ব্রণের ব্যথায় রাজা হইল কাতর।
পাত্র মিত্র আনি রাজা বলিল সত্বর।।
এ ব্যাথায় বুঝি হয় নাহি হেন জন।
ধন্বন্তরি পুত্র এক রত্নাকর নাম।
আসিয়া রাজার কাছে করিল প্রণাম।।
কহিলেন শুন রাজা পাইবে নিস্তার।
দুই মতে আছয়ে ইহার প্রতিকার।।
শামুকের ঝোল খাও না করিহ ঘৃণা।
নখে নখদ্বারে চুম্ব দিউক এক জনা।।
রক্ত পূঁজ স্রবিতেছে নখের দুয়ারে।
তাহাতে চুম্বন দিতে কোন্ জন পারে।।
কৈকেয়ী রাজার কাছে দিবানিশি থাকে।
রাজা যত দুঃখ পান কৈকেয়ী তা দেখে।।
রাজার শুশ্রুষা রাণী করে রাত্রিদিনে।
কহিল কৈকেয়ী রাণী রাজা বিদ্যমানে।।
স্বামী বিনা স্ত্রীলোকের অন্য নাহি গতি।
ব্রণে মুখ দিব, যদি পাও অব্যাহতি।।
যার ঘরে থাকে রাজা তার দায় লাগে।
কৈকেয়ী চুষিল গিয়া দশরথের আগে।।
পাকিয়া আছিল সেই নখের বরণ।
মুখের অমৃত পেয়ে গলিল তখন।।
সুস্থ হইলেন রাজা ব্যথা গেল দূরে।
রক্ত পূঁজ ফেলি দেহ বলে কৈকেয়ীরে।।
কর্পূর তাম্বুল প্রিয়ে করহ ভক্ষণ।
বর লহ যাহা চাহ দিব এইক্ষণ।।
কৈকেয়ী বলেন শুনি রাজার বচন।
যখন মাগিব বর পাইব তখন।।
দুইবারে দুই বর থাকুক্ তব ঠাঁই।
পশ্চাতে মাগিব বর এখন না চাই।।
শুনিয়া রাণীর কথা দশরথ হাসে।
আদিকাণ্ড রচিল পণ্ডিত কৃত্তিবাসে।।