রামের বচন শুনি, বিষাদে হরিষ গণি,
স্তুতিবাক্যে কাত্যায়নী কন।
শুন প্রভু দয়াময়, অখিল ব্রহ্মাণ্ডচয়,
হও তুমি ব্রহ্ম-সনাতন।।
তুমি আদি ভগবান, অখণ্ড কাল সমান,
বিশ্ব রহে তব লোমকূপে।
তুমি চরাচর-গতি, অচ্যূত অব্যয় অতি,
ব্যাপকতা পরমাণুরূপে।।
মায়ায় মনুষ্য তুমি, চতুর্ব্ব্যূহ আসি ভূমি,
নাশিতে রাক্ষস দুরাচার।
ভব-ভাব্য প্রভু হও, কভু কোন্ ভাবে রও,
শুদ্ধতত্ত্ব কে জানে তোমার।।
তোমার জানকী যিনি, পরমা প্রকৃতি তিনি,
রাবণের কি সাধ্য হরিতে।
সীতা উদ্ধারের ছলে, সেতু বান্ধি সিন্ধুজলে,
রাক্ষসের বিনাশ করিতে।।
দেখহ মনে বিচারি, রাবণ তোমার দ্বারী,
পূর্ব্বে ছিল বৈকুণ্ঠ নগরে।
ব্রহ্মাশাপে ধরা এল, শত্রু ভাবেতে পাইল,
তেঁই প্রভু তুমি ধরা পরে।।
অকাল-বোধন পূজা, কৈলে তুমি দশভুজা,
বিধিমতে করিলে বিন্যাস।
লোকে জানাবার জন্য, আমারে করিতে ধন্য,
অবনীতে করিলে প্রকাশ।।
রাবণে ছাড়িনু আমি, বিনাশ করহ তুমি.
এত বলি হৈলা অন্তর্দ্ধান।
নাচে গায়ে কপিগণ, প্রেমানন্দে নারায়ণ,
নবমী করিলা সমাধান।।
দশমীতে পূজা করি, বিসর্জ্জিয়া মহেশ্বরী,
সংগ্রামে চলিলা রঘুপতি।
আদেশ পাইয়া রাম, সিদ্ধ কৈল মনস্কাম,
চণ্ডীলীলা মধুর ভারতী।।