সংগ্রাম করিতে হরি, চলিলা ধনুক ধরি,
তাহা দেখি যত দেবগণ।
ইন্দ্রেরে কহিয়া সবে, পবনেরে কহি তবে,
পাঠাইলা রামের সদন।।
বিশেষ কহিলা দণ্ডী, অশুদ্ধ করিতে চণ্ডী,
পরামর্শ দিল রঘুবরে।
শুনিয়া দৈব-বচন, বিভীষণে রাম কন,
পাঠাইতে পবন-কুমারে।।
শ্রীরামের আজ্ঞা পায়, বীর হনুমান যায়,
উত্তরে নিমিষে হাটি বাট।
যথা বৃহস্পতি আছে, উপনীত তাঁর কাছে,
একমনে করে চণ্ডীপাঠ।।
মক্ষিকার রূপ ধরে, চাটিলেন দ্বি-অক্ষরে,
দেখিতে না পান বৃহস্পতি।
অভ্যাস আছিল তায়, পড়িল অবহেলায়,
হনুমান সচিন্তিত অতি।।
ছাড়ি মক্ষী-কলেবরে, আপন বিক্রম ধরে,
দেখি গুরু পাইলেন ভয়।
রঙ্গে ভঙ্গ দেয় পাঠ, চক্ষে নাহি দেখে বাট,
হনুমান পুঁথি কাড়ি লয়।।
প্রথম মাহাত্ম্য স্তোক, মুছে ফেলে তিন শ্লোক,
চণ্ডী হৈল অশুদ্ধ তখন।
রাবণে নিরাশ করি, রণ ছাড়ি মহেশ্বরী,
কৈলাসেতে করিলা গমন।।
স্তব করি দশানন, কান্দে কত শোক-মন,
ফিরে না চাহিলা মহেশ্বরী।
হেথা রাম এল রণে, ন্দ্ররথ আরোহণে,
বিজয় কোদণ্ড ধনু ধরি।।