আচ্ছা যদি আজ এখানে বসে পড়ি,
ঝিমোই কিছুকাল, তবে কি ক্ষতি হবে?
একটু বিশ্রাম এখানে বটমূলে,
কেই বা আপত্তি করবে এই ভেবে?
রুক্ষ পথে ঘাটে ঘুরেছি বিস্তর
জুটেছে কাদাবালি এবং কিছু ছাই।
এখন অন্তত মুক্তো হাওয়া আর
মাঠের মনোরম সবুজ ঢেউ চাই।
আমার কোথাও কি হবেই পৌঁছুতে?
কোথায়্য সে ঠিকানা, অজানা আজও রয়।
তাহলে মাথা পেতে ছায়ায় শুনি বাঁশি
অজানা সেই পথে, যেতই যদি হয়।
দেখছি ঝোপেঝাপে ফুটেছে বনফুল,
উড়ছে প্রজাপতি, গাইছে পাখি গান।
হোক হা এখানেই রাত্রিবাস, দেখি
তারার ঝিকিমিকি, জ্যোছনা করে পান।
কিন্তু কিছুতেই থামলে চলবে না,
সূর্য জাগলেই যাত্রা হবে শুরু।
করিনি সই কারও মরমী চুক্তিতে,
দীক্ষা দেননিকো আমাকে সদগুরু।
আমার পায়ে ক্ষত, আঁধার নামে চোখে;
হৃদয়ে হাহাকার, সমুখে, মৃগতৃষা।
কাঁদায় প্রতিপদে গোলকধাঁধা শুধু
এবং দুপুরেই কী ঘোর অমানিশা!
যাত্রাশেষে যদি না পাই মণিহার,
হবে না কোনও খেদ; আমি তো উৎসুক
বৃষ্টি, রামধনু, শিশির, নুড়িতেই;
অজানা পথে হেঁটে চলাতে পাই সুখ।
যখন মেঘ চিরে চাঁদের নাও ভাসে,
আমার দেহবীণা নতুন সুরে বাজে।
জাগলে মনে কারও প্রণয়-কথা কিছু,
সাজাই সত্তাকে অরূপ কত সাজে।