নবরূপে জন্মিলেন প্রভু নারায়ণ।
বানর রূপেতে জন্ম নিল দেবগণ।।
বিধাতা বলেন, শুন যত দেবগণ।
যে যথা বানরী পাও কর আলিঙ্গন।।
এক বানরীতে রতি ইন্দ্র সূর্য্য করে।
দুই পুত্র জন্মিলেন তাহার উদরে।।
হইল ইন্দ্রের তেজে বালি কপিবর।
সুগ্রীব বীরের জন্ম দিলেন ভাস্কর।।
কিষ্কিন্ধ্যায় ফল মূল খাইতে রসাল।
ফল মূল খায় দোঁহে বিক্রমে বিশাল।।
তেজ হৈতে তেজ বাড়ে, সম্পদে সম্পদ।
হইল বালির পুত্র কুমার অঙ্গদ।।
হইল ব্রহ্মার তেজে মন্ত্রী জাম্বুবান।
হইলেন পবনের তেজে হনুমান।।
হেমকূট নামে কপি বরুণ নন্দন।
পঞ্চ পুত্র যমের যে যম দরশন।।
জন্মিল শিবের তেজে কেশরী বানর।
দিনে দিনে বাড়ে যেন শাল তরুবর।।
অগ্নিতেজে হইলেন নীর সেনাপতি।
কুবেরের তেজে জন্ম বানর প্রমাথী।।
সুষেণের জন্ম হয় ধন্বন্তরী-তেজে।
অহিবিদ্যা-বৈদ্যশাস্ত্র দিল তার মাঝে।।
মহেন্দ্র দেবেন্দ্র হইল সুষেণ-নন্দন।
চন্দ্র-তেজে দধিমুখ হইল তখন।।
প্রত্যেক কহিলে হয় পুস্তক বিস্তর।
একৈক দেবের পুত্র একৈক বানর।।
কৃত্তিবাস পণ্ডিত যে সুখী সর্ব্ব দণ্ডে।
বানরের জন্ম এবে গায় আদ্যকাণ্ডে।।