চতুর্দ্দশ অধ্যায়
জরৎকারুর বিবাহ
উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, তদনন্তর জরৎকারু মুনি গার্হস্থ্য আশ্রম করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া পত্নীলাভার্থ সমস্ত মহীমণ্ডল ভ্রমণ করিতে লাগিলেন, কিন্তু কেহই তাঁহাকে কন্যা প্রদান করিল না। একদা তিনি পিতৃলোকের বাক্য স্মরণ করিয়া বনপ্রবেশপূর্ব্বক উচ্চৈঃস্বরে তিনবার কন্যা ভিক্ষা করিলেন। তাঁহার সেই ভিক্ষা-বাক্য শ্রবণে নাগরাজ বাসুকি স্বীয় ভগিনীকে আনয়ন করিয়া সম্প্রদান করিতে উদ্যত হইলেন। কিন্তু জরৎকারু সেই কন্যা সনাম্নী নহে, এই ভাবিয়া তাহার পাণিগ্রহণ পরাঙ্মুখ হইলেন; কারণ, মহাত্মা জরৎকারু প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন, যদি সনাম্নী কন্যা পান ও তাহার বন্ধু বান্ধবগণ স্বেচ্ছাপূর্ব্বক ভিক্ষাস্বরূপ তাঁহাকে সেই কন্যা সম্প্রদান করে, তাহা হইলেই তাহাকে সহধর্ম্মিণী করিবেন।
অনন্তর মহাপ্রাজ্ঞ মহাতপা জরৎকারু বাসুকিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হে ভুজঙ্গম! তুমি যথার্থ করিয়া বল, তোমার এই ভগিনীর নাম কি? বাসুকি কহিলেন, “হে দ্বিজোত্তম! আমার এই অনুজার নাম জরৎকারু। আমি আপনাকে এই ভগিনীটি সম্প্রদান করিতেছি, আপনি ইহাকে গ্রহণ করুন।” এই বলিয়া বাসুকি জরৎকারুকে স্বীয় ভগিনী প্রদান করিলেন। তিনিও বিধিপূর্ব্বক তাহার পাণিগ্রহণ করিলেন।