কোথায় ছিল স্বর্ণ মাদুর কোন্ গহনে
ছড়িয়ে পেখম আভার?
দু’এক ফোঁটা জলের চিহ্ন ধারণ ক’রে
শ্মশান ধুলায় লুটিয়ে ছিল গুটিয়ে ছিল বুঝি।
কারুর দিকে তাকায়নি সে, কারুর চোখে
পড়েনি ওর বর্ণশোভা-
কী করে হয়? যে দেখে সে দেখেই ফেলে
ধুলোর নিচে, পাতালপুরীর নিঝুম ছায়াতলে।
দৃষ্টিভ্রমের শাসন ছিল জীবন জোড়া,
অভাব ছিল স্থিতির।
কিসের যেন ছটফটানি আমার ভেতর
আন্দোলিত লড়াকু এক মোরগঝুঁটির মতো।
ছদ্মবেশী সে কোন্ হরিণ হঠাৎ কখন
ঘর দুয়ারে আসে।
তখন আমি স্বপ্নঘোরে একলা ঘুরি
বনবাদাড়ে; দেহমনে ক্লান্তি জমে শুধু।
নৌকা ভাসাই কত নদীর গহীন জলে,
নামি নানান ঘাটে।
কোথাও তবু পাইনা খুঁজে স্বর্ণ মাদুর,
নিত্য ফিরি সত্তাজোড়া দহন চিহ্ন নিয়ে।
হঠাৎ দেখি চক্ষু মেলে অনেক কাছে
স্বর্ণ মাদুর পাতা।
শান্তি এবং কল্যাণেরই স্মৃতি নিয়ে
ডাকছে মাদুর, উদার বুকে মাথা পেতে শোবো।