লোমশ বলেন, রাজা কর অবধান।
বৃত্রাসুরে যেইরূপে বধে মরুত্বান।।
অস্থি লয়ে দেবগণ করিল গমন।
দেবশিল্পী স্থানে দিল করিতে গমন।।
সে উগ্র প্রকারে বজ্র করিয়া নিম্মাণ।
শীঘ্রগতি আনি দিল ইন্দ্র বিদ্যামান।।
বজ্র নিয়া সাজি থাকে দেব পুরন্দর।
হেনকালে এল বৃত্রাসুর দৈত্যেশ্বর।।
প্রবল দানব দৈত্য সংহতি করিয়া।
সুমেরু শিখর যেন পর্ব্বত বেড়িয়া।।
মার মার শব্দ করি মহা কলরব।
প্রলয় সময়ে যেন উথলে অর্ণব।।
পর্ব্বত আয়ুধ কেহ ধরে দৈত্যগণ।
নানা অস্ত্র চতুর্ভিতে করে বরিষণ।।
গজেন্দ্র চড়িয়া ইন্দ্র বজ্র লয়ে হাতে।
দেবগণ সহ যায় বৃত্রেরে মারিতে।।
ইন্দ্রে দেখি ঘোরনাদে গর্জ্জে দৈত্যেশ্বর।
ভয়ঙ্কর শব্দে কাঁপে যত চরাচর।।
আকাশ পাতাল যুড়ি মুখ মেলি ধায়।
দেখিয়া অমরপতি ভয়েতে পলায়।।
দেবগণ সহ ইন্দ্র যায় রড়ারড়ি।
পাছু পাছু দৈত্যগণ ধায় তাড়াতাড়ি।।
কোথায় পাইব রক্ষা, করি অনুমান।
বিষ্ণুর সদনে গিয়া রাখে নিজ প্রাণ।।
ভয়ার্ত্ত দেখিয়া আশ্বাসিয়া নারায়ণ।
উপায় চিন্তেন দৈত্য নিধন কারণ।।
দিলেন আপন তেজ হরি পুরন্দরে।
বিষ্ণুতেজ পেয়ে পুনঃ চলিল সমরে।।
অন্য দেবগণে তেজ হরি পুরন্দরে।
বিষ্ণুতেজ পেয়ে পুনঃ চলিল সমরে।।
অন্য দেবগণে তেজ হরি পুরন্দরে।
বিষ্ণুতেজ পেয়ে পুনঃ চলিল সমরে।।
অন্য দেবগণে তেজ দিল ঋষিগণ।
পুনঃ দেবাসুরে হয় ঘোরতর রণ।।
অনেক হইল যুদ্ধ লিখনে না যায়।
বৃত্রাসুরে বজ্র প্রহারিল দেবরায়।।
বজ্রের ভীষণ শব্দ, দৈত্যের গর্জ্জন।
ত্রৈলোক্যের লোক যত হৈল অচেতন।।
বজ্রাঘাতে অসুরের মুণ্ড হৈল চুর্ণ।
আর যত ছিল, সবে পলাইল তূর্ণ।।
যতেক দানব দৈত্য কালকেয়গণ।
সমুদ্র ভিতরে প্রবেশিল সর্ব্ব জন।।