দিগ্বিজয়পৰ্বাধ্যায়
বৈশম্পায়ন কহিলেন, হে মহারাজ! অর্জ্জুন উৎকৃষ্ট ধনু, অক্ষয় তূণীর, রথ, পতাকা ও সভা অধিকার করিয়া যুধিষ্ঠিরকে কহলেন, “রাজন! নিতান্ত অসুলভ অভিলাষিত কোদণ্ড, সহায়, দুর্গ যশ ও বল প্রভৃতি আমি সকলই লাভ করিয়াছি। এক্ষণে কোষবৃদ্ধি ও ভূপালগণ হইতে কর আহরণ করাই আমার কর্তব্য কাৰ্য্য। এক্ষণে আপনি অনুমতি করিলে শুভ নক্ষত্র, মুহূর্ত ও তিথিবিশেষ লাভ করিয়া বিজয়ার্থ উত্তরাভিমুখে প্ৰস্থান করি।”
অর্জ্জুনের এই কথা শুনিয়া যুধিষ্ঠির স্নিগ্ধ-গভীর স্বরে কহিলেন, “বৎস! তুমি পূজ্য ব্রাহ্মণদিগের আশীর্ব্বাদ গ্রহণপূর্ব্বক শত্ৰুগণের নিরানন্দ ও সুহৃদগণের আনন্দবৰ্দ্ধনের নিমিত্ত যুদ্ধযাত্রা কর, নিশ্চয়ই তোমার জয়লাভ ও অভীষ্টসিদ্ধি হইবে।” তখন অর্জ্জুন সুমহৎ সৈন্যমণ্ডলীপরিবৃত হইয়া অগ্নিদত্ত দিব্যরথে আরোহণপূর্ব্বক প্রস্থান করিলেন। ভীমসেন ও যমজ নকুল-সহদেব ইহারাও ধর্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির কর্তৃক সৎকৃত হইয়া সৈন্যগণসমভিব্যাহারে রাজধানী হইতে নিৰ্গত হইলেন।
অনন্তর অর্জ্জুন উত্তরদিক, ভীম পশ্চিম, সহদেব দক্ষিণ ও নকুল পূর্ব্বদিক জয় করিলেন। যুধিষ্ঠির খাণ্ডবপ্রস্থমধ্যস্থ সুহৃদ্বর্গে পরিবৃত হইয়া পরম সমৃদ্ধিসম্পন্ন হইয়া উঠিলেন।