ত্রিভুবন সে জিনিয়া, সুন্দরী সব আনিয়া,
নানা অলঙ্কার দিয়া সাজে।
তা সবার প্রাণনাথ, ডরে নাহি বহে বাট,
অনাথা হইয়া তারা ভজে।।
সীতার সে শাপানলে, আমার এ কোপানলে,
রাবণের নাহিক নিস্তার।
বিশ্বকর্ম্মার নির্ম্মাণ, এ কনক লঙ্কাখান,
পুড়িয়া হইল ছারখার।।
রাজা হয়ে চর মারে, অপযশ এ সংসারে,
কহ দিয়া তোর লঙ্কেশ্বরে।
দেখুক সে দশস্কন্ধ, সাগরেতে সেতুবন্ধ,
লঙ্কপুরী ঘেরিল বানরে।।
কপিগণ যে প্রচণ্ড, মেঘ করে খণ্ড খণ্ড,
মার্ত্তণ্ড ধরিতে পারে বলে।
সাগর না সহে টান, রণে নাহি পরিত্রাণ,
হনুমান বধিবে সকলে।।
এলে সৈন্য চর্চ্চিবারে, যাবে কেন অগোচরে,
বলো তারে কথা দুই চারি।
কাটি তার দশমুণ্ড, বিভীষণে ছত্রদণ্ড,
আর দিব রাণী মন্দোদরী।।
কৃত্তিবাস কবিবর, সর্ব্বশাস্ত্র সুগোচর,
বিরচিল সরস্বতী-বরে।
সর্ব্ব পাপ বিনাশন, সার গ্রন্থ রামায়ণ,
মুক্তি পায় শ্রবণ যে করে।।