তিন কাণ্ড পুঁথি গেল শ্রীরাম-মাহাত্ম্য।
আর তিন কাণ্ড শুন রাবণ-চরিত্র।।
সুর্পণখা বলে ভাই এই পঞ্চবটী।
এই স্থানে কাটা গেল নাক কাণ দুটি।।
রাবণ চড়িয়া রথে চলিল গগনে।
রথ হৈতে ভূমিতে নামিল দুই জনে।।
মারীচের করে ধরি কহে লঙ্কেশ্বর।
মৃগরূপ ধর তুমি, দেখিতে সুন্দর।।
মৃগরূপ ধরিল মারীচ নিশাচর।
বিচিত্র সুচিত্র তার সুবর্ণ শরীর।।
নবনীত সদৃশ কোমল কলেবর।
শ্বেতবর্ণ চারি খুর দেখিতে সুন্দর।।
দুই শৃঙ্গে তার যেন প্রবাল প্রস্তর।
সোনার বিম্বকি গলে যেন নিশাকর।।
ত্রৈলোক্য জিনিয়া স্বর্ণমৃগ মনোহর।
দুই ওষ্ঠ শোভে তাহে যেন দিবাকর।।
স্থানে স্থানে রাঙ্গা, মধ্যে কজ্জলের রেখা।
রাঙ্গা জিহ্বা মেলে যেন বিজলী ঝলকা।।
লোমাবলী দেখি যেন মুকুতার জ্যোতি।
দুই চক্ষু জ্বলে যেন রতনের বাতি।।
নানা মায়া ধরে দুষ্ট মায়ার পুতুলি।
রত্নের কিরণ কিম্বা শোভিত বিজলী।।
মৃগরূপ দেখিয়া রাবণ রাজা হাসে।
গাইল অরণ্যকাণ্ড গীত কৃত্তিবাসে।।