২১৮তম অধ্যায়
মোক্ষপদপ্রাপ্তির উপায়—জনদেব-পঞ্চশিখসংবাদ
যুধিষ্ঠির কহিলেন, “পিতামহ! মোক্ষধৰ্ম্মবেত্তা মিথিলাধিপতি জনকবংশীয় জনদেব কি উপায় অবলম্বন করিয়া মানুষিক ভোগাদি বাসনাসমুদয় পরিত্যাগপূৰ্ব্বক মোক্ষপদ লাভ করিয়াছিলেন?”
ভীষ্ম কহিলেন, “ধৰ্ম্মরাজ! মিথিলাধিপতি জনদেব যে উপায়ে মোক্ষলাভ করিয়াছিলেন, আমি সেই বৃত্তান্তসম্বলিত এক পুরাতন ইতিহাস কীৰ্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ কর। মিথিলাধিপতি মহারাজ জনদেব নিরন্তর ব্রহ্মপদপ্রাপ্তির উপায়চিন্তায় নিযুক্ত ছিলেন। একশত আচার্য্য তাঁহার গৃহে অবস্থানপূৰ্ব্বক তাঁহাকে বিবিধ আশ্রমবাসীদিগের নানাপ্রকার ধর্ম্ম উপদেশ প্রদান করিতেন; কিন্তু তিনি বেদপাঠে আসক্ত ছিলেন বলিয়া তাঁহাদিগের দেহনাশ ও জন্মান্তরলাভের উপদেশবিষয়ে অধিক সন্তুষ্ট হইতেন না।
“একদা কপিলাপুত্র পঞ্চশিখনামে এক মহর্যি পৃথিবীপর্য্যটনক্রমে মিথিলানগরীতে উপস্থিত হইলেন। তিনি সমুদয় সন্ন্যাসধৰ্ম্মের যথার্থ তত্ত্ব অবধারণে সমর্থ, নির্দ্বন্দ্ব, অসন্দিগ্ধচিত্ত, ঋষিদিগের মধ্যে অদ্বিতীয়, কামনাপরিশূন্য এবং মনুষ্যগণমধ্যে শাশ্বত সুখস্থাপনে অভিলাষী ছিলেন। তাঁহাকে দেখিলে বোধ হয় যেন, সাংখ্যমতাবলম্বীরা যাঁহাকে কপিল মহর্ষি বলিয়া নির্দ্দেশ করেন, তিনিই স্বয়ং পঞ্চশিখ নাম ধারণ করিয়া সমুদয় লোকের বিস্ময় উৎপাদন করিতেছেন। ঐ মহাত্মা আসুরির প্রধানশিষ্য ও চিরজীবী ছিলেন এবং সহস্র বৎসর মানসযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন।
“ভগবান মার্কণ্ডেয় আমার নিকট পঞ্চশিখমহর্ষির কপিলা পুত্ৰত্বলাভের বৃত্তান্ত যেরূপ কীৰ্ত্তন করিয়াছিলেন, তাহা কহিতেছি, শ্রবণ কর। একদা কপিলমতাবলম্বী অসংখ্য মহর্ষি একত্র সমাসীন রহিয়াছেন, ইত্যবসরে সেই অসন্দিগ্ধচিত্ত, বিষ্ণুপদপ্রাপক, যজ্ঞপরায়ণ, অন্নময়াদি-পঞ্চকোষাভিজ্ঞ, ব্রহ্মপরায়ণ, শমাদিপঞ্চগুণান্বিত পঞ্চশিখমহর্ষি তথায় উপস্থিত হইয়া অনাদি, অনন্ত পরমার্থ-বিষয় জিজ্ঞাসা করিলেন। ঐ স্থানে মহাত্মা আসুরি আত্মজ্ঞানার্থ কপিলের শিষ্য হইয়া শরীর ও শরীরীর বিষয় বিলক্ষণ অবগত হইয়াছিলেন। কপিলানামে এক ব্রাহ্মণী উহার সহধর্ম্মিণী ছিলেন। প্রিয়শিষ্য পঞ্চশিখ পুত্রভাবে ঐ কপিলার স্তন্য পান করিতেন, তন্নিবন্ধন তাঁহার ব্রহ্মনিষ্ঠবুদ্ধি ও কপিলার পুত্রত্বলাভ হইয়াছিল।
“এই আমি তোমার পঞ্চশিখের কপিলাপুত্রত্বলাভের বৃত্তান্ত কীৰ্ত্তন করিলাম। অনন্তর ধর্ম্মজ্ঞ কাপিলেয় মিথিলাধিপতিকে সমুদয় আচার্য্যের প্রতি সমান অনুরক্ত বিবেচনা করিয়া স্বীয় জ্ঞানপ্রভাবে উৎকৃষ্ট হেতু প্রদর্শনপূর্ব্বক আচাৰ্য্যগণকে বিমোহিত করিতে লাগিলেন। মহারাজ জনদেব তদ্দর্শনে তাঁহার প্রতি একান্ত অনুরক্ত হইয়া আচাৰ্য্যগণকে পরিত্যাগপূৰ্ব্বক তাঁহার অনুগামী হইলেন। তখন কাপিলেয় ধৰ্ম্মানুসারে সেই প্রণত ও ধারণসমর্থ মিথিলাধিপতিকে সাংখ্যমতানুসারে মোক্ষধৰ্ম্মের উপদেশ প্রদান করিতে লাগিলেন। তিনি প্রথমতঃ জন্মদুঃখ পরে কৰ্ম্মদুঃখ ও তৎপরে ব্রহ্মলোক পর্য্যন্ত সমুদয়ের দুঃখ [পুণ্যক্ষয়ে সংসারে যাতায়াতের জন্য ক্লেশবাহুল্য] কীৰ্ত্তন করিয়া, পরিশেষে যাহার প্রভাবে মানবগণ ধৰ্ম্মসংসর্গ ও কার্য্যের ফলোদয় বাসনা করে, সেই অবিশ্বাসনীয় অবশ্য বিনাশী ক্ষণভঙ্গুর মোহের বিষয় তাঁহার নিকট কীৰ্ত্তন করিতে আরম্ভ করিলেন।
আত্মার নানাত্ববাদ—দেহাত্মবাদে দোষদর্শন
“পঞ্চশিখ কহিলেন, ‘হে মহারাজ! নাস্তিকেরা কহে যে, এই লোকবিশ্রুত আত্মবিনাশ প্রত্যক্ষ হইলেও যিনি বেদপ্রমাণনিবন্ধন দেহনাশের পর আত্মত্ব স্বীকার করেন, তাঁহার মত নিতান্ত দূষিত; আর যাহারা মোহবশতঃ মৃত্যুকে আত্মার স্বরূপভাব এবং দুঃখ, জরা ও রাগাদি প্রভাববশতঃ ইন্দ্রিয়নাশকে আত্মার আংশিক বিনাশ বলিয়া স্থির করে, তাহাদিগের মতও নিতান্ত নিন্দনীয়। আর যদিও এইরূপ প্রত্যক্ষবিরুদ্ধ শ্রুতি জনসমাজে ব্যবহৃত হয়, তাহা রাজার অজরতা ও অমরতা আশীর্ব্বাদের ন্যায় উপচার মাত্র। ইহা সত্য কি মিথ্যা, এইরূপ একটি সংশয় উপস্থিত হইলে যদি কোন হেতু নির্দ্দিষ্ট না থাকে, তাহা হইলে উহা স্থির করা নিতান্ত অসম্ভব। প্রত্যক্ষ যেমন অনুমান ও আগমের মূল কারণ, তদ্রূপ আবার উহাদিগের বাধক। প্রত্যক্ষ প্রমাণ সত্ত্বে কখন আগমের আবশ্যক থাকে না এবং প্রত্যক্ষের অভাব হইলো অনুমান বা আগমদ্বারা কিছুই সপ্রমাণ হয় না। যে কোন স্থানে হউক না কেন, কেবল অনুমান অবলম্বন করিয়া বৃথা চিন্তা করিবার প্রয়োজন নাই; ফলতঃ শরীর হইতে জীবাত্মা পৃথক নহে, ইহাই নাস্তিকদিগের যথার্থ মত। যেমন একমাত্র বীজমধ্যেই পত্র, পুষ্প, ফল, মূল, ত্বক ও রূপ-রসাদির উৎপাদিকাশক্তি অন্তর্হিত রহিয়াছে, গাভীভুক্ত তৃণ ও উদক হইতে যেমন পৃথস্বভাবসম্পন্ন দুগ্ধ ও ঘৃতের আবির্ভাব হইতেছে, দ্রব্যনিচয় দুই-তিনরাত্রি সলিলমধ্যে নিহিত থাকিলেই যেমন তাহা হইতে মাদকতাশক্তি সমুৎপন্ন হয়, তদ্রূপ একমাত্র শুক্র হইতে বুদ্ধি, অহঙ্কার, চিত্ত, শরীর ও গুণাদিসমুদয় আবির্ভূত হইয়া থাকে। যেমন কাষ্ঠদ্বয়ের সংঘর্ষণে অগ্নির উৎপত্তি হয় এবং সূৰ্য্যকান্তমণি যেমন সূৰ্য্যরশ্মির সংযোগে অগ্নি উৎপাদন ও হুতাশনসন্তপ্ত দ্রব্য যেমন সলিল শোষণ করে, তদ্রূপ জড়পদার্থ আত্মার সহিত মনের সংযোগ হইলেই স্বরণজ্ঞান জন্মে। তখন অয়স্কান্তমণি যেমন লৌহকে পরিচালিত করে, সেইরূপ ঐ জ্ঞানপ্রভাবে ইন্দ্রিয়সমুদয় পরিচালিত হইতে থাকে। অতএব আত্মা দেহ হইতে ভিন্ন পদার্থ নহে।
‘এই মতও দূষিত। কারণ, দেহনাশ হইলে চৈতন্যের অপগম [লোপ] হওয়া দেহাতিরিক্ত আত্মার অস্তিত্ববিষয়ে প্রধান হেতু। যদি চৈতন্য দেহের ধৰ্ম্ম হইত, তাহা হইলে দেহনাশের পরেও চৈতন্য থাকিত। আর লোকায়তিকেরা পরলোকগমনক্ষম সূক্ষ্ম শরীরের স্বীকার করে না। কিন্তু তাহারা শীতজ্বর-নিবৃত্তির নিমিত্ত যে দেবতাদি প্রার্থনা করিয়া থাকে, সেই দেবতাদিকে অবশ্যই তাহাদিগকে সূক্ষ্ম বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে। যদি ঐ দেবতাদি পঞ্চভূতনির্ম্মিত স্থূল হইতেন, তাহা হইলে অনায়াসে তাঁহারা ঘটাদির ন্যায় দৃষ্টিগোচর হইতেন। তৃতীয়তঃ, যদি আত্মা দেহ হইতে অতিরিক্ত পদার্থ না হয়, তাহা হইলে দেহনাশ হইলেই যাবতীয় শুভাশুভ কৰ্ম্মের ক্ষয় হইত। ইতিপূৰ্ব্বে দেহাত্মবাদীদিগের মতে যেসমুদয় জড়পদার্থ হেতু বলিয়া প্রদর্শিত হইয়াছে, ঐ সমুদয়কে জড়পদার্থ ভিন্ন কখন সজীব পদার্থের হেতু বলিয়া নির্দ্দেশ করা যাইতে পারে না। কারণ, যদি আকারবিশিষ্ট পদার্থ হইতে নিরাকার, পদার্থের উৎপত্তি সম্ভব হইত, তাহা হইলে পৃথিব্যাদি ভূতচতুষ্টয় হইতে আকাশ উৎপন্ন হইতে পারিত। অতএব আকারবিশিষ্ট পদার্থ কখন নিরাকার পদার্থের সমান হইতে পারে না।
‘ক্ষণিক বিজ্ঞানবাদী সৌগতেরা কহেন যে, অবিদ্যা [অজ্ঞান] কাৰ্য্যলালসা, লোভ, মোহ এবং অন্যান্য দোষই পুনর্জ্জন্মের কারণ। অবিদ্যাক্ষেত্রে পুৰ্ব্বকৃত কৰ্ম্মবীজ নিক্ষিপ্ত হইয়া তৃষ্ণারূপ জলদ্বারা নিষিক্ত হইলেই লোকের পুনরায় জন্মপরিগ্রহ হয়। পূৰ্বোল্লিখিত অবিদ্যাদি গুঢ়ভাবে অবস্থান করিলে, এই বিনশ্বর দেহের নাশ হইলেই পুনরায় ঐ সমুদয় হইতে অন্য দেহের উৎপত্তি হয়; আর যদি জ্ঞানপ্রভাবে ঐ সমুদয় অবিদ্যাদি একেবারে ধ্বংস হইয়া যায়, তাহা হইলে দেহনাশের পর আর জন্মপরিগ্রহ করিতে হয় না। উহার নামই মোক্ষ।
‘ক্ষণিক বিজ্ঞানবাদীদিগের মতও বিশুদ্ধ নহে। তাঁহারা ক্ষণিক বিজ্ঞানকে আত্মা বলিয়া স্বীকার করেন; সুতরাং তাঁহাদের মতে মোক্ষলাভের সম্ভাবনা নাই। দেখ, বিজ্ঞান ভিন্ন ভিন্ন প্রকার লোকে মুমুক্ষু হইলে তাঁহার বাহ্যজ্ঞান থাকে, আর মোক্ষের সময় আলয় [অধিষ্ঠান স্থান দেহ] বিজ্ঞান হয়। অতএব যদি বিজ্ঞানকে আত্মা বলিয়া স্বীকার করা যায়, তাহা হইলে বাহ্যজ্ঞানের মুমুক্ষানিবন্ধন আলয়বিজ্ঞানের মুক্তি হয়, ইহা অবশ্যই বলিতে হইবে। কিন্তু ইহা নিতান্ত অসঙ্গত। এক ব্যক্তি কৰ্ম্মানুষ্ঠান করিলে অন্য ব্যক্তি তাহার ফলভোগ করিবে, ইহা নিতান্ত যুক্তিবিরুদ্ধ। একজন দান, বিদ্যোপার্জ্জন বা তপানুষ্ঠান করিলে যদি অন্যে তাহার ফলভোগ করে, তাহা হইলে ত’ ঐ সমুদয় কাৰ্য্যানুষ্ঠান করা নিতান্ত ব্যর্থ; আর যদি তাঁহারা বলেন যে, প্রত্যেক ব্যক্তির জ্ঞান স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র, লোকের এক জ্ঞানবিনাশের পর অন্য জ্ঞানের এবং ঐ জ্ঞান বিনাশের পর আর একটি জ্ঞানের উদয় হয়; এইরূপে ধারাবাহিকক্রমে লোকের জ্ঞান জন্মিয়া থাকে; তাহা হইলে তাঁহাদিগকে এই জিজ্ঞাস্য যে, জ্ঞাননাশের পর অন্য জ্ঞান জন্মাইবার কারণ কি? জ্ঞান ক্ষণিক; সুতরাং পূৰ্ব্বক্ষণজাত জ্ঞান উহার কারণ হইতে পারে না। যদি তাঁহারা বলেন যে, পূৰ্ব্বজ্ঞানের নাশই ঐ জ্ঞানের কারণ, তাহা যুক্তিবিরুদ্ধ। কারণ, তাহা হইলে মুষলদ্বারা কোন দেহ বিনষ্ট করিলে তাহা হইতে অন্য দেহ উৎপন্ন হইত। বিশেষতঃ জ্ঞানধারার আনন্ত্যনিবন্ধন [অসীমত্ব হেতু] ঋতু, বৎসর, যুগ, শীত, গ্রীষ্ম, প্রিয় ও অপ্রিয় যেমন পর্য্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হইতে দেখা যাইতেছে, তদ্রূপ মোক্ষলাভও বারংবার আগত ও নিবৃত্ত হইত।
‘কেহ কেহ আবার বিজ্ঞানসমুদয়কে ধৰ্ম্ম বলিয়া নির্দ্দেশ, করেন, তাহাও অসঙ্গত। কেন না তাহা হইলে গৃহের উপাদানসমুদয় যেমন ক্রমশঃ ক্ষয় প্রাপ্ত হওয়াতে পরিশেষে গৃহেরও নাশ হয় এবং ইন্দ্রিয়, মন, বায়ু, শোণিত, মাংস ও অস্থি এ সমুদয়ই যেমন আনুপূর্ব্বিক বিনষ্ট হইয়া স্বভাবে লীন হয়, তদ্রূপ আত্মাও বিজ্ঞাননাশনিবন্ধন বিনষ্ট হইয়া যাইত, আত্মাকে বুদ্ধাদির আশ্রয় ও নির্লিপ্ত বলিয়া নির্দ্দেশ করা যাইতে পারে; কেন না, যদি আত্মা কর্ত্তা ও ভোক্তা না হইত, তাহা হইলে দানাদি ক্রিয়ার কোন আবশ্যক থাকিত না এবং আত্মসুখজনক বৈদিক ও লৌকিক ক্রিয়াকলাপের লোপ হইয়া যাইত।
‘হে মহারাজ! নানা লোকের মনোমধ্যে এইরূপ নানাবিধ তর্কের উদয় হইয়া থাকে, এই মতই সৰ্ব্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট, ইহা কোনক্রমেই নির্ণয় করা যাইতে পারে না। কোন কোন ব্যক্তি ঐরূপ বিচারে প্রবৃত্ত হইয়া বিষয়ে বুদ্ধি অভিনিবিষ্ট করেন। তাহাদের বুদ্ধি তাহাতেই নিবিষ্ট থাকিয়া ক্রমে ক্রমে বিলীন হয়। লোক মাত্রেই এইরূপ অর্থ ও অনর্থের বশীভূত হইয়া রহিয়াছে; কিন্তু মহামাত্র [মাহুত] যেমন মাতঙ্গগণকে পরিচালিত করে, তদ্রূপ একমাত্র বেদই মানবগণকে পরিচালিত করিতেছে। মানবগণের মধ্যে যাহারা আপাতত-সুখাবহ অর্থের কামনা করে, তাহাদিগকে পরিণামে অত্যন্ত ক্লেশে সেই আমিষ পরিত্যাগ করিয়া শমনের শাসনবৰ্ত্তী হইতে হয়। আর যাঁহারা দেহ অনিত্য এবং বন্ধুবান্ধব ও দারপরিগ্রহে প্রয়োজন নাই বিবেচনা করিয়া সমুদয় পরিত্যাগপূর্ব্বক কলেবর পরিত্যাগ করেন, তাহাদিগকে পুনরায় জন্মপরিগ্রহ করিতে হয় না। এই দেহ বিনশ্বর এবং ইহাতে কিছুমাত্র উপকার নাই। যে ব্যক্তি এই দেহকে ভূমি, আকাশ, জল, অনল ও বায়ুদ্বারা প্রতিপালিত বলিয়া বিবেচনা করিতে পারে, তাহার কি কখন উহার রক্ষাবিধানে যত্ন হইয়া থাকে?’ ”