১৬৮তম অধ্যায়
অভিমন্যুপ্রভৃতির পরাক্রম
“ “হে মহারাজ! দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্ৰ সকলেই মহারথ। বিরাটনন্দন উত্তর রথী। মহাবীর অভিমন্যু অর্জ্জুন ও বাসুদেবের তুল্য লঘুহস্ত [ক্ষিপ্ৰহস্ত—দ্রুত অস্ত্ৰ-প্রয়োগে অভ্যস্ত] ও দৃঢ়ব্ৰত [যুদ্ধাদি কর্ত্তব্য কাৰ্য্যে দৃঢ়তা]; তিনি পিতা অর্জ্জুনের ক্লেশ স্মরণ করিয়া বিক্রম প্রকাশ করিবেন। মহাবীর সাত্যকি বৃষ্ণিবংশীয়দিগের মধ্যে অমর্ষপরায়ণ ও নির্ভয়; আমি তাঁহাকে ও মহাবলপরাক্রান্ত যুধামন্যুকে রথী বলিয়া বিবেচনা করিয়া থাকি। ইঁহাদিগের বহুসহস্ৰ, হস্তী অশ্ব ও রথ আছে। ইঁহারা অগ্নি ও বায়ুর ন্যায় পরস্পর আহ্বানপূর্ব্বক জীবিতনিরপেক্ষ [প্রাণের প্রতি উপেক্ষাহীন] হইয়া পাণ্ডবগণসমভিব্যাহারে অর্জ্জুনের প্রিয়সাধনাৰ্থ তোমার সৈন্যমধ্যে যুদ্ধ করিবেন। মহাবীর, পুরুষশ্রেষ্ঠ, সমরে দুর্জ্জয় বিরাট ও দ্রুপদ মহারথ, ইঁহারা বৃদ্ধ হইয়াছেন বটে, কিন্তু ক্ষত্রধর্ম্মপরাঙ্মুখ [যুদ্ধাদি কাৰ্য্যে পশ্চাৎপদ] নহেন; অন্যান্য বীরপুরুষ কারণবশতঃ কখন তেজস্বী, কখন বা নিস্তেজ হয়েন, কিন্তু ইঁহারা মৃত্যু পর্য্যন্তও দৃঢ়বিক্রম থাকেন; অতএব এই দুই মহাবীর সম্বন্ধ, বংশ, বীৰ্য্য, বল ও পাণ্ডবগণের বিশ্বাস অনুসারে পৃথক পৃথক অক্ষৌহিণীসমভিব্যাহারে বীরাচরিত পথ অবলম্বন করিয়া প্ৰাণপণে সমরে মহৎকাৰ্য্য অনুষ্ঠান করিবেন।’ ”