একমনে সে খুঁড়তে থাকে, খুঁড়তে থাকে মাটি।
অমন করে কেন যে সে অষ্টপ্রহর
খুঁড়ছে মাটি একা একা,
কেউ জানে না।
একমনে সে খুঁড়তে থাকে, খুঁড়তে থাকে মাটি।
মাঝে-মধ্যে কান পাতে সে মাটির অনেক নিচে
শোনার মতো গল্প কিছু আছে নাকি?
পোকামাকড়; হাড়ের গুঁড়ো
বলবে কিছু?
যখন তখন ওকে ঘিরে দাঁড়ায় এসে ওরা।
নখ দিয়ে তার মাটি খোঁড়া দ্যাখে সবিস্ময়ে।
অমন করে ক’হাত মাটি খুঁড়লে মেলে
খুব-লুকোনো স্মৃতিকণা?
কেইবা জানে?
কাউকে তুলে আনবে সেকি মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে?
রোদকে বাজায় দশ আঙুলে পুশিদা এক সুরে।
শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলে, পা মেলে দ্যায়
অনেক দূরে-যেন সে ঐ
আকাশ ছোঁবে।
জ্যোৎস্না চেটে নেয় তুলে সে রাতের শরীর থেকে।
ছায়ার ভেতর ছায়া হয়ে লুকিয়ে থাকে একা।
হঠাৎ কখন ছায়া ঝেড়ে নোংরা নখে
কিসের ঘোরে খুঁড়তে থাকে
শক্ত মাটি।
ছায়ার ভেতর ছায়া খোঁড়ে, কেমন খননকারী?
কখন আবার খুঁড়তে থাকে অক্ষিগোলক দুটি,
খুঁড়তে থাকে নিজের রুক্ষ বুকের পাঁজর,
খুঁড়তে থাকে শরীরটাকে।
কেউ জানে না।
গভীরভাবে নিজেকে সে খঁড়তে থাকে শুধু।