ফরাসি দেশে লোয়ার নামে একটি নদী আছে। খুব একটা বড় নদী নয়, আমাদের দেশের বিখ্যাত নদ-নদীগুলির তুলনায় ছেলেমানুষ। এই লোয়ার নদীর খ্যাতি অন্য কারণে, এ নদীর দুই তীরে রয়েছে অনেকগুলি সাতো বা দুর্গ সমন্বিত প্রাসাদ। যেগুলির স্থাপত্য শিল্প নৈপুণ্য অতুলনীয়। সারা পৃথিবী থেকে লক্ষ-লক্ষ নারী-পুরুষ ওই লোয়ার উপত্যকার সাতোগুলি দর্শন করতে যায়। প্রত্যেকটি সাতোর অন্দরে রয়েছে ইতিহাসের বহু রোমাঞ্চকর কাহিনি, অনেক ছবি ও ভাস্কর্য, একটি বিশেষ সাতোর সঙ্গে অমর ইতালিয়ান শিল্পী লিয়োনার্দো দা ভিঞ্চির নাম যুক্ত হয়ে আছে।
আমি আপাতত এই লোয়ার নদী সম্পর্কে লিখছি না। কিছুদিন আগে একটা মজার ব্যাপার ঘটেছিল। বন্ধু অসীম রায়, ভাস্কর দত্ত ও প্রতি সান্যালের সঙ্গে গাড়িতে ফরাসি দেশের নানা অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিলাম, মাঝে মাঝেই লোয়ার নদীটি পারাপার করতে হচ্ছিল, এই নদীটি আমি গত পনেরো বছরে বেশ কয়েকবার দেখেছি, কিন্তু এ নদীর দিকে দৃষ্টিপাত করলেই আমার দুটি কবিতার লাইন মনে পড়েছিল :
সতত হে নদ, তুমি পড় মোর মনে
সতত তোমার কথা ভাবি এ
বিরলে…
মনে কখন কী আসে, তার কোনও ঠিক-ঠিকানা থাকে না। বর্ষাকালেও বসন্তের গান গুঞ্জরিত হতে পারে মনের মধ্যে। এক নদী দেখে আরেক নদীর কথা মনে পড়া তো খুব স্বাভাবিক। মাইকেল তাঁর জন্মস্থানের পার্শ্ববর্তী নদীটিকে নিয়ে যে কবিতাটি লিখেছিলেন, সেটা আমার মাথার মধ্যে এমনই গেঁথে গেল যে আমি অনবরত এ লাইন দুটি বিড়বিড় করতে লাগলাম। ওই কবিতার এই দু-লাইন ব্যতীত আর লাইনগুলি আমার স্মরণে নেই।
এই ঘটনার মজার দিকটা হল, পরে আমি মাইকেল মধুসূদনের জীবনীগ্রন্থ ঘেঁটে দেখলাম, মাইকেল তাঁর প্রিয় কপোতাক্ষ নদী সম্পর্কে ওই কবিতাটা লেখেন ফরাসি দেশে বসে। এই লোয়ার নদী দেখেই তাঁর কপোতাক্ষর কথা মনে পড়েছিল নাকি? আমার যদি আত্মা কিংবা ভূতে বিশ্বাস থাকত, তা হলে অনায়াসেই বলা যেত যে মাইকেলের ভূত আমার মাথার মধ্যে ওই সময় ওই কবিতার লাইন দুটি ঢুকিয়ে দিয়েছিল।
লোয়ার নদীর সঙ্গে কপোতাক্ষ নদীর কোনওই মিল নেই। দুই তীরের শিল্প ভাস্কর্যের সামান্যতম গৌরবও নেই কপোতাক্ষ নদীর। এ নিতান্তই গ্রাম্যনদী, অলঙ্কারহীন, কিন্তু সরল, মায়াময়। অমন কবিত্বময় নাম তাকে কে দিয়েছিল কে জানে। তবু অমন নাম সত্বেও নদীটি অকিঞ্চিৎকর হয়েই থাকত, যদি না তার তীরের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে মধু নামে একটি ছেলে জন্মাত। সেই ছেলেটির জন্যই কপোতাক্ষ বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে।
কপোতাক্ষ নদী নয়, নদ। কেন সে নদী নয়, তা আমি জানি না। কিন্তু লেখার সময় বারবার নদ লিখতে ভালো লাগে না।
কপোতাক্ষর সঙ্গে আমার সন্দর্শন হয়েছিল বেশ কিছু বছর আগে, বাংলাদেশের জন্মের ঠিক পরে-পরেই। কবির জন্মস্থানে, কবির জন্মদিনে এখন প্রতি বছর মধুমেলার আয়োজন হয়। সেটা বোধহয় প্রথম বছর। উদ্যোক্তারা কয়েকজন সাহিত্যিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমাদের দলনেতা ছিলেন সন্তোষকুমার ঘোষ। তিনি তখন লেখক হিসাবে যত বিখ্যাত, তার চেয়েও বেশি খ্যাত আনন্দবাজার পত্রিকা সংস্থার কর্ণধার হিসেবে। এরকম পড়ুয়া, এরকম অসাধারণ স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন এবং এরকম ছটফটে মানুষ আমি আর দ্বিতীয় দেখিনি।
আমাদের ঘাঁটি হয়েছিল যশোর শহরে। সেখান থেকে সাগরদাঁড়ি গ্রামের দূরত্ব আঠাশ মাইল। যাতায়াতের জন্য অনেক গাড়ি রয়েছে। এককালে এসব অঞ্চলে রাস্তাঘাট বিশেষ ছিল না, বর্ষাকালে গরুর গাড়ি চালানোও দুঃসাধ্য হত, নদীপথই ছিল একমাত্র ভরসা। মাইকেলের বাপ-দাদারা নৌকোতেই কলকাতায় যাওয়া আসা করতেন। এখন বাংলাদেশে অনেক নতুন নতুন পথ তৈরি হয়েছে, কিছু-কিছু পথ কংক্রিটে বাঁধানো, গাড়িগুলি সব বিদেশি। গমনাগমন অতি মসৃণ।
উদ্যোক্তারা যশোর থেকে আমাদের সাগরদাঁড়িতে মাইকেলের পৈতৃক বাড়িতে বসিয়ে রেখেছেন। মেলা ভালো করে শুরু হয়নি। সাহিত্যিকরা যখন এসেছেন, একটা সভা তো হবেই, বক্তৃতাও করতে হবে। কিন্তু এখনও মঞ্চ বাঁধা চলছে, সভার দেরি আছে, সন্তোষকুমার যথারীতি ছটফট করছেন। এক জায়গায় বেশিক্ষণ চুপ করে বসে থাকা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। উদ্যোক্তারা আমাদের খাতির করার জন্য এবং শান্ত করার জন্য বারবার ডাব খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু পরপর ক’টা ডাব খাওয়া যায়? সন্তোষকুমার এক সময় কোনও গুপ্ত স্থান থেকে ফস করে একটা জিনের পাঁইট বার করলেন এবং কিছুটা জিন মিশিয়ে দিলেন ডাবের জলে। এ অতি উত্তম পানীয়। আমরাও প্রসাদ পেলাম, বলাই বাহুল্য।
বোতলটি অচিরেই শেষ হয়ে গেল, তবু সভা আরম্ভ হওয়ার নাম নেই, এর পরেও কী করে অপেক্ষা করা যায়? সন্তোষকুমার উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, চলো, কপোতাক্ষ নদী দেখে আসি।
উদ্যোক্তারা হা-হা করে উঠলেন। সে নদী এখন আর দেখবার মতো নেই, যদি যেতেই হয়, বিকেলবেলা তারাই ব্যবস্থা করবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অপরের ইচ্ছে দ্বারা পরিচালিত হওয়ার মতো বান্দা নন সন্তোষকুমার। তিনি আমার হাত ধরে টেনে, জুতো মশমশিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
মাইকেলের পৈতৃক বসতবাড়িটি প্রায় ধ্বংসস্তূপ বলা যায়। একটি গাছের তলায় বাঁধানো বেদিটি টিকে আছে, ওখানে বসে মাইকেল কবিতা লিখতেন, এরকম একটি গুজব অনেকে বিশ্বাস করে। বর্তমানের প্রতিবেশীরা সবাই মুসলমান। একটু আগে আমি এই সাগরদাঁড়ি গ্রামের মাইকেল সম্পর্কে অত্যুৎসাহী সেলিম নামে একটি যুবককে একটি গল্প শুনিয়েছিলাম। মাইকেলের ঠাকুরদার এক ভাইয়ের নাম ছিল মানিকরাম দত্ত। মাইকেলের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এই মানিকরামেরই কিছুটা কবিত্ব শক্তি ছিল। তিনি এক সম্ভ্রান্ত ধনী মুসলমানের অধীনে চাকরি করতেন এবং প্রভুর মনোরঞ্জনের জন্য তিনি তাঁকে প্রতিদিন একটি করে স্বরচিত কবিতা শোনাতেন। ওই প্রভুর একটি অতি রূপসী ও ষোড়শী কন্যা ছিল, সেও পরদার আড়াল থেকে কবিতা শুনত। শুনতে-শুনতে মানিকরামের প্রতি তার প্রেম হয়ে গেল। আড়ালে মন দেওয়া নেওয়া হতেও দেরি হল না, যুবতীটি জেদ ধরে বসল, সে মানিকরামকেই বিয়ে করবে। সে খবর জেনে ওই মুসলমান ভদ্রলোক মানিকরামের গর্দান নিতে চাননি, বরং উদারভাবে বলেছিলেন, বেশ তো, তুমি মুসলমান হয়ে যাও, তারপর আমার মেয়েকে বিয়ে করো। তাতে আবার মানিকরাম ও তার পরিবারের সকলের ঘোর আপত্তি। বিয়ের জন্য ধর্মত্যাগ করা চলবে না। তারপর এই নিয়ে বিস্তর কথা কাটাকাটি ও মন কষাকষি। মানিকরাম যখন বুঝলেন, এ বিয়ে কিছুতেই হবে না, তখন তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, আর বিয়েই করবেন না সারা জীবন, সন্ন্যাসী হয়ে হিমালয়ে চলে গেলেন।
মাইকেল ধর্মত্যাগ করে খ্রিস্টান হয়েছিলেন, তাঁর ওই পূর্বপুরুষ মানিকরাম যদি ইসলামে দীক্ষিত হতেন, তা হলে মুসলমানদের সঙ্গে দত্ত পরিবারের একটি সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারত।
গল্পটা শুনে সেলিম আমার দিকে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। সে ভেবেছিল, গল্পটা আমি তক্ষুনি বানিয়েছি। সন্তোষকুমার পাশে বসে কান খাড়া করে শুনছিলেন, তিনি সঙ্গে-সঙ্গে বললেন, যোগীন্দ্রনাথ বসুর মাইকেলের জীবনীতে এ কাহিনি আছে।
একেই তো সন্তোষকুমার ঘোষের অগাধ পড়াশুনো, তা ছাড়া তিনি কোনও সভায় বক্তৃতা করার আগে হোম ওয়ার্ক করে যেতেন। বাইরে বেরিয়ে বললেন, মাইকেল যতই সাহেব সাজুন এই গ্রামটাকে বড় ভালোবাসতেন। একবার বলেছিলেন, এ সাগরদাঁড়ি গ্রামের সব কাঁচা রাস্তাগুলো তিনি নিজের খরচে বাঁধিয়ে দেবেন। ‘মাইকেলোদ্যান’ নামে একটা বড় বাগান তৈরি করার ইচ্ছে ছিল, সেইসঙ্গে একটা স্কুল, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের মতো। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যা পেরেছেন, মাইকেল তা পারেননি।
আমি মনে-মনে বললাম, মাইকেল খুব সম্ভবত আপনারই মতো চঞ্চলমতি ছিলেন।
নদীর ধারে এসে একজন নৌকোর মাঝিকে ডাকাডাকি করে থামানো হল। নদী অতি হ্রস্ব, তবু সাগরদাঁড়ি গ্রামটার তিনদিক ঘিরে আছে। আমরা এ নদীর আগেকার দিনের রূপ বর্ণনা পড়েছি, এখন তা বিশ্বাস করাই শক্ত। এক সময় এই নদী দিয়ে বজরা চলত, মাইকেল নিজেই শেষবার স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের নিয়ে বজরায় চেপে গ্রামে এসেছিলেন।
এখন বজরার কথা কল্পনাই করা যায় না। ছোট-ছোট নৌকো চলে। আমাদের নৌকোটিতে চার-পাঁচজন বসায় টলটলায়মান। মাঝি লগি মারছে, তাতে বোঝা যায়, বড়জোর এক মানুষ জল।
মাইকেলের জন্মদিন ২৫ জানুয়ারি, অর্থাৎ শীতকাল। বেশ ঠান্ডা হাওয়া। সন্তোষকুমার পরে আছেন পুরো দস্তুর গরম সুট, টাই সমেত, আমি পাজামা-পাঞ্জাবির ওপর চাদর জড়িয়েছি। এইটুকু ছোট একটা নদীতে নৌকোভ্রমণ এমন কিছু আহামরি নয়। দু-দিকেরই তীর বড় কাছে, তবু মাইকেল মধুসূদন এই নদী দিয়ে যাতায়াত করতেন, এটা ভেবেই রোমাঞ্চ হয়।
সন্তোষকুমার মাইকেলের জীবন থেকে নানান ঘটনা শোনাতে-শোনাতে এক সময় জিগ্যেস করলেন, এই নদী নিয়ে কবিতাটা কার পুরো মনে আছে? আর কারুরই নেই, আমিও দুলাইনের বেশি মনে রাখতে পারি না, সন্তোষকুমার নিজেই শুনিয়ে দিলেন :
সতত হে নদ, তুমি পড় মোর মনে
সতত তোমার কথা ভাবি এ
বিরলে,
সতত (যেমতি লোক
নিশার স্বপনে
শোনে মায়া মন্ত্র ধ্বনি) তব কলম্বনে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে।
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষা মিটে কার জলে?
দুগ্ধস্রোতেরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে…
আমাদের দলের একজন একবার ভুল করে নদীটিকে ‘কপোতাক্ষী’ বলতেই সন্তোষকুমার ধমকে দিলেন।
অনেকে মনে করে, কপোত প্লাস অক্ষি, কপোতাক্ষীই হওয়া উচিত। যেমন মীনাক্ষী। কিন্তু তাতে ব্যাকরণ ভুল হয়। তারা খেয়াল করে না, মীন প্লাস অক্ষি কিন্তু মীনাক্ষি নয়, দীর্ঘ ঈ-কার দিয়ে মীনাক্ষী। তার কারণ, মূল কথাটা মীনাক্ষ, তার স্ত্রী লিঙ্গে মীনাক্ষী। পুরুষ নদ বলেই কপোতাক্ষ, নদী হলে কপোতাক্ষী হত।
কিছুক্ষণ নৌকোভ্রমণের পর সন্তোষকুমার অন্য পারের একটি স্থানের দিকে আঙুল তুলে বললেন, মাইকেল যখন সপরিবারে আসছিলেন, তখন তাঁর একটি সন্তান খিদেতে কান্নাকাটি
করতে শুরু করেছিল। তখন মাইকেল বজরা থেকে নেমে গিয়ে দুধ জোগাড় করার জন্য গ্রামের দিকে গিয়েছিলেন। খুব সম্ভবত এই জায়গায়। এদিকের গ্রামটা একবার দেখে এলে হয় না? মাঝি, নৌকোটা ওখানে লাগাও তো।
আমরা তাকিয়ে দেখি, সেখানে থকথক করছে কাদা। নামলে কোমর পর্যন্ত ডুবে যাবে।
মাঝিই বলল, না, ওখানে লাগানো যাবে না।
সন্তোষকুমার বললেন, লাগাও বলছি। কাদা থাকে থাক, সে আমরা বুঝব।
মাঝিটি গম্ভীরভাবে বলল, পারের কাছে গেলে নৌকো ঠেকে যাবে। এখানে লাগাতে পারব না।
মাঝিটি বেশ গোঁয়ার ধরনের, সে কিছুতেই কথা শুনবে না।
আমি বললাম, সন্তোষদা, মাঝিটি তো আনন্দবাজারের কর্মচারী নয়, তাই আপনার হুকুম মানতে চাইছে না।
সন্তোষকুমার অসম্ভব রেগে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, লাগাবে না মানে? আমার অর্ডার! যত টাকা লাগে লাগুক…।
কথা শেষ হল না। সন্তোষকুমার উঠে দাঁড়াতেই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেল, নৌকোটা জোরে দুলে উঠল, সন্তোষকুমার টপাস করে জলে পড়ে গেলেন।
আমি আঁতকে উঠেছি, কারণ আমি জানতাম, উনি সাঁতার জানেন না। তা ছাড়া, ধরাচুড়ো পরা। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই আরও একটি আশ্চর্য কাণ্ড হল। সেই প্রৌঢ় বয়েসেও তিনি দারুণ তৎপরতা দেখিয়ে, নৌকোর গলুই ধরে সামারসল্ট খেয়ে ওপরে উঠে এলেন।
কেউ হাসবার আগেই বলে উঠলেন, দেখলে, দেখলে, আমার এজিলিটি দেখলে?
সত্যিই তাঁর সপ্রতিভ দেখার মতোই বটে।
এদিকে সভা শুরু হয়ে গেছে, ডাকাডাকি করছে উদ্যোক্তারা। সন্তোষকুমারের পোশাক পালটাবার উপায় নেই। আমাদের পোঁটলা-পুঁটলি রয়ে গেছে যশোরে। সেই অবস্থাতেই মঞ্চে উঠে সভাপতির চেয়ারে বসলেন সন্তোষকুমার ঘোষ, তাঁর মাথা থেকে, কোট প্যান্ট থেকে জল ঝরছে।
তাতেও তাঁর ভাষণে কোনও তারতম্য হল না।