৮২তম অধ্যায়
বশ্যতার উপায়ান্তর—ঋষি-নৃপ-সংবাদ
ভীষ্ম কহিলেন, “হে কৌন্তেয়! প্রথমতঃ যে উপায় কীৰ্ত্তন করিলাম, শ্রবণ করিয়াছ; এক্ষণে দ্বিতীয় উপায় কীৰ্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ কর। যাহা হইতে সম্পদবৃদ্ধি হয়, তাহাকে রক্ষা করা নরপতির অবশ্য কর্ত্তব্য। ভৃত্য, বা অন্য কোন ব্যক্তি যদি অমাত্যকে রাজকোষ অপহরণ করিতে দেখিয়া নরপতিগোচরে আবেদন করে, তাহা হইলে নরপতি তাহার বাক্য শ্রবণ ও অমাত্যের হস্ত হইতে তাহাকে রক্ষা করিবেন। হিতার্থ ব্যক্তি রাজার নিকটে অমাত্যদিগের রাজকোষহরণবৃত্তান্ত নির্দেশ করিলে তাহারা একত্র সমবেত হইয়া সেই ব্যক্তির বিনাশে যত্নবান্ হয়। ঐ সময় যদি রাজা তাহাকে রক্ষা না করেন, তাহা হইলে সে নিশ্চয়ই সেই দুরাত্মাদিগের প্রভাবে প্রাণপরিত্যাগ করে। কালকবৃক্ষীয়মুনি কোশলাধিপতি ক্ষেমদর্শীকে যাহা কহিয়াছিলেন, তাহাই এই বিষয়ের প্রমাণস্বরূপ। এক্ষণে আমি সেই পুরাতন ইতিহাস কীৰ্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ কর।
“পূৰ্ব্বকালে কালকবৃক্ষীয়নামক মহর্ষি কোশলাধিপতি ক্ষেমদর্শীর রাজ্যে গমন করিয়া তাঁহার সবিশেষ হিতসাধন করিয়াছিলেন। ঐ মহর্ষি কোশলরাজের রাজ্যমধ্যে প্রবেশ করিয়া তাঁহাকে অমাত্যগণের দোষদর্শনে প্রবৃত্ত করিবার মানসে পিঞ্জরমধ্যে এক কাক নিহিত করিয়া অনেকানেক ব্যক্তিকে সম্বোধনপুৰ্ব্বক ‘তোমরা বায়সী বিদ্যা অধ্যয়ন কর; বায়সেরা ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্ত্তমান ত্রিকালের বৃত্তান্ত নিবেদন করিতে পারে’ এই বলিয়া রাজ্যমধ্যে ভ্রমণ করিয়া অসংখ্য রাজপুরুষের পাপকাৰ্য্যসমুদয় প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। মহর্ষি কিয়দ্দিন ঐরূপে পরিভ্রমণপূৰ্ব্বক অমাত্যদিগের কুকর্ম্ম ও রাজ্যসংক্রান্ত অন্যান্য সমুদয় বৃত্তান্ত অবগত হইয়া সেই কাকসমভিব্যাহারে নরপতিগোচরে আগমন করিলেন এবং ‘আমি সৰ্ব্বজ্ঞ’ এই বলিয়া আত্মপরিচয় প্রদানপূৰ্ব্বক ক্ষেমদর্শীর অমাত্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, ‘অমাত্য! আমার কাক কহিতেছে, তুমি রাজকোষ অপহরণ করিয়াছ, এই এই ব্যক্তি তাহার সাক্ষী আছে; অতএব তুমি এ বিষয় সত্য কি মিথ্যা, শীঘ্র তাহা সপ্রমাণ কর।’ ঐ মহর্ষি কালকবৃক্ষীয় অমাত্যকে এইরূপ কহিয়া অন্যান্য কোষাপহারদিগেরও দোষ কীৰ্ত্তন করিলেন। পরিশেষে ঐ বিষয়ের সবিশেষ অনুসন্ধান হইলে তাহার একটি কথাও মিথ্যা হইল না।
“রাজকর্ম্মচারীরা এইরূপে সেই মহর্ষিকর্ত্তৃক অপকৃত [পাপিরূপে প্রমাণিত—ক্ষতিগ্রস্ত] হইয়া রজনীযোগে তিনি নিদ্রিত হইবামাত্র তাঁহার কাককে বাণবিদ্ধ করিল। মহর্ষি প্রাতঃকালে গাত্রোত্থানপূৰ্ব্বক বায়সকে শরনির্ভিন্নকলেবর অবলোকন করিয়া ক্ষেমদর্শীকে কহিলেন, ‘রাজন্! আপনি রক্ষাকর্তা, অতএব আমি আপনার নিকট অভয় প্রার্থনা করিতেছি, আপনি অনুজ্ঞা প্রদান করিলে আমি আপনার হিতকথা কহিতে পারি। আমি আপনার হিতার্থেই এ স্থানে আগমন করিয়াছি। সারথি উত্তম অশ্বকে যেরূপ শিক্ষা প্রদান করে, তদ্রূপ হিতাকাঙক্ষী ব্যক্তির মিত্রকে হিতোপদেশ প্রদান করা অবশ্য কর্ত্তব্য। যে ব্যক্তি ঔদ্ধত্য প্রকাশপূৰ্ব্বক “এই তোমার অর্থ নষ্ট হইতেছে” বলিয়া রাজাকে সতর্ক করে, সে তাহার পরমমিত্র। ভূপতি উন্নতিলাভের ইচ্ছা করিলে তাদৃশ মিত্রকে অবশ্যই ক্ষমা প্রদর্শন করিবেন।’ তখন নরপতি মহর্ষিকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, ‘ভগবন্! আমার মঙ্গললাভের নিমিত্ত আপনি আমাকে যাহা কহিবেন, আমি কি নিমিত্ত তাহা শ্রবণ না করিব? আমি সত্য কহিতেছি, আপনি স্বেচ্ছানুসারে যাহা কহিবেন, আমি তাহাই সম্পাদন করিব।’
“মহর্ষি কহিলেন, ‘রাজন্! আমি আপনার ভৃত্যদিগের দোষগুণ ও তাহাদের নিকট হইতে আপনার ভয়ের বিষয় কীৰ্ত্তন করিবার জন্য আপনার সমীপে সমুপস্থিত হইয়াছি। পণ্ডিতগণ উপজীবীদিগের নানাপ্রকার দোষ কীৰ্ত্তন করিয়াছেন। ফলতঃ রাজকর্ম্মচারীদিগের কাৰ্য্য নিতান্ত নীচ ও ক্লেশকর। রাজসমীপে অবস্থান করা সর্পসহবাসের ন্যায় নিতান্ত ভয়াবহ। নরপতিদিগের অসংখ্য মিত্র ও অমিত্র থাকে। ঐ সমুদয় লোক ও ভূপতি হইতে উপজীবিগণের সতত ভয় উপস্থিত হয়। ভৃত্যগণ সতত সাবধান হইয়া নরপতির কাৰ্য্যসম্পাদন করে। ফলতঃ যে ভৃত্য আপনার উন্নতি কামনা করে, তাহার অনবহিত হওয়া কদাপি কর্ত্তব্য নহে। ভৃত্যের প্রমাদনিবন্ধন রাজা তাহার প্রতি কুপিত হইলে ভৃত্যের জীবনাশা এককালে তিরোহিত হয় এবং সে প্রদীপ্তপাবকের ন্যায় ভূপতির ক্রোধে নিপতিত হইয়া অচিরাৎ প্রাণত্যাগ করে; অতএব মানবগণ জীবিতাশা পরিত্যাগপূৰ্ব্বক যত্নসহকারে সর্পের ন্যায় ভূপতির সেবা করিবে। রাজার দুৰ্ব্বাক্য শ্রবণ এবং অসুখে অবস্থান, মন্দগমন, ইঙ্গিত ও অঙ্গচেষ্টা[ভ্রূকুটি, হস্তপদাদির চালনকৌশলযুক্ত ইঙ্গিত প্রভৃতি]দর্শনে ভৃত্যগণকে যারপরনাই শঙ্কিত হইতে হয়। ময়দানব কহিয়াছে যে, নরপতি প্রসন্ন হইলে দেবতার ন্যায় সমুদয় হিতকাৰ্য্য সাধন করেন এবং ক্রুদ্ধ হইলে হুতাশনের ন্যায় সমস্ত ভস্মসাৎ করিয়া ফেলেন। এক্ষণে আমি আপনার সহিত পূর্বোক্তরূপ ব্যবহার করিয়া। আপনার হিতকাৰ্য্য সম্পাদন করিব। মাদৃশ অমাত্যগণ আপদ উপস্থিত হইলে বুদ্ধিসাহায্য প্রদান করিয়া থাকে। কিন্তু এই কাক যেমন আপনার হিতসাধননিবন্ধন প্রাণত্যাগ করিয়াছে, তদ্রূপ আমাকেও প্রাণত্যাগ করিতে হইবে; এ নিমিত্ত আমি নিতান্ত ভীত হইতেছি। যাহা হউক, এ বিষয়ে আপনাকে নিন্দা করা বিধেয় নহে। কারণ, যাহারা আমার অনিষ্টচেষ্টায় নিরত আছে, আপনিও তাহাদিগের প্রিয় নহেন। অতঃপর আপনি হিতাহিত বিবেচনা করুন, অন্যের বুদ্ধি অনুসারে কাৰ্য্য করিবেন না। আপনার ভবনে যেসকল অমাত্য বাস করিতেছে, উহারা স্বার্থসাধনে যত্নবান; কেহই প্রজার কল্যাণ কামনা করে না। উহাদিগের সহিত আমার বৈরভাব জন্মিয়াছে। উহারা পাচকাদির সহিত সন্ধি করিয়া বিষান্ন প্রয়োগদ্বারা আপনার বিনাশসাধনপূৰ্ব্বক রাজ্য কামনা করিতেছে, কিন্তু নানাবিধ ব্যাঘাতবশতঃ কৃতকার্য্য হইতে পারিতেছে না। আমি উহাদিগের ভয়ে অন্যত্র প্রস্থান করিব। আমি তপঃপ্রভাবে অবগত হইয়াছি যে, ঐ দুরাত্মারাই আমার বায়সের শরীরে শরনিক্ষেপ করিয়া উহাকে শমনসদনে প্রেরণ করিয়াছে। আপনার রাজ্যের ব্যবহার অমাত্যগণের কপটতানিবন্ধন মীননক্রাদি সমাকীর্ণ নদীর ন্যায় এবং স্থাণু, প্রস্তর, কণ্টকবহুল সিংহব্যাঘ্রসঙ্কুল হিমালয়ের গুহার ন্যায় নিতান্ত দুরবগাহ ছিল, আমি কেবল ঐ বায়সের সাহায্যে উহার মধ্যে প্রবেশ করিয়াছি। পণ্ডিতেরা কহেন যে, অন্ধকারাচ্ছন্ন দুর্গ প্রদীপদ্বারা এবং নদীদুর্গ নৌকাদিদ্বারা অতিক্রম করা যাইতে পারে, কিন্তু রাজদুর্গ অবতীর্ণ হইবার কিছুমাত্র উপায় নাই।
‘এক্ষণে আপনার রাজ্য কপটতাপরিপূর্ণ ও অজ্ঞানান্ধকারে সমাবৃত হইয়াছে। ইহাতে আমার বিশ্বাস করা দূরে থাকুক, আপনারও বিশ্বাস করা কর্ত্তব্য নহে। এই রাজ্যে সৎ ও অসৎ সমস্তই একাকার; অতএব এস্থলে বাস করা শুভাবহ হইতেছে না। ন্যায়ানুসারে পাপাত্মার বিনাশ ও পুণ্যাত্মার নিরাপদ হওয়া সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয়; কিন্তু এ রাজ্যে পুণ্যাত্মাদিগেরই বিনাশ এবং পাপাত্মাদিগের নিরাপদে অবস্থান হইয়া থাকে। এখানে সুস্থির হইয়া থাকা যুক্তিযুক্ত নহে। পণ্ডিতগণের এরূপ স্থান হইতে অচিরাৎ প্রস্থান করা কর্ত্তব্য। স্ফীতা [সহসা জলের উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত] নদীতে নৌকাদি যেমন নিমগ্ন হয়, আপনার এই রাজ্যে সাধুব্যক্তিরা তদ্রূপ অবসন্ন হইয়া যান। সতত অভদ্রসংসর্গ হওয়াতে আপনার রীতি সমস্তই অসতের ন্যায় হইয়া গিয়াছে। এক্ষণে আপনাকে বিষময় পাত্রস্থ মধুর ন্যায়, আশীবিষসমাকীর্ণ কূপের ন্যায়, মধুরসলিলসম্পন্ন দুরবতাৰ্য্য [অতিকষ্টে অবতরণীয়] বেত্রকণ্টক[বেতকাঁটা]সমাকীর্ণ উন্নততট[উচ্চ তীর] তটিনীর ন্যায় এবং গৃধ্র, গোমায়ু ও কুক্কুরপরিবেষ্টিত রাজহংসের ন্যায় বোধ হইতেছে। কক্ষ যেমন উন্নত বনস্পতির আশ্রয়ে পরিবর্দ্ধিত হইয়া পরিশেষে দাবাগ্নিসহযোগে সেই বৃক্ষকে ভস্মীভূত করে, তদ্রূপ আপনার অমাত্যগণ আপনার আশ্রয়ে পরিবর্দ্ধিত হইয়া আপনারই বধসাধনে উদ্যত হইয়াছে; অতএব আপনি অচিরাৎ উহাদিগের হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইবার চেষ্টা করুন। আপনি যাহাদিগকে প্রতিপালন করিয়াছেন, এক্ষণে তাহারাই অভিসন্ধি করিয়া আপনার প্রিয়বস্তু-বিনাশে যত্নবান হইতেছে। আমি আপনার ও আপনার অমাত্যগণের চরিত্র, আপনার জিতেন্দ্রিয়তা, অমাত্যগণের সহিত আপনার হৃদ্যতা এবং প্রজাদিগের প্রতি আপনার অনুরাগের বিষয় জানিবার জন্য শঙ্কিতচিত্তে সসৰ্পগৃহের ন্যায় আপনার আবাসে অবস্থান করিয়াছি। এক্ষণে আমার ক্ষুধার্ত্ত ব্যক্তির ভোজনের ন্যায় আপনার প্রতি অনুরাগ এবং তৃষ্ণাবিহীন ব্যক্তির সলিলের ন্যায় অমাত্যগণের প্রতি অশ্রদ্ধা হইতেছে। হে মহারাজ! আমি আপনার উপকারক, এই নিমিত্তই অমাত্যগণ আমার প্রতি ক্রোধান্বিত হইয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু আমি তাহাদিগের প্রতি ক্রুদ্ধ হই নাই, কেবল তাহাদের দোষদর্শনে প্রবৃত্ত হইয়াছি। যাহা হউক, দণ্ডঘট্টিত ভগ্নপৃষ্ঠ উরগের ন্যায় অরাতি হইতে ভয় করা সৰ্ব্বতোভাবে কর্ত্তব্য।
“তখন ভূপাল কহিলেন, ‘মহর্ষে! আপনি চিরকাল আমার গৃহে বাস করুন। আমি আপনার যথোচিত সত্ত্বার ও পূজা করিব। যাহারা আপনার দ্বেষ করিবে, আমি তাহাদিগকে আবাস হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিব। এক্ষণে আপনিই আমাকে সুনিয়মে দণ্ডবিধান ও অন্যান্য কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য বিষয়ে উপদেশ প্রদানপূর্ব্বক আমার মঙ্গলবিধান করুন।’
মন্ত্রণা মাহাত্মে কালকবৃক্ষীয়ঋষির রাজমন্ত্রিত্ব
“মহর্ষি কহিলেন, ‘মহারাজ। প্রথমতঃ অমাত্যগণকে কাকবধনিবন্ধন অপরাধী না করিয়া উহাদিগকে ক্রমে ক্রমে হীনবল করুন। পরিশেষে একে একে উহাদিগের সকলের সমস্ত অপরাধ সপ্রমাণ করিয়া প্রত্যেককে বিনাশ করিবেন। সকলের প্রতি একবারে দোষারোপ করা কর্ত্তব্য নহে। অনেক ব্যক্তি একত্র সমবেত হইলে অতি দৃঢ়বস্তুও ভগ্ন করিতে পারে, এই নিমিত্ত আপনাকে ঐ বিষয় সতর্ক করিয়া দিলাম। আমরা ব্রাহ্মণজাতি, স্বভাবতঃই মৃদু ও দয়াশীল। আমরা আপনার আত্মার ন্যায় সকলেরই মঙ্গল প্রার্থনা করিয়া থাকি। বিশেষতঃ আপনার সহিত আমার বিশেষ সম্বন্ধ আছে। আপনার পিতা আমার পরমবন্ধু ছিলেন। আমার নাম কালকবৃক্ষীয়, আপনার পিতার রাজ্যসময়ে বিদ্রোহ উপস্থিত হইলে আমি সমুদয় কামনা পরিত্যাগ করিয়া বিদ্রোহশান্তির নিমিত্ত তপস্যা করিয়াছিলাম। এক্ষণে আমি স্নেহপরবশ হইয়াই আপনাকে এই হিতোপদেশ প্রদান করিতেছি, আপনি পুনরায় অবিশ্বস্তের প্রতি বিশ্বাস করিবেন না। আপনি অনায়াসে রাজ্যলাভ করিয়াছেন। এক্ষণে সুখদুঃখে দৃষ্টিপাত করিয়া উহা স্বচ্ছন্দে ভোগ করুন। কি নিমিত্ত প্রমত্ত ও অমাত্যগণকর্ত্তৃক বঞ্চিত হইতেছেন?
“হে ধৰ্ম্মরাজ! কালকবৃক্ষীয় এই কথা কহিলে কোশলরাজ তাঁহাকে প্রধান পুরোহিতপদে নিযুক্ত করিলেন। ঐ সময় চতুর্দিকে নান্দীপাঠ [মঙ্গলকর শব্দময় গীতি] হইতে লাগিল। মহর্ষি কালকবৃক্ষীয় পুরোহিতপদে নিযুক্ত হইয়া, মন্ত্রপ্রভাবে অতি অল্প দিনের মধ্যেই যশস্বী কোশলরাজকে সসাগরা পৃথিবীর অধীশ্বর করিয়া তাঁহার মঙ্গলার্থ বিবিধ যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিতে আরম্ভ করিলেন। এইরূপে কোশলরাজ মহর্ষির হিতবাক্যে আস্থা স্থাপন করিয়া সমুদয় পৃথিবী জয় করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন।”