লোকটার আপন বলতে কেউ নেই এ জগতে।
ঘোরে পথে পথে
সারাদিনমান একা-একা। থাকে না সে সাতে পাঁচে
কারো, নেই তার সড়কি ও ঢাল খোল কি কর্তাল, আছে
শুধু দুটি হাত আর যা যা থাকে খুব সাধারণ
একটি লোকের। তাকে করলে বারণ
কোথাও বসতে কিংবা সামান্য দু’-চার কথা বলতে, সে মাথা
হেঁট করে চলে যায় চুপচাপ। কোনো ছুতোনাতা
ধরে কারো দাক্ষিণ্যের হাত
ধরবার সাধ নেই তার, দু’বেলা দু’মুঠো ভাত,
পিঠ রাখবার মতো একটা মাদুর আর
মাথা পাতবার
একটি বালিশ পেলে দিব্যি তার দিন কেটে যায়
যে-কোনো সংকীর্ণ আস্তানায়।
এক ঢিলে দু’পাখি শিকার করে যারা প্রায়শই
সে নয় তাদের দলে। মই
বেয়ে তরতর
অনেক উপরে উঠে শিস বাজানোর
কায়দা অজানা তার। রুচি
নেই খয়রাতি অন্নে। আর জেনেছ অশুচি
বলে চুরিচামারিকে। কিছুই চাহিদা নেই, চায় সে কেবল
একটি আকাশ পর্যটক মেঘদল
দেখবার, তারা গুণবার। মাঝে-মধ্যে এক অলৌকিক ডাল
থেকে পাড়ে স্বপ্নফল, লোকটা নিরীহ আর স্বপ্নের কাঙাল।