একৈক গণনে যে হইল চারি দিন।
পাঁচ দিনে পাঁচুটী করিল সুপ্রবীণ।।
ছয় দিনে ষষ্ঠীপূজা নিশি জাগরণে।
দিল অষ্ট কলাই অষ্টাহে শিশুগণে।।
ডাক দিয়া আনে রাজা বালকগণেরে।
কাপড় পূরিয়া সোণা দিল সবাকারে।।
এয়োদশে রাজার হইল অশৌচান্ত।
কতেক করিল দান তার নাহি অন্ত।।
ছয় মাস বয়স্ক হইলে চারি জন।
করাইল সবাকার ওদন-প্রাশন।।
আমন্ত্রণ করিয়া সকল ক্ষত্রগণে।
আনাইল দশরথ আপন ভবনে।।
আসিয়া বশিষ্ঠ মুনি মহানন্দ মনে।
চারি পুত্রমুখে অন্ন দিল শুভক্ষণে।।
দশরথ চারি পুত্র লয়ে নিজ কোলে।
মিষ্টান্ন দিলেন সবা বদনকমলে।।
বসিলেন চারি ভাই সুচারু বদন।
কৌতুকে যৌতুক দিল সবে রত্ন ধন।।
সকলে যৌতুক দিল আসি রাজধাম।
বিচার করেন সবে রাখেন কি নাম।।
বিচারিল চারি বেদ আগম পুরাণ।
যে মন্ত্র হইলে লোক পাবে পরিত্রাণ।।
যেই মন্ত্র বাল্মীকি জপেন অবিরাম।
কৌশল্যাপুত্রের নাম রাখিল শ্রীরাম।।
পৃথিবীর ভর সহিবেন অবিরত।
তেঁই হেতু তাঁর নাম হইল ভরত।।
সুমিত্রার হইয়াছে যমজ নন্দন।
শত্রুঘ্ন কনিষ্ঠ তার জ্যেষ্ঠ শ্রীলক্ষ্মণ।।
রাজা চারি নন্দনের শুনিলেন নাম।
ব্রাহ্মণেরে দিল দান কত শত গ্রাম।।
রজত কাঞ্চন দিল নাম লব কত।
ধেনু দান শিলা দান করে শত শত।।
নানা দান দিয়া করে বশিষ্ঠের মান।
দুগ্ধবতী গাভী দিল সহস্র প্রমাণ।।
আশীর্ব্বাদ করে ঘরে গেল মুনিগণ।
আদিকাণ্ডে শ্রীরামের নাম সঙ্কলন।।