রেখেছি বুক পেতে মাটির সোঁদা বুকে,
খুঁড়েছি নিজেকেই নিত্যদিন
আমার হাত দু’টি বিদ্ধ কণ্টকে,
রক্ত দিয়ে শেষে শুধব ঋণ?
এ কোন্ ক্রূর পথে হাঁটছি ক্রমাগত?
এখানে তৃষ্ণার নেই তো জল;
ক্ষুধার করাতের দাঁতের আছে ধারা,
বাগানই নেই কোনও, উধাও ফল।
দীর্ঘ এই পথে বৃষ্টিধারা নেই,
রয়েছে পদে পদে রক্তপাত।
ধূসরতায় চোখ অন্ধ হ’ল প্রায়,
চিত্তে বিভীষিকা বসায় দাঁত।
ঝর্ণাধারা ভেবে গিয়েছি ছুটে কাছে,
অথচ ছিল সে তো চোখের ভ্রম।
ব্যাকুলতায় খুঁড়ে রুক্ষ মৃত্তিকা।
দেখছি বেলাশেষে বৃথাই শ্রম।
মধুর সঙ্গিনী ছিল যে উদার,
আমার প্রতি সে-ও বিরূপ আজ।
যে-মুখে সর্বদা সূর্যোদয় ছিল,
এখন সেখানেই নিত্য সাঁঝ!
অমৃতধারা ঠোঁটে ঝরেছে গতকাল,
কিন্তু আজ শুধু গরল বয়।
হাতির মত্ততা ছিঁড়ুক প্রীতিলতা,
সকল বিরূপতা করব জয়।
দুঃখ আমাকেই পর্যটক করে;
‘যতই তোকে ওরা ভয় দেখাক,
বন্য পশু আর নরপিশাচ দল’,
কে যেন বলে, ‘তুই চলতে থাক।
মাথায় এরকম তারার ঝলকানি,
হাতের দোতারায় নানান গৎ
কত যে দৃশ্যের শোভায় প্রীত হই,
পুষ্পে সেজে ওঠে ধুলোর পথ।