্থাৎ প্রত্যাদেশ বা আধ্যাত্মিক’ জ্ঞান লাভ করলো। কারণ কোনও জ্ঞান শিখতে হলে তার নিজস্ব চেষ্টায় শিখতে হয়। কিন্তু প্রত্যাদেশ বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান যা আল্লাহ্র অসীম রহমত বা করুণার প্রতীক যা নদীর ফল্গুধারার মত স্বতঃপ্রবাহিত। হযরত আদম (আঃ) আল্লাহ্র কাছ থেকে সেই অসীম রহমতেরই সন্ধান পেয়েছিলেন।
আরবীতে অনুতাপ [তওবা] কথাটির অর্থ ফিরিয়া আসা এবং ‘তওয়াফ’ কথাটির ব্যবহার হয়েছে আল্লাহ্র কাছে কৃত পাপের ক্ষমা চাওয়া হিসেবে। কারণ আল্লাহ্ ক্ষমাশীল ও দয়ালু (Oft-returning Or Ever returning)। ক্ষমা চাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে কৃত পাপের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করা। অনুতাপ তিনটি ধাপের সমন্বয়ে গঠিত। প্রথমতঃ পাপী ব্যক্তি তার কৃত পাপকে সনাক্ত করবে। দ্বিতীয়তঃ সেই পাপ কাজকে শুধু সনাক্ত করলেই হবে না তা পরিত্যাগ করতে হবে। তৃতীয়তঃ ভবিষ্যতেও সে সেই মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকবে এই মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা ও দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা। এই তিনটি ধাপের সমন্বয়ই হচ্ছে অনুতাপ করা। এই তিনটি ধাপের যে কোনও একটির অভাব থাকলে তওবা হবে না। অর্থাৎ অতীতের পাপকে সনাক্ত করা, বর্তমানে তা পরিহার করা এবং ভবিষ্যতে তা না করার সংকল্প গ্রহণ করা-এই তিনটি জিনিসের সমাবেশ না ঘটা পর্যন্ত তওবা হবে না।
এরপরে আসে অতীতের কৃত পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া। মানুষ অত্যন্ত দুর্বল চরিত্রের। সে বার বার ভুল করে এবং বার বার আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চায়। যতক্ষণ পর্যন্ত তার ক্ষমা চাওয়া হয় আন্তরিক এবং সত্যিকারের, আল্লাহ্ অসীম করুণার অধিকারী, রহমানুর রহীম এবং ক্ষমাশীল। একমাত্র তাঁর করুণাই আমাদের দোষত্রুটি মুক্ত হতে সাহায্য করে।