তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে? বলুন, তোমরা তোমাদের প্রমাণ আন। এটাই আমার সঙ্গীদের কথা এবং এটাই আমার পুর্ববর্তীদের কথা। বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না; অতএব তারা টালবাহানা করে।
Or have they taken for worship (other) âliha (gods) besides Him? Say: ”Bring your proof:” This (the Qur’ân) is the Reminder for those with me and the Reminder for those before me. But most of them know not the Truth, so they are averse.
أَمِ اتَّخَذُوا مِن دُونِهِ آلِهَةً قُلْ هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ هَذَا ذِكْرُ مَن مَّعِيَ وَذِكْرُ مَن قَبْلِي بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ الْحَقَّ فَهُم مُّعْرِضُونَ
Ami ittakhathoo min doonihi alihatan qul hatoo burhanakum hatha thikru man maAAiya wathikru man qablee bal aktharuhum la yaAAlamoona alhaqqa fahum muAAridoona
YUSUFALI: Or have they taken for worship (other) gods besides him? Say, “Bring your convincing proof: this is the Message of those with me and the Message of those before me.” But most of them know not the Truth, and so turn away.
PICKTHAL: Or have they chosen other gods beside Him? say: Bring your proof (of their godhead). This is the Reminder of those with me and those before me, but most of them know not the Truth and so they are averse.
SHAKIR: Or, have they taken gods besides Him? Say: Bring your proof; this is the reminder of those with me and the reminder of those before me. Nay! most of them do not know the truth, so they turn aside.
KHALIFA: Have they found other gods beside Him? Say, “Show me your proof. This is the message to my generation, consummating all previous messages.” Indeed, most of them do not recognize the truth; this is why they are so hostile.
২৪। অথবা ওরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত [ অন্য ] উপাস্য গ্রহণ করেছে ? ২৬৮৪। বল, ” তোমাদের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থিত কর। ইহা আমার সাথে যারা আছে তাদের জন্য উপদেশ এবং আমার পূর্বে যারা ছিলো তাদের জন্য উপদেশ ” ২৬৮৫। কিন্তু ওদের অধিকাংশই প্রকৃত সত্য জানে না , ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
২৫। আমি তোমার পূর্বে এমন কোন রাসুল প্রেরণ করি নাই, তার প্রতি এই ওহী ব্যতীত যে , আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। সুতারাং আমার এবাদত কর এবং আনুগত্য কর।
২৬৮৪। উপরের টিকা ২৬৮২ তে দুধরণের ইলাহ্ বা মিথ্যা উপাস্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদি এই দুধরণের মিথ্যা উপাস্য থাকতো তবে তার পরিণতির উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতে বহু উপাস্যের ফলে তৃতীয় আর এক পরিণতি বা ক্ষতির উল্লেখ করা হয়েছে। আরব মোশরেকরা বহু উপাস্যের উদ্ভাবনে ছিলো উর্বর মস্তিষ্ক। কিন্তু তা ছিলো প্রকৃত সত্য থেকে বহুদূর। নীচের [২৬ ] আয়াতে চতুর্থ আর এক ধরণের উপাস্যের ব্যাপারে সাবধান করা হয়েছে। যারা ধারণা করে আল্লাহ্র পুত্র সন্তান পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে তাই হচ্ছে উপাস্য।
২৬৮৫। এই আয়াতটি [ ২৪ ] পরবর্তী [২৫ ] আয়াতের সাথে সমন্বিত করে পড়তে হবে। পূর্ববর্তী আয়াতগুলিতে এ কথাই বলা হয়েছে যে, বহু উপাস্যের ধারণা পরস্পর বিরোধী ধারণা যা সৃষ্টিকে রক্ষা করার পরিবর্তে ধ্বংস করে দেবে। সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহ্র একত্বের দিকে নির্দ্দেশ করে। এই একত্ববাদের ধারণা শুধু যে ইসলামে বিদ্যমান তা নয়। শুধু যে হযরত মুহম্মদ [সা] এই বাণী প্রচার করেছেন তা নয়; এই আয়াতে রসুলুল্লাহ্ [সা] বলছেন যে তার পূর্ববর্তী নবী ও রসুলেরাও এই একই একত্ববাদের প্রচার করে গেছেন। প্রচারক হিসেবে হযরত মুহম্মদ [ সা ] শেষ নবী। সৃষ্টির আদিতে হযরত আদম থেকে শেষ নবী হযরত মুহম্মদ [সা] পর্যন্ত আল্লাহ্র একত্বের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সকল নবী ও রসুলদের প্রত্যাদেশের মর্মবাণীই ছিলো আল্লাহ্র একত্বের ঘোষণা। পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক , নৈতিক, জাগতিক সকল বিষয়বস্তুর মূল সূত্র হচ্ছে আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস থেকে উদ্ভুদ।