২২৭তম অধ্যায়
বিশাখাপ্রমুখ কুমার-কুমারীগণের উৎপত্তি
মার্কণ্ডেয় কহিলেন, “মহারাজ! এক্ষণে কুমারের অদ্ভুতদৰ্শন পরিষদগণের বৃত্তান্ত কীর্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ করুন। বজ্রপ্ৰহারে স্কন্দের পার্শ্বদেশ হইতে কুমার-সকল সঞ্জাত হইল। সেই সমস্ত দারুণ কুমারগণ গৰ্ভস্থ শিশুসন্তানকে হরণ করিয়া থাকে। পরে ঐ পার্শ্বদেশ হইতেই মহাবলসম্পন্ন কুমারীগণ জন্মগ্রহণ করিল। কুমার-সকল বিশাখাকে পিতৃতুল্য বোধ করিত। ছাগমুখ বিশাখ ও ভদ্রশাখ কন্যা, পুত্র ও মাতৃগণে পরিবৃত হইয়া সমরসময়ে সকলকে রক্ষা করিতেন। লোকে কুমার স্কন্দকে পিতা বলিয়া আহ্বান করিত। সন্তানার্থী ও পুত্রবান ব্যক্তি-সকল প্রদোষসময়ে অগ্নিরূপ রুদ্র ও স্বাহারাপ উমাকে অৰ্চনা করিয়া থাকে।
“তপোনামা বহ্নি হইতে যে-সকল কন্যা উৎপন্ন হইয়াছিলেন, তাঁহারা স্কন্দ-সন্নিধানে গমন করিয়া কহিলেন, “ভগবান! এক্ষণে আমরা আপনার প্রসাদে সকলের মাতা ও পূজনীয় হইতে অভিলাষ করিয়াছি, অতএব আপনি আমাদিগের এই চিরাভিলষিত প্রিয়কাৰ্য্য সম্পাদন করুন।” স্বন্দ কহিলেন, “হে কুমারীগণ! তোমাদের মনোরথ পরিপূর্ণ হইবে, এক্ষণে তোমরা শিব ও অশিবা এই দুই ভাগে বিভক্ত হও।”
“অনন্তর লোকমতা-সকল স্কন্দকে পুত্ৰস্থানীয় করিয়া স্ব স্ব স্থানে প্রস্থান করিলেন। কাকী, হলিমা, মালিনী, বৃংহিকা, আৰ্য্যা, পলালা ও বৈমিত্ৰা এই সাতটি শিশুমাতা বা মাতৃগণ বলিয়া কীর্ত্তিত হইয়া থাকেন। স্কন্দদেবের প্রসাদ বলে মাতৃগণের গর্ভে মহাবলপরাক্রান্ত অতিভয়ঙ্কর লোহিতনেত্র আটটি শিশু জন্মগ্রহণ করেন। তাহারাই বীরাষ্টক এবং ছাগবক্ত তাহাদিগের নবম বলিয়া উল্লিখিত হইয়া থাকে। স্কন্দের ছয়টি বক্রের মধ্যে ছাগবত্ত্বই প্রধান ও মধ্যবর্ত্তী। মাতৃগণ র্ত্তাহার অর্চনা করিয়া থাকেন। যিনি দিব্যশক্তি সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহার নাম ভদ্রশাখা। হে মহারাজ! শুক্ল পঞ্চমীতে বিবিধাকার সমুৎপাদন ও ষষ্ঠীতে ঘোরতর যুদ্ধ হইয়াছিল।”