শ্রীরাম বলেন হে সুষেণ বৈদ্যবর।
ফুটিয়াছে লক্ষ্মণের সর্ব্বাঙ্গেতে শর।।
বাণফলা রহিয়াছে শরীর ভিতর।
কেমনে সহিল এ কোমল-কলেবর।।
মেঘনাদে মারিয়া রাখিল দেবগণ।
সীতা উদ্ধারের মূল হইল এখন।।
লক্ষ্মণের অঙ্গে অস্ত্র রয়েছে ফুটিয়া।
মহৌষধ দেহ সব বাণ উপাড়িয়া।।
এতেক বলেন যদি কমল-লোচন।
ঔষধ বাহির করে সুষেণ তখন।।
একে এক বাহির করিল যত শর।
ঔষধ লেপিয়া দিল অঙ্গের উপর।।
অঙ্গেতে প্রবেশ কৈল ঔষধের ঘ্রাণ।
সুন্দর শরীর হৈল পূর্ব্বের সমান।।
মিশায়ে বাণের চিহ্ন হইল সুন্দর।
পূর্ব্বমত লক্ষ্মণের হৈল কলেবর।।
আনন্দ অবধি নাই প্রভু রঘুনাথ।
সুষেণের অঙ্গেতে বুলান পদ্মহাত।।
রাম বলে সুষেণ হে কি কব তোমারে।
তোমার সমান বৈদ্য নাহিক সংসারে।।
বারে বারে প্রাণদান দিলে সবাকার।
ত্রিভুবনে এই কীর্ত্তি রহিল তোমার।।
বন্দিল সুষেণ বৈদ্য রামের চরণ।
কৃত্তিবাস পণ্ডিত রচিল রামায়ণ।।